কলকাতার এই ৫ সবচেয়ে ভৌতিক জায়গায় দিনের বেলাতেও লোকে যেতে ভয় পায়

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।   কলকাতা শহরের পরতে পরতে যে রহস্য লুকিয়ে থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক। আর রহস্যভেদ করতে না পারলেই তা থেকে তৈরি হয় ভয়। লোকে বলে, এই সব ভয় নাকি সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই আমাদের শহরে জাঁকিয়ে বসেছিল। এখনও সেই সব ভুতুড়ে জায়গাগুলি নিয়ে কান ফিসফিসানি কম হয় না। আজও সেসব স্থানে গেলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে অতি বড় সাহসীরও। কেউ কেউ এসব গুজব বলে উড়িয়ে দিতে চান।

নামে সিটি অফ জয় হলে কী হবে, আমাদের প্রিয় শহর কলকাতার আনাচ কানাচে শুধু যে আনন্দই লুকিয়ে রয়েছে তা নয়, লুকিয়ে রয়েছে অনেক রহস্য, অনেক ভয়। তা ভয়, রহস্য থাকবে না? নেই নেই করে শহরের বয়স তিনশো পেরিয়ে গেছে অনেক দিন হল। তা এত পুরেনো শহরের পরতে পরতে যে রহস্য লুকিয়ে থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক। আর রহস্যভেদ করতে না পারলেই তা থেকে তৈরি হয় ভয়। লোকে বলে, এই সব ভয় নাকি সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই আমাদের শহরে জাঁকিয়ে বসেছিল। এখনও সেই সব ভুতুড়ে জায়গাগুলি নিয়ে কান ফিসফিসানি কম হয় না। আজও সেসব স্থানে গেলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে অতি বড় সাহসীরও। কেউ কেউ এসব গুজব বলে উড়িয়ে দিতে চান। কিন্তু হ্যালুইনের গা ছমছমে আবহাওয়ায় শহর কলকাতার সেই সব ভুতুড়ে জায়গাগুলি থেকে একবার ঘুরে এলে কেমন হয়? ​ন্যাশনাল লাইব্রেরি  ব্রিটিশ আমলে গভর্নর জেনারেলের বাসভবন ছিল আজকের ন্যাশনাল লাইব্রেরি। প্রাচীন এই ভবনে বহু দুষ্প্রাপ্য বই এই গ্রন্থাগারে পাবেন। বলা হয় যে এটি নাকি কলকাতার একটি ভৌতিক ভবন। অতিতে নাকি, গভর্নর জেনারেল চার্লস মেটকাফের স্ত্রী লেডি মেটকাফ ছিলেন একজন শুচিবাইগ্রস্ত মহিলা। বেঁচে থাকাকালীনই তিনি সারাক্ষণ পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। আজও নাকি তাঁর আত্মা ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ঘুরে বেড়ায়। গ্রন্থাগারের বই এবং বইয়ের তাকের আশপাশে নাকি তাঁকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। অনেকের বিশ্বাস তিনি নাকি বই আর বইয়ের তাক সারারাত ধরে পরিষ্কার করেন। এমনই দাবি করেছিলেন ন্যাশনাল লাইব্রেরির একজন প্রহরী। ২০১০ সালে লাইব্রেরির নীচতলায় একটি দরজাহীন ঘর আবিষ্কৃত হয়। এটি নাকি ব্রিটিশ আমলের এক গোপন চেম্বার। রাতে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ঢুতে দেওয়া হয় না। তবে হ্যাঁ, এখানে প্রবেশ করলে গা ছম ছম করবেই।

রয়্যাল ক্যালকাযা টার্ফ ক্লাব মানে যাকে আমরা বলি কলকাতা রেসকোর্স সোটি নাকি ভূতেদের আখড়া। এখানে নাকি উইলিয়ম সাহেবের সাদা ঘোড়া ঘুরে বেড়ায়। প্রশ্ন উঠতে পারে রেসকোর্সে ঘোড়া থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হ্যাঁ, স্বাভাবিক, তবে সমস্যাটা হল সেই ঘোড়ার বয়স কয়েকশো বছর। আর সেটিরক্ত মাংসের  নয়। অশরীরী। কথিত আছে যে, জর্জ উইলিয়ম নামে এক ইংরেজের প্রাইড নামে একটি সাদা ঘোড়া ছিল। প্রিয় সাদা ঘোড়া এবং রেস নিয়ে মগ্ন থাকতেন। প্রচুর রেস আর ট্রফি জেতায়, প্রাইডকে ছিল সেই সময়ের খুব বিখ্যাত রেসের ঘোড়া। উইলিয়ম ঘোড়াটিকে নিজের প্রাণের চাইতেও বেশি ভালোবাসতেন। কিন্তু একবার অ্যানুয়াল টার্ফি টুর্নামেন্টের আগে আকস্মিকভাবেই প্রাইড অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে অ্যানুয়াল ট্রফি হেরে যান উইলিয়ম। এরপর একদিন সকালে জর্জ দেখে, খোলা ট্র্যাকের উপরে সাদা ঘোড়াটি মরে পড়ে আছে। প্রাইডের শোকে উইলিয়মও বেশিদিন বাঁচেননি। সেই প্রাইড আর উইলিয়মকে নাকি আজও দেখা যায়। প্রত্যেক শনিবার

পূর্ণিমার রাতে  রেসকোর্সে তাদের দেখা যায়। এই ঘটনার অনেক প্রত্যক্ষদর্শীও রয়েছে।  কলকাতার বিখ্যাত হেস্টিসং কলেজটি অতিতে বেলভেডের এস্টেট নামে পরিচিত ছিল। এটি ছিল ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল উইলিয়ম হেস্টিংসের বাসভবন। কথিত আছে যে, কলেজের ছাত্রাবাসের কর্মী এবং ছাত্রীরা প্রায়ই একজন ব্রিটিশ পুরুষকে কলেজের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেখেন। তারপর সেখানে তিনি দৌড়াতে থাকেন। তিনি আর কেউ নয় স্বয়ং হেস্টিংস সাহেব! আবার, কয়েক বছর আগে এই মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল । তাই অনেকে বলেন যে, মাঝে মাঝে এই ছেলেটিকে এদিক ওদিক দৌড়াতে দেখা যায়।

পাকিস্তানের এই ৫ হাজার বছরের প্রাচীন হিন্দু মন্দিরে সতীর স্মৃতিতে আজও কাঁদেন দেবাদি দেব

​পার্কস্ট্রিট গোরস্থান= গোরস্থানটি  নির্মিত হয়েছিল ১৭৬৭ সালে। বর্তমানে এখানে আর কবর দেওয়া না হলেও ব্রিটিশ আমলে এই গোরস্থানের রমরমা সময় ছিল। এখানকার সমাধিগুলির স্থাপত্য ও শিল্পকলাও প্রশংসার দাবি করে। বর্তমানে এই স্থানে দিনেরবেলা লোকজন বেড়াতে যান। প্রাচীন সমাধিস্থানটিকে ঘিরে রেখেছে বিশালাকার গাছপালা, ঝোপঝাড়। এই গাছগুলিও শতাব্দী প্রাচীন। এখানে কিছুক্ষণ থাকার পর অনেকেরই নাকি শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। দিনের বেলা লোকজন গোরস্থানে গেলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে এই স্থান ফাঁকা করে দিতে বলা হয়। সেই সময় নাকি তেনারা গোরস্থানজুড়ে ঘুরে বেড়ান।

ভারতের এই ভুতুড়ে রেলস্টেশনগুলিতে রাতেরবেলা যেতে লোকজন বেশ ভয় পান

​খিদিরপুর ডক বিখ্যাত খিদিরপুর ডক তৈরি হয়েছিল নবাব ওয়াজিদ আলি শাহর আমলে। আওধ থেকে নির্বাসিত হয়ে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। কথা ছিল, আওধে তাঁর নবাবী দখল করে নেওয়ার পর লন্ডনে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ব্রিটিশরা। কলকাতায় তিনি বছরের পর বছর অপেক্ষা করলেও ব্রিটিশদের চিঠি পাননি। খিদিরপুরেই তাঁর বাকি জীবন কাটে। বর্তমানে খিদিরপুর ডক পূর্ব ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান খিদিরপুরেই তাঁর বাকি জীবন কাটে। দিনেরবেলা এই স্থান জমজমাট। কিন্তু রাতে নাকি এখানে

অশরীরীরা    ঘুরে বেড়ায়। তাদের লিডার স্বয়ং নবাব সাহেবের আত্মা। লোকে বলে, ব্রিটিশদের বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিশোধ না নিলে তাঁর

আত্মানাকি শান্তি পাবে না। এমনকি এই স্থানে যে সব সৈন্য এবং নাবিক মারা গেছেন তাঁরাও নাকি এখানে রাতের বেলা ঘুরে বেড়ান। দাবি করেছেন অনেক প্রত্যক্ষদর্শী।
হরিদ্বারের ভূতের জন্য এই ৬টি জায়গা খুব বিখ্যাত, এখানে গেলে প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকুন!

উত্তরাখণ্ডের এই ভৌতিক স্থানগুলিতে পর্যটকরা নন ঘুরে বেড়ায় বিদেহী আত্মারা! রয়্যাল ক্যালকাটা টার্ফ ক্লাবরয়্যাল ক্যালকাযা টার্ফ ক্লাব মানে যাকে আমরা বলি কলকাতা রেসকোর্স সোটি নাকি।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০১-১১-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email