কালিগঞ্জে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আ’লীগে অনুপ্রবেশকারীদের প্রভাব বেশি

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।তরিকুল ইসলাম লাভলু : দেশ ব্যাপী আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরু মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে। আগের মত এবারও দলীয় প্রতীকে ভোট হবে ইউনিয়ন পরিষদে। ইতো মধ্যে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে নৌকার মাঝি হতে দৌঁড় ঝাঁপ শুরু করেছেন সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। সেই লক্ষে ইতো মধ্যে বিভিন্ন পোস্টার, বিল বোড, গাছের ডালে, দেয়ালে ছবি সম্বলিত পোষ্টার দেখা ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেস বুকে ও প্রচার প্রচারনা ও দোয়া কামনা চেয়ে চলেছেন প্রার্থীরা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই ইউপি নির্বাচনে হাওয়া বইছে উপজেলা ব্যাপী। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে, চায়ের আড্ডায় চলছে চেয়ারম্যান বানানোর আলাপ আলোচনা চুল চেরা বিশ্লেষন। তবে কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কোন্দলের কারণে দীর্ঘদিন দল দ্বিখন্ডিত অবস্থা বিরাজ করছে। প্রকৃত আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা অবহেলায় কোনাঠাসা হয়ে নির্বাসিত জীবন যাপন করছে। দলে বর্তমান অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিট কাওয়াদের প্রভাব বেশি। দলে দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে যোগ্য নেতৃত্ব এবং যোগ্য প্রার্থী গড়ে উঠেনি। নিরাপক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠে দৌড়ে জয় লাভ করাটা অনেকটাই ঝুকি হয়ে দাড়াবে। এজন্য এবার দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে শুধু দলীয় কাউন্সিলারদের ভোটে সমর্থন নিয়ে প্রার্থী নির্বাচন না করে সাধারণ মানুষের সমর্থনে প্রার্থী নির্বাচিত করলে নৌকাকে বিজয়ী করা সম্ভব হবে। তা না হলে নিরাপক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে নৌকা তীরে এসে তরী ডুবতে পারে বলে বিশিষ্ট জনরা আশঙ্কা করছে। কারণ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের লড়াই হবে মুলত নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে। ২০১৩ সালের সহিংসতার পরে মামলা, হামলা, হতে বাচতে যে সব বি,এন,পি জামায়াত নেতা কর্মীরা তৎকালীন আওয়ামীলীগের নেতাদের টাকায় কিনে ছদ্ম বরণে আওয়ামীলীগ নামধারী আছে তারা কৌশল পরিবর্তন করে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে সরাসরি জামায়াত বি,এন,পির প্রার্থী না হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে দেখা যেতে পারে। একারণে বি,এন,পি জামায়াতের অনেক প্রার্থী কৌশল অবলম্বন করে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে না বলে দলের গোপন মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের ভাব মুর্তি ধরে রাখতে এবং দলীয় প্রার্থীদের জয় লাভে বি,এন,পি জামায়াতের দলীয় প্রার্থী মাঠে থাকলেও তারা মুল লড়াইতে থাকবে না এমনই আশঙ্কা করা যাচ্ছে। যে কারণে আওয়ামীলীগের প্রার্থী নির্বাচনে এবার চুল চেরা বিশ্লেষন করতে হবে। তা না হলে অধিকাংশ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের ভরাডুবি হওয়ার শংঙ্কা রয়ে গেছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৮২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email