আড়াইহাজার থেকে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামী রবিউল গ্রেপ্তার

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে চাঞ্চল্যকর ১১ বছরের শিশু সংবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামী রবিউল ইসলামকে (৪২) শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। গ্রেফতারকৃত রবিউল ফতুল্লা থানার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
আজ শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-১১ মিডিয়া অফিসার এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার বরাত দিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ২০০৫ সালের ৩ জুন জেলার ফতুল্লা থানার লক্ষ্মীনগর এলাকায় ১১ বছরের শিশু সংঘবদ্ধ ধর্ষণপূর্বক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকান্ডের দুইদিন পর শিশুটির লাশ গ্রাামের ধইঞ্চা ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় জনগণ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও শিশুটির পরিবারকে জানায়। লাশটি ফতুল্লা থানার চর রাজাপুর গ্রামের আকতার হোসেনের মেয়ে আফসানা আক্তার নিপা (১১) বলে সনাক্ত হয়। এই ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনার ৫ থেকে ৬ দিন পর আসামী রবিউলকে গ্রেফতার হয় এবং ১৭ মাস জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পায়।
জামিনে বের হয়ে ২০০৭ সালে আড়াইহাজার থানার হাইজাদি ইউনিয়নে ইলমদী খন্দকার কান্দি গ্রামে বিয়ে করে এবং আত্মগোপনে থাকার জন্য শ্বশুরবাড়ি এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। ২০০৮ সালের মাঝামাঝিতে আদালতে হাজিরার তারিখে তার জামিন বাতিলপূর্বক তাকে পুনরায় জেলে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে এরও সাড়ে তিন মাস জেলে থাকার পর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে বের হন। দ্বিতীয়বার জামিনে বের হওয়ার পর ২০০৯ সালের শেষের দিকে জেলার রূপগঞ্জ থানার ডহরগাও এলাকায় একটা ফ্যাক্টরিতে কাটিংয়ের (সিজারম্যান) হিসেবে চাকরি শুরু করে। এর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচার শেষে মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে প্রমানিত হওয়ায় গত ১৮ অক্টোবর চারজনকে দোষী সাব্যস্ত পূর্বক মৃত্যুদন্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ দেন।
মামলার রায় ঘোষণার পর আসামি চাকরি ছেড়ে দিয়ে তার চাচা শ^শুরের মৎস্য খামারে নতুন করে চাকরি শুরু করে আত্মগাপন করে। এবং বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। পরেব র‌্যাব-১১ শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১২-১১-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email