কালীগঞ্জে প্রতিবন্ধী তানজিলের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন মুদি দোকানটি পুড়ে ছাই

সিটিভি নিউজ।।     মানিক ঘোষ নিজস্ব প্রতিনিধিঃ==
চোখের সামনেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের অসহায়, গরীব প্রতিবন্ধী তানজিলের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন মুদি দোকানটি।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার সময় কালীগঞ্জের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাকুলিয়া (ব্র্যাক অফিসপাড়া) ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন এক প্রতিবন্ধী এক যুবকের একটি মুদি দোকানে আকস্মিক আগুন লেগে পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। এতে ঐ প্রতিবন্ধীর প্রায় নগদ টাকাসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবন্ধী দোকান মালিক তানজিল হোসেন পৌর এলাকার বাকুলিয়া গ্রামের মৃত আবু সামার ছেলে।
ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক তানজিল হোসেন জানায়, গতকাল রাতে আমি তারাবির নামাজ পড়ে এসে দেখি আমার দোকানের সামনের রাস্তায় অনেক লোক সমাগম। এরপর দেখি আমার মুদি দোকানটিতে দাও দাও করে আগুন জ্বলছে। আমার চোখের সামনেই দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিনের কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষনে আমার দোকানের সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে।
সে আরও জানায়, আমি প্রতিবন্ধী মানুষ, ছোট বেলা একটি বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে আমার শরীর ঝলসে যায়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর আমি কোন রকম সূস্থ্য হলেও আমার বাম হাতটি ঠিক না হওয়ায় ঐ সময় কেটে ফেলা হয়। ডান হাতটা প্রায় অকেজো। ঐ সময় চিকিৎসায় আমাদের গরু, ছাগল ও মাঠের জমি বিক্রয় করতে হয়েছে। এরপর সূস্থ হয়ে সকলের নিকট থেকে সাহায্য নিয়ে ২০১০ সালে আমি এই ব্র্যাক অফিসের গায়ে একটি মুদি দোকান দিয়ে চা বিস্কুট সহ অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য বিক্রয় করে আসছি। এই দোকানের আয় রোজগার দিয়েই চলে আমাদের মা ভাইসহ ৫ জনের সংসার। আমাদের এই দোকান ছাড়া উর্পাজনের আর কোন ব্যবস্থা নেই।
আমি এখন কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না। আমি এখন আমার দোকানটি আগের মতো করে চালাতে চাই। এজন্য আমি উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, বৃত্তশালী ও সুধীজনদের নিকট সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিনের স্টেশন মাস্টার ডাক্তার মামুনুর রশিদ জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। আমাদের আসার আগেই মালামাল সহ দোকানটি পুড়ে গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে।
কালীগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাসুম পারভেজ রুবেল বলেন, ছেলেটা খুব গরীব, অসহায় ও প্রতিবন্ধী, ছোট বেলায় একটা দূর্ঘনায় সে প্রায় মৃত্যুর কবল থেকে বেঁচে আসে। বহু কষ্ট করে মানুষের নিকট থেকে সাহায্য নিয়ে দোকানটি চালিয়ে আসছে। এই দোকানের আয়ের টাকা দিয়েই চলে তাদের ৫ জানের সংসার। এখন সর্ব সাধারনের সাহায্য ছাড়া তার দোকান করার মতো তার কোন সামর্থ নেই। সে দোকানটি যাতে আবার আগের মতো চালাতে পারে তার জন্য আমি নিজে সহযোগীতা করবো এবং সমাজের বৃত্তশালী, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

সংবাদ প্রকাশঃ  0৫-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ