অস্ত্র হামলার আসামী গোলাম কিবরিয়া প্রতিপক্ষের ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ করলেন আবুল হোসেন ছোটন

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।    কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থি আবুল হোসেন ছোটন
সংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন: অধশত অস্ত্র ও সন্ত্রাসী মামলার আসামী গোলাম কিবরিয়া নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। আমার নির্বাচনী জোয়ার দেখে আমার প্রতিদন্ধী প্রার্থি গোলাম কিবরিয়া মিষ্টি কুমড়া মার্কা তিনি তারা সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমার আমার প্রচারনা মাইকিং বাঁধা প্রদান, মহিলা কর্মীদের কে প্রচারণা বাঁধা দেওয়া , আমার নির্বাচনী পোস্টার ছেঁড়া এবং কিছু কর্মীদের মারধর করে। আমার সর্মথীত কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি প্রদান করে আসছে ।
৩ জুন সকালে বিষ্ণুপুর  এলাকায় সংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি বলেন,= কুমিল্লা ৬ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহা উদ্দিন বাহার ভাইয়ের  আমি একক মনোনিত প্রার্থী। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আমি লাটিম মার্কা প্রতিক পাওয়ার পর থেকে নির্বাচন কমিশনের নিয়মনীতি মেনে আমি নির্বাচন প্রচারনায় বিভিন্ন পয়েন্টে গণসংযোগ ব্যস্ত হয়ে পরি। দল-মত-নির্বিশেষে অনেকেই উচ্ছ্বাসিত ও আগ্রহ দেখাচ্ছেন আমার প্রতি। প্রতিদিন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের কাছে দোয়া চাইতেছি।
আপনারা জানেন,২০১৯ সালে ১১ জুলাই বাংলাদেশের সকল জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয় কুমিল্লার জামায়াত নেতা গোলাম কিবরিয়া শীর্ষস্থানীয় অস্ত্র কারবারি সংবাদটি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির সশস্ত্র ক্যাডার, দাগি আসামিদের তিনি জড়ো করে নির্বাচনের আগে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে কুমিল্লাকে আতঙ্কের শহরে পরিণত করার পাঁয়তারা করছে, যাতে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়।আপনারা জানেন কুমিল্লা জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরও একজন তিনি। তিনি শীর্ষস্থানীয় অস্ত্র কারবারি। দেশজুড়ে রয়েছে তার অস্ত্রের কারবার। ছোট-বড়, ভারী সব ধরনের অস্ত্রের চোরাচালানের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত।
২০১৯ সালে ১১ জুলাই বাংলাদেশের সকল জাতীয় প্রতিকায় সংবাদে তাকে নিয়ে বড় বড় শিরোনা করে সংবাদ ছাপা হয় একে-২২ অস্ত্র কিনতে ঢাকায় মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তার ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই দুজন গোলাম কিবরিয়ার এই অন্ধকার জগতের সবকিছু ফাঁস করে দেন। ৩০ জুন ২০১৯ সালে সন্ধ্যায় ওয়ারীর স্বামীবাগ এলাকায় রাজধানী সুপার মার্কেটের সামনে থেকে গোলাম কিবরিয়ার ঘনিষ্ঠ সাইদুল ইসলাম মজুমদার ওরফে রুবেল এবং কামাল হোসেনকে একে-২২ রাইফেল, ৩০ রাউন্ড গুলি ও দুটি ম্যাগজিনসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের রিমান্ডে নিয়ে নানা ভয়ংকর তথ্য পায় সিটিটিসি। গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে। ২০১৮ সালেও গোলাম কিবরিয়া অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। বর্তমানে জামিনে থেকে অস্ত্রের ব্যবসা করছেন।
কাউন্সিলর কাজী গোলাম কিবরিয়া এবং হাসিব একসময় শিবিরের দুর্র্ধষ ক্যাডার ছিলেন। বোমা তৈরি করতে গিয়ে হাসিবের দুই হাতের আঙুল উড়ে গেলেও তিনি দমেননি। তারা চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশি অস্ত্র এনে সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করছেন। নিজ দলের ক্যাডারদেরও তারা অস্ত্রের জোগান দিচ্ছেন। এই সিটি নির্বাচন কে বানচাল করতে তার সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমার প্রচারনা মাইকিং বাঁধা প্রদান, মহিলা কর্মীদের কে প্রচারণা বাঁধা দেওয়া , আমার নির্বাচনী পোস্টার ছেঁড়া এবং কর্মীদের মারধর করে। আমার সর্মথীত কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি প্রদান করে আসছে ।
আপনারা জানেন ‘ইভিএম পদ্ধতিতে কোনো রকম সিল মারার কোনো ব্যাপার নেই। সেই ইভিএম পদ্ধতিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন এই জামায়াত শিবির প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া। কারণ, তিনি হেরে যাবেন। আমরা চাই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক। কোনো সন্ত্রাসী যেন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে।’ আমি আপনাদের কাছে এই সহযোগিতা চাই।আমরা ১নং ওয়ার্ডবাসী আজ ব্যাতীত। আজ আমি একজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হয়ে একজন জামাত-শিবির সশস্ত্র ক্যাডার সাথে নির্বাচন করতে হচ্ছে। এই ১নং ওয়ার্ড নির্বাচন এলাকা পরিবেশ মোটেও নিরাপদ নয়। তাই আজ এই সংবাদ সম্মেলন থেকে বলতে চাই শিবিরের ক্যাডারদের পৃষ্টপোষদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে নিবার্চন সুষ্টু করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রার্থি গোলাম কিবরিয়ার সাথে কথা বললে তিনি সিটিভি নিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। আমি এলাকায় ১০বছর জনপ্রতিনিধি ছিলাম আমার জনপ্রিয়তা আছে বরং  তারা আমার কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছি। 

সংবাদ প্রকাশঃ  ০৩-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email