সিটিভি নিউজ।। আমেরিকা প্রবাসী মোঃ খোরশেদ আলম এর জমিজমা ও বাড়ীঘর দখল করে রেখেছে একটি সন্ত্রাসী মহল। প্রতিবাদ করায় প্রবাসী খোরশেদ আলমের স্ত্রী সোহানা সুলতানা কে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসী চক্রটি। এই বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রবাসী খোরশেদ আলমের স্ত্রী। স্বামীর নির্মানকরা বিল্ডিংয়ে যেতে পারছেনা সোহানা সুলতানা ও তার পরিবার। এমন অভিযোগ করে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভুগি মহিলা। সাংবাদিক সম্মেলনে সোহানা সুলতানা বলেন আমার স্বামী দির্ঘদিন ধরে আমেরিকায় চাকুরী করছেন। আমার স্বামীর পাঠানো টাকায় আমার শ্বশুর ভিটায় দোতালা বিল্ডিং নির্মান করেছি ঐ ভবনটি ও পাশের কিছু ভূ’মি আমার স্বামীর ভাইয়েরা জোর করে দখল করে রেখেছে। ঐ এলাকার সন্ত্রাসীবাহিনী আমাকে মারধর ও হুমকি প্রদান করেছে। আমি নাঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ করেছি স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার ঘটনা স্থলে এসে আমাদের জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার পরও প্রতিপক্ষগণ তা অমান্য করে চলেছেন। ঐ প্রবাসীর স্ত্রী তার জীবনের নিরাপত্তা ও হামলার বিচার চেয়েছেন প্রশাসনের কাছে । সাংবাদিক সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন আবুল কাশেম হাজারী,মফিজুর রহমান হাজারী,এডভোকেট আহসান উল্লাহ,সার্ভেয়ারশাকিল মজুমদার।
সাংবাদিক সম্মেলনে সোহানা সুলতানা বলেন, আমার স্বামী মোঃ খোরশেদ আলম কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার মাহিনী বাজার, রায়কোট ইউনিয়নের বাসিন্দা। আমার স্বামীর ভাই মোঃ জসিম উদ্দিন মোল্লা, মোঃ নুরুল আমিন মোল্লা, মোঃ শাহজাহান মোল্লা, দীন মোহাম্মদ ও বদি আলম মোল্লা, সর্ব পিতা-মৃত আবদুল আজিজ মোল্লা, সর্ব সাং-রায়কোট, মোহিনী বাজার, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লাগন আমার স্বামীর অনুপস্থিতিতে আমাকে অসহায় পেয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার অবিচার করিতেছে আমার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি জায়গা তাহার ভাইয়েরা তাহাদের দখলে নেয়ার চেষ্টা করিতেছে। আমার স্বামীর পৈত্রিক ওয়ারীশসূত্রে প্রাপ্ত জায়গায় ২০০৪ সালে দালান নির্মাণ করি। আমি ও আমার স্বামী আমেরিকা বসবাস করায় এই সুযোগে আমার স্বামীর ভাইয়েরা তাহাদের বসবাসের সুবিধার্থে আমার স্বামীর উক্ত ঘর ব্যবহার করিত। আমরা মানবিক দৃষ্টিতে তাহাদের থাকতে দেই। পরবর্তীতে আমি বাংলাদেশে আসিয়া আমার স্বামীর জায়গায় বাড়ি ঘর নির্মাণ ও রান্নাঘর নির্মান করার প্রস্তুতি নিলে আমার স্বামীর ভাইয়েরা আমার স্বামীর জায়গা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাহাদের ব্যবহারের জন্য ঘর নির্মাণ করে। আমি তাহাদের নির্মাণ কাজে বাঁধা সৃষ্টি করিলে তাহারা আমাকে অশ্লীল গালমন্দ করে ও হুমকী ধমকী দেয় আমাকে মারধর করে। আমি স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের জানাই, সামাজিকভাবে সালিশ দরবার করিয়া সমঝোতার চেষ্টা করি। নিকটস্থ থানায় অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ আসিয়া ঘটনাস্থল তদন্ত করেন। আমার এলাকার চেয়ারম্যান মাস্টার রফিকুল ইসলাম, মোস্তফা মেম্বার ঘটনাস্থলে আসিয়া একজন সার্ভেয়ার দিয়া জায়াগার মাপঝোপ করান। এরপরও আমার স্বামীর ভাইয়েরা আমাকে স্বামীর সম্পত্তিতে যাইতে দিচ্ছে না। আমার ভাসুর ও আমার দেবরগণ আমার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি তাহাদের দখলে নিয়া আমাকে ও আমার সন্তানদের আমার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি জায়গা থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করিতেছে। আমার স্বামীর বাড়ির লোকজন আমাকে প্রকাশ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ হুমকী ধমকী দেয় যে, আমাকে ও আমার সন্তানদের খুন করিয়া ফেলিবে, আমার স্বামীর জায়গা তাহাদের দখলে নিয়া যাইবে। আমাকে তাহাদের ভাড়াকৃত সন্ত্রাসী দিয়া উঠাইয়া নিয়া যাইবে। এ সকল বিষয়ে আমি নাঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করি। নাঙ্গলকোর্ট থানায় জিডি নং-৪২৩, তারিখ ১১/৮/২০২২ইং। অভিযোগ তদন্ত থাকাকালে আমার ভাসুর ও দেবরগণ প্রতিনিয়তি আমাকে হুমকী দিয়া আসিতেছে। আমি ও আমার সন্তানেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগিতেছি। আমি আশংকা করিতেছি যে, আমার স্বামীর ভাইয়েরা যে কোন সময় আমাকে গুম খুন বা যে প্রকারের অঘটন ঘটাইতে পারে। আমার প্রাণ নাশের আশংকা বিদ্যমান। আমি আমার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি জায়গা রক্ষার্থে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দিয়া এর কোন প্রতিকার পাই নাই। এছাড়াও বিগত দিনে আমার স্বামী মোঃ খোরশেদ মোল্লা তাহার বড় ভাই শাহজাহান মোল্লার নামে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা পাঠায় এই টাকা দিয়ে তাহাদের গ্রামে একটি সুন্দর বাড়ি ও দোকান খরিদ করার জন্য পাঠায় এই টাকার কোন হিসাব নাই, পরবর্তীতে আমি জানতে পারি যে চট্টগ্রামে দোকান খরিদ করিয়া তাহার নিজের করিয়াছে। আমি আপনাদের স্বনামধন্য বহুল প্রচারিত পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়া সংবাদ মাধ্যমে আমার স্বামীর পৈত্রিক জায়গা জবর দখল থেকে রক্ষার জন্য ও আমার স্বামীর ভাইদের এ সকল অপরাধ কর্মকান্ডের বিষয়ে তুলে ধরে তাহাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।
( ভিডিও দেখুন)==
সংবাদ প্রকাশঃ ২৮-০৯-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=
