কালীগঞ্জে বেদে সম্প্রদায়ের জন্য নির্মিত ৫৯ ঘর পরিদর্শনে বিভাগীয় কমিশনার উদ্বোধন করা হয় দুরন্ত শৈশব নামে শিশু পার্ক

সিটিভি নিউজ।।      মানিক ঘোষ    কালীগঞ্জ প্রতিনিধি=======
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বেদে সম্প্রদায়ের ৫৯ পরিবারের জন্য নির্মিত ঘর পরিদর্শন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী। সোমবার সন্ধ্যয় তিনি বেদে পল্লীর শিশুদের জন্য তৈরি দুরন্ত শৈশব নামে একটি পার্ক উদ্বোধন করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, এডিসি (রাজস্ব) রাজিবুল হাসান, কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন, কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাবিবুল্লাাহ, বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপ-সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওয়াজেদ আলীসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। সময় সেখানে সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সভায় বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশসার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। সভা শেষে পল্লীর বাসিন্দাদের মধ্যে চাল বিতরণ করেন কমিশনার।
খুলনা বিভাগীয় কমিশসার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের জীবনমান উন্নয়নে জমিসহ স্থায়ী ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। এখন স্বচ্ছলতা ফিরাতে আপনাদের নিজেদের চেষ্টা করতে হবে। এসময় তিনি সরকারের পক্ষ থেকে স্বল্প সূদে ঋণ বিতরণ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, পিছিয়ে পড়া বেদে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন এবং এই জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় নিয়ে আসতে সরকারের উদ্যোগে ঝিনাইদহে কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জগন্নাথপুর গ্রামের মাজদিয়া বাঁওড়ের ধারে নির্মল পরিবেশে বেদে সম্প্রদায়ের বসবাসের জন্য ৫৯ পরিবারের জন্য বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণে নির্মিত এ বাড়িগুলো গত ২১ জুলাই মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এই উপহারের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এসব পরিবারের প্রায় ৩০০ লোকের বাসস্থানের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মাণ করা হবে কবরস্থান ও মসজিদ। দেশের ইতিহাসে বেদে সম্প্রদায়ের জন্য এটাই সবচেয়ে বড় স্থায়ী পল্লি। সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে পল্লিটি নির্মাণ করা হচ্ছে জলাধারের পাশেই। ঘরের চারপাশে কিছু খোলা জায়গা রাখা হয়েছে। এসব খোলা স্থানে তারা গবাদি পশু পালন এবং গাছ লাগানোর কাজে ব্যবহার করবে।
আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীন গৃহহীন ও ভূমিহীন বেদে সম্প্রদায়ের জন্য নির্মিত প্রত্যেক পরিবারের জন্য দুই শতক জমির উপর দুইটি রুম, রান্না ঘর ও একটি টয়লেট রয়েছে। প্রতি পরিবারের ঘর তৈরিতে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০৬-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ