কুমিল্লার এসিডদগ্ধ খাদিজাকে নেওয়া হলো ঢাকায়, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন পুলিশ সুপার

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
সিটিভি নিউজ।।   নেকবর হোসেন   কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান ===
কুমিল্লা এসিডদগ্ধ খাদিজাকে নেওয়া হলো ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জািরি ইনস্টিটিউটে
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিডে ঝলসে যাওয়া খাদিজা আক্তার মনিকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে খাদিজাকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এদিকে খাদিজার চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
তিনি জানান, সরকারি মেডিক্যালের চিকিৎসার বাইরে সেবা ও সুস্থতার জন্য আনুষঙ্গিক যে খরচগুলো হবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ওই দায়িত্বটুকু আমরা পালন করবো। পুলিশ মানুষের সেবায় সবসময় নিয়োজিত থাকে, আর এইটুকু সেবা কেন করতে পারবো না। আমরা এসিডদগ্ধ মেয়েটির খোঁজখবর নিয়মিত রাখছি।
খাদিজার বাবা মোখলেছ মিয়া জানান, আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় চিকিৎসকরা বলার পরও মেয়েকে নিয়ে কুমেক হাসপাতালে পড়েছিলাম। গতকাল ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন মেয়ের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা যা বলেন, তা শুনতে। তখন কুমেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি। এখন ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আছি। এখানে মেয়েকে ভর্তি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এসিডদগ্ধ খাদিজার গরিব পরিবারকে আর্থিক সহায়তাসহ সবক্ষেত্রে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে এসিড নিক্ষেপকারী হারুন নামের যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুমিল্লার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে আসামি। এসিড নিক্ষেপের বিষয়টি স্বীকার করে হারুণ জানায়, প্রেমের টানাপড়েনের জেরে খাদিজাকে এসিড নিক্ষেপ করে সে।
তিনি আরও জানান, মামলা তদন্ত করে দেখা যায় খাদিজার মায়ের সন্দেহের তালিকা থাকা আপন এবং জাহিদ নামের দুই তরুণ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। হারুন একাই এসিড নিক্ষেপ কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের জানালা দিয়ে খাদিজার গায়ে এসিড ছুড়ে মারে এক দুর্বৃত্ত। এতে ১৩ বছরের কিশোরীটির শরীর ঝলসে যায় । তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে রাতেই তাকে নেওয়া হয় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর বাবা মোখলেছ মিয়ার মামলায় পুলিশ হারুন নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে।  সংবাদ প্রকাশঃ  ২৯২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   
Print Friendly, PDF & Email