কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নবজাতকের মৃত্যু

সিটিভি নিউজ।।       মোঃ জুয়েল রানা,কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:==   চাঁদপুরের কচুয়ায় প্রসূতির মতামত উপেক্ষা করে জরায়ুর সাইড সিজার করে ডেলিভারী করায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে কচুয়া পৌরসভার করইশ গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী ফারজানা আক্তারের প্রসব ব্যথা শুরু হলে স্বজনরা তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এসময় জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে বাচ্চা প্রসবের জন্য ডেলিভারী কক্ষে প্রসূতিকে প্রেরন করা হয়। নরমাল ডেলিভারী কক্ষে কর্তব্যরত নার্স মাকসুদা আক্তার প্রসূতির মতামত উপেক্ষা করে নিজের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রসূতির জরায়ুর সাইড সিজার করে। এ নিয়ে নার্স,প্রসূতি ও প্রসূতির স্বজনদের সাথে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয় এবং ডেলিভারী কার্যক্রম কিছু সময় বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে প্রসূতির নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে মৃত বাচ্চা প্রসব হয়।

প্রসূতি ফারজানা আক্তার জানান, ডেলিভারীর সময় নরমাল ডেলিভারী করতে গিয়ে আমাকে বিভিন্ন প্রকার ইনজেকশন প্রয়োগ করে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নার্স মাকসুদা আক্তার সাইড সিজার করে মৃত বাচ্চা প্রসব করে। জরায়ু সাইড সিজার না করে সিজার অপারেশ করলে আমার সন্তান বেঁচে যেত। আমি এর জন্য নার্স মাকসুদা আক্তারের অবহেলা ও আমার মতামতের গুরুত্ব না দেয়ার কারনে মৃত বাচ্চা প্রসব হওয়ার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরিবর্তে নার্স দিয়ে সিজার করানোর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি একই উপজেলায় টানা ২৪ বছর কর্মরত থাকায় সিনিয়র নার্স মাকসুদা আক্তারের পেশাগত কর্মকান্ড নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে নার্স মাকসুদা আক্তারের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন কুমার দাস বলেন, ডেলিভারীর সময় প্রসূতির জরায়ুর সাইড কেটে দেয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজন ও নার্সের মধ্যে কমিউনিকেশন গ্যাফ ও ভুল বুঝাবুজি সৃষ্টি হয়। এতে করে হয়তবা কিছুটা সময় বিলম্বিত হওয়ায় মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছে। বর্তমানে প্রসূতি হাসপাতালে রয়েছে, তার চিকিৎসা চলছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৭-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ