সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ বাংলাদেশির তথ্য ফাঁস

এন আই ডি
সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।    বাংলাদেশের একটি সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাউথ আফ্রিকাভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস।

ফাঁস হওয়া তথ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্পূর্ণ নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল, ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর রয়েছে।

ভিক্টর মার্কোপোলোস গত ২৭ জুন হঠাৎ করে বাংলাদেশিদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিষয়টি খুঁজে পান। এরপর বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমকে (সিইআরটি) বিষয়টি অবহিত করেন।

ভিক্টর মার্কোপোলোস জানিয়েছেন, তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের সরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানকে ই-মেইল বা অন্যান্য মাধ্যমে অবহিত করেছেন, সেগুলোর কোনোটিই তাকে কোনো জবাব দেয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিষয়টি সত্য। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ওই ওয়েবসাইটের ‘পাবলিক সার্চ টুলে’ ফাঁস হওয়া তথ্য খুঁজে দেখা হয়। পরে ওয়েবসাইট থেকে ফাঁসকৃত তথ্য দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে— রেজিস্ট্রেশনকারীর নাম এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের নামও পাওয়া গেছে। যদিও তারা জানিয়েছে, ওই ওয়েবসাইটটির নাম প্রকাশ করবে না। কারণ, সেটিতে এখনও ফাঁসকৃত তথ্যগুলো রয়েছে।

গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস টেকক্রাঞ্চকে বলেছেন, ফাঁসকৃত তথ্যগুলো পাওয়া খুবই সহজ। গুগলের ফলাফল হিসেবে এগুলো সামনে আসে। আমি এটি খুঁজতেও যাইনি। আমি এসকিউএল ইরর নিয়ে গুগলিং করছিলাম, আর এটি দ্বিতীয় ফলাফলে চলে আসে।

টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থাটি পাবলিক সার্চ টুল ব্যবহার করে আক্রান্ত সরকারি ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য ব্যবহার করে ফাঁস হওয়া তথ্য বৈধ কি না, তা যাচাই করেছে। যেমন- নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা কোনো ব্যক্তির নাম দেওয়ার পর এর সঙ্গে তার বাবা-মায়ের নাম ও অন্যান্য তথ্য বের হয়ে আসছে। টেকক্রাঞ্চ ১০টি বিভিন্ন সেটের ডেটা দিয়ে এটা করার চেষ্টা করে দেখেছে, প্রতিবারই সঠিক তথ্যটিই আসছে।

তবে, বাংলাদেশ সরকারের কোন ওয়েবসাইট থেকে তথ্যগুলো উন্মুক্ত হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি টেকক্রাঞ্চ। তারা যাচাই করে দেখেছে, উন্মুক্ত হওয়া তথ্যগুলো ভুয়া নয়।

এর ঝুঁকির দিকটি তুলে ধরে মার্কোপোলোস বলেন, এই ধরনের তথ্য ব্যবহার করে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে ঢোকা, সেখানে পরিবর্তন অথবা অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে মুছে ফেলা যেতে পারে। জন্ম নিবন্ধন রেকর্ড যাচাইকরণ দেখার জন্যও এই তথ্যগুলো ব্যবহার করা যাবে।

বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়সী প্রত্যেককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয় সরকার। যেটির প্রত্যেকটির আলাদা নম্বর থাকে। এই পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জমি কেনাবেচা ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাসহ সব কাজ করা হয়।

সংবাদ প্রকাশঃ ০৮০৭২০২৩ ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like>  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

Print Friendly, PDF & Email