কুমিল্লার তিতাসে সংখ্যালঘু পরিবারের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

সিটিভি নিউজ।।   সৌরভ মাহমুদ হারুন   কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করা হয়েছে।  তারই প্রেক্ষিতে ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১ টায় মাছিমপুর বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভুক্তভোগী পরিবার।
মনিন্দ্র সাহার পক্ষে এক লিখিত বক্তব্যে তার ভাই ভজন সাহা বলেন, কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর মৌজাস্থ সাবেক ১৫২৩/২০৬৯ হালে ৩১৯৪ দাগে ২ শতক জায়গার পৈতৃকভাবে  মালিক হই আমরা।  কিন্তু আমরা সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের সদস্য হওয়ায় মাছিমপুর গ্রামের আঃ বাতেন প্রকাশ বাতু মিয়া জোরপূর্বক ১ শতক জায়গা দখল করে নেয়। আমরা অনেকবার জায়গা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও তারা ছাড়তে  রাজি নয়।  এমন কি তারা গ্রাম্য বিচার শালিসও মানতে নারাজ।  কয়েক বার বিচার শালিসে বসলেও কোন প্রকার লিখিত ডকুমেন্ট বা দলিলপত্র দেখাতে পারেনি। সম্পূর্ণ গায়ের জোরে তারা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি দখল করে রেখেছে। তারা আমাদেরকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে যদি আর কোন দিন জায়গার কথা বলি কিংবা জায়গার আশেপাশে যাই, তাহলে তারা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা করবে। এই অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।  তাই আমরা তিতাস উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সাংসদ সেলিমা আহমাদ মেরী,  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ হোসেন সরকার ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, আঃ করিম ভান্ডারী ও মনির হোসেন নামে দুই ব্যক্তির নিকট দোকান ভাড়া দিয়ে রেখেছেন  বাতু।
এই দিকে আঃ বাতেন প্রকাশ বাতুকে প্রশ্ন করা হলে,  তিনি বলেন আমি স্ট্যাম্প দিয়ে মরহুম জবেদ আলীর কাছ থেকে  ক্রয় করেছি।  এই বিষয়ে মামলা চলছে বলেও তিনি জানান। তবে কোন প্রকার দলিলপত্র দেখাতে পারেন নি। এমন কি ফটোকপিও দেখাতে ব্যর্থ হন। দলিলপত্র সব আদালতে জমা আছে বলে জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাছিমপুর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন,  এটা হিন্দুর জায়গা।  অবৈধভাবে বাতু দখল করে রেখেছে।  এর আগেও সে রনজিত পোদ্দার ও ইন্দ্রজিৎ মাস্টারের বাজারের জায়গা দখল করে রেখেছে। বাতু ও তার পরিবার ভূমিদস্যূ হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
এই দিকে জবেদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার জায়গা এই দাগে নয়।  আমারটা অন্য দাগে।  আর আমার বাবা কারো কাছে কোন জায়গা বিক্রি করেননি। আমরা পূর্ব থেকেই জানি এটা হিন্দুদের জায়গা।  কাগজপত্র দেখে দেখা যায়, বিএস ফাইনাল খতিয়ান, মৃত অমর সাহা ও অনিল সাহার  নামে রয়েছে।  বর্তমানে তাদের ৫ ছেলে যথাক্রমে ভজন সাহা,  ধনু রঞ্জন সাহা,  মানিক সাহা,  রতন সাহা ও মনিন্দ্র সাহা মালিক হয়ে ঐচারচর গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেনের কাছে  ২ মাস আগে বিক্রয় করে দিয়েছেন।  কিন্তু সংখ্যালঘু পরিবারটি বাতুর বাঁধার কারণে মোশাররফ হোসেনকে দখল বুঝিয়ে দিতে পারছেন না। (ফাইল ফটো=    সংবাদ প্রকাশঃ  ১১২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   
(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ