একটি মানবাধিকার সংস্থা “সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি” 

সিটিভি নিউজ।।  মোয়াজ্জেম চৌধুরী ,, মুক্তকলাম লেখক ঃঃ    বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন গুলো। মানুষ হিসেবে সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকারকেই মানবাধিকার বলা হয়।
মানবাধিকারগুলো মানুষের জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। তাই মানুষের জীবনে মানবাধিকারের প্রয়োজনীয়তা অনেক। মানবাধিকারের  প্রয়োজনীয়তা অনেক। মানবাধিকার মানুষকে লেখাপড়া শিখে যোগ্যতা ও মর্যাদার সঙ্গে সমাজে বসবাসের সুযোগ করে দেয়। আর মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত হতে সাহায্য করতে মানবাধিকার ভূমিকা পালন করে ।মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরি করে, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে।
স্বাধীন এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে ও সুন্দর জীবন গড়ে তুলতে মানবাধিকার সহায়তা করে।
স্বপরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছ থেকে মানুষ মানবাধিকারগুলো পেয়ে থাকে। এসমস্ত কাজ গুলো করতে দেশে মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য সৃষ্টি হয় মানবাধিকার সংস্থা গুলো।
তবে বাংলাদেশের মানুষ কতটুকু গুরুত্ব সহকারে অধিকার পাচ্ছে। দেশে নামে বেনামে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন রয়েছে। কেমন করে তারা কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ নিবন্ধিত মানবাধিকার সংগঠনের চেয়ে অনিবন্ধিত সংগঠনের দৌরাত্ম বেশি। নামে বেনামে এসব সংগঠন গুলো মূল ধারার কাজ না করে অনিয়ম ও দূর্নীতি করে চালাচ্ছে মানবাধিকারের নামে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড। তাদের পিছনেও রয়েছে অনেক রাগব বোয়াল যাদের মদদপুষ্ট হয়ে এসব কাজ করে যাচ্ছে তারা৷
এসব নতুন কোন ইস্যু বা কারন নয় লেখার মূলে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার মূল ধারাকে ফলো করে নিজের দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করার জন্য যারা কাজ করছে তাদের কিছু কর্ম নিয়ে।
নামে বেনামে মানবাধিকার শব্দ ব্যবহার করে যারা এসব কাজ করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করা যেমন সরকার তথা রাষ্ট্রের প্রয়োজন। ঠিক তেমনি যারা সত্যিকার অর্থে দেশ ও দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাজ করছে তাদের পুরস্কৃত করা সরকার তথা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে মনে করি।
যে মানবাধিকার সংগঠনটির কিছু কথা তুলে ধরার চেষ্টা করছি সেটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কতৃক নিবন্ধিত একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন যা শুধু দেশের মানুষের জন্য নয় কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
বাংলাদেশের রাজধানীর মিরপুর মানবিক কাজের সূত্র ধরে মানবাধিকার সংগঠনটি আজ দেশ পেড়িয়ে বিশ্বের অনেক দেশে মানুষের জন্য কাজ করছে।
বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ থেকে একজন নারীর  নেতৃত্বে সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি মানবাধিকার সংগঠনটি । আন্তর্জাতিক ভাবে সকল কাজ করে চলেছে মানবাধিকার সংস্থাটি । অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে করছে।
মানবাধিকার সংস্থাটি’ মৌলিক অধিকার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ মানুষের সকল অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে কয়েক বছর যাবৎ।
রাস্তায় পড়ে থাকা অসহায় মানুষকে উদ্ধার করে চিকিৎসা সেবাসহ তার আত্মীয় স্বজনদের নিকট পৌঁছে দেয়া। এতিম বাচ্চাদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা, শিক্ষার আলো ছড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, অসহায় দরিদ্রদের পাশে দাড়ানো, পারিবারিক বিরোধ মিমাংসা,  দেশের যেকোনো প্রান্তে অন্যায় অত্যায় হলে প্রতিবাদ করে যাওয়া সহ নানা মানবিক কাজে সংস্থার শীর্ষ ভূমিকা পালন।
মিয়ানমার সরকারের ইন্ধনে মুসলিম নিধন ও নির্যাতন শুরু হয় তখন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা গুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় তীব্র কন্ঠে সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
বাংলাদেশে যখন রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয় মানবাধিকার সংস্থাটি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আনোয়ার ই তাসলিমা প্রথা’র নেতৃত্বে একটি টিম রোহিঙ্গা শরনার্থীদের ক্যাম্পে গিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়ে  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয়ে থাকাদের মধ্যে , খাদ্য, বস্ত্র ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছিল।
বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠন গুলোও তাদের পাশে দাড়ায় সরকারের পাশাপাশি। কিন্তু দেশের তেমন কোন মানবাধিকার সংগঠনকে তাদের পাশে দাড়াতে দেখিনি। যা খুবই দুঃখজনক।
মানবাধিকার সংস্থাটি নারীদের অধিকার রক্ষায় অফিসে এমনকি অভিযোগ কারীর বাঠিতে গিয়েও আপোষ মিমাংসা করে অসংখ্য বিরোধ মিমাংসা করেছে এবং করে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় মানবাধিকার সংস্থাটির সদস্যরা উদ্ধার কার্যক্রম সহ সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে তাদের পাশে দাড়ায়।
সারাবিশ্বের ন্যায় যখন বাংলাদেশে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তখন অসহায় নিম্নবিত্তদের পাশে দাঁড়িয়ে খাবার বিতরণ সহ নানাভাবে কাজ করে যায় মানবাধিকার সংস্থাটি।
মানবাধিকার সংস্থাটি অসহায়  ছিন্নমূল শিশুদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য “আলোর মিছিল’ নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করে চলেছে।
বেশ কিছু এতিম বাচ্চাদের দেখাশোনার দায়িত্ব নিয়ে তাদের জন্যও কাজ করছে সংস্থাটি।
ঢাকায় যখন এডিস মশার প্রকোপ শুরু হয় তখন সৃষ্টি  হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’র নিজ সদস্যরা আনোয়ার ই তাসলিমা মশা নিধনে কাজ করেন৷
মানবাধিকার সংস্থাটি দেশের রংপুর, কুড়িগ্রাম, ও ঢাকায় কয়েকটি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে অসহায় মানুষদের চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছে।
এসব দেশ ও মানবতার সেবায় কাজ করে যাওয়াসহ দেশে গুম খুন, ধর্ষণ, বিচার বহির্ভূত হত্যাসহ অন্যায় অত্যাচারে সবসময় কাজ করছে।
প্রবাসীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হলেও তাতে জোড়ালো ভাবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে সংস্থা তথা সংস্থাটির চেয়ারম্যান আনোয়ার ই তাসলিমা প্রথা।
বেশ কিছুদিন পূর্বে একটি ধর্ষিত মেয়ের বাবার কাছে মামলা আমলে নিতে পুলিশ টাকা দাবি করলে সেখানে এই মানবাধিকার সংস্থাটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। সেই পুলিশ কর্মকর্তার সাথে আনোয়ার ই তাসলিমা’র কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
লাশ রেখে ব্যবসা করার প্রতিবাদ করেন ইউনিভার্সাল হসপিটালের বিরুদ্ধে। অন্যায় যেখানে সেখানেই প্রতিবাদ ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে সংস্থাটি।
ভাল কাজ করে গিয়ে  নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করে স্বার্থবাজরা। কিন্তু ভাল কাজের ফল কখনো বিফলে যায় না। তাই এখনো লাখো লাখো মানুষের কাছে একটি প্রিয় মানবাধিকার সংস্থা সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
বর্তমানে মানবাধিকার সংস্থাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
এসব অন্যাকারীদের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ায় কিছু সংখ্যক স্বার্থন্বেশী মহল মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে মামলা হুমকি দিয়ে সংস্থার মানবিক কাজসহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়াতে বাধা সৃষ্টি করছে।
বাঁধা সৃষ্টিতে আমাদের মনে রাখা উচিৎ  ভাল কাজে সবসময় বাধা আসবেই। আল্লাহর নবী দ্বীন প্রচার করতে গিয়েও বাধা ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। কিন্তু উনার ধর্ম প্রচার বন্ধ হয়নি। তিনি ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির কাজ মানুষের অধিকার রক্ষা করা, অসহায় নির্যাতিত মানুষের পাশে দাড়ানো, তাদের সার্বিক সহযোগীতা করা।
এটা কোন সরকার বা কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। সংস্থার কার্যক্রম অসহায়দের সহযোগীতা করা এবং অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো।
এই ধরনের মানবাধিকার সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যাতে সমাজে অন্যায় অত্যাচার দূরীভূত হয় ও সমাজে শান্তি এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।
সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটি যেভাবে আন্তর্জাতিক ভাবধারা নিয়ে কাজ করছে তা আরো বেগবান হোক, বিস্তার লাভ করুক বিশ্বের সর্বত্র।
সরকার তথা রাষ্ট্রের প্রতি আহবান এসব দায়িত্বশীল সংস্থাকে সহযোগিতা করা এবং তথাকথিত মানবাধিকারের নামে গড়ে ওঠা সংগঠন গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সুন্দর একটি দূর্নীতি মুক্ত স্বাধীন দেশ গড়ে তোলা।

লেখক __মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী    মৌলভীবাজার, সিলেট, বাংলাদেশ। ==সংবাদ প্রকাশঃ  ৩০-০১-২০২২ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ