কুমিল্লার ৬ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট: ২ কর্মচারী আটক

সিটিভি নিউজ।।    নেকবর হোসেন   কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান ===
কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার এলাকায় পূবালী ব্যাংকে এক গ্রাহকের ছয় লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রাত ১১ টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেন সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড মো. এরশাদুল হক ও ক্লিনার তাপস কুমার দাস।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খাদেমুল বাহার গোমতী টাইমসকে জানান, হিসাব থেকে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহক নজরুল ইসলাম মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মামলা করেন।
‘তিন ঘণ্টা পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড ও ক্লিনারকে আটক করা হয়। তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের হেফাজতে নেয়া হবে।’
মঙ্গলবার পূবালী ব্যাংকের কুমিল্লা সদরের বিশ্বরোড শাখা থেকে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের ৬ লাখ টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ ওঠে।
গ্রাহক নজরুল ইসলাম জানান, ১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে পূবালী ব্যাংক থেকে তার মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস আসে। এতে উল্লেখ ছিল, তার অ্যাকাউন্ট থেকে ছয় লাখ টাকা তোলা হয়েছে।
নজরুল বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছি এসএমএসটি হয়তো ভুলে এসেছে। আমি অশিক্ষিত মানুষ; ব্যাংকের সিনিয়র কারও মোবাইল নম্বরও আমার কাছে নেই। এ ছাড়া পরের তিন দিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। সোমবার ব্যাংকে গিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে পারি।’
ব্যাংকের অফিস সহায়ক তাপস কুমার দাস জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ৪টার কিছু আগে মাথা, হাত ও পায়ে ব্যান্ডেজ করা একজন টাকা তুলতে যান। অসুস্থ বলে তিনি তাকে সহযোগিতা করেন। তার চেক ক্যাশিয়ার বিশ্বজিতের কাছে পৌঁছে দেন।
তিনি আরও জানান, তবে চেকে গ্রাহকের সই গরমিল থাকায় আরেকটি সই নেয়া হয়। ওই দিন ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সেকেন্ড অফিসার জাহিদুল ইসলাম চেকটি অনুমোদন করে দেন। পরে নৈশপ্রহরী এরশাদ ৫০০ টাকার ১০টি বান্ডেল ও ১০০ টাকার ১০টি বান্ডেল ওই ব্যক্তিকে বুঝিয়ে দেন।
এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের সিসিটিভি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক পুড়িয়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তারা টের পান।
ব্যাংক কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, ব্যাংকের পেছনের একটি ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে সিসিটিভির হার্ডডিস্ক পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় জিডিটি করেন তিনি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী দুটি জিডি হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সংবাদ প্রকাশঃ  ২৪২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ