না’গঞ্জে ছোট বোনকে ধর্ষণে বাধা দেয়ায় বড় বোনকে কুপিয়েছে কিশোর গ্যাং

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ছোট বোনকে ধর্ষণে বাধা দেয়ায় গার্মেন্টকর্মী বড় বোনকে কুপিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। ঘটনার পর থানায় জিডি করায় সোমবার (১২ অক্টোবর) রাতেও কয়েক দফা হামলা চালায় তারা। ছুরিকাঘাতে আহত গার্মেন্টকর্মী লাবুনীকে (২৫) ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। একদিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফেরেন লাবুনী। তার পেটে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করা হয়। ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে (১১ অক্টোবর) ফতুল্লার শিহাচর শাহজাহান রোলিং মিল এলাকায় মনির হোসেনের ভাড়াটিয়া বাড়িতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হারেজ মিয়া ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম ৩ মেয়ে ২ ছেলে নিয়ে মনির মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তাদের মধ্যে বড় মেয়ে আহত লাবুনী ও খলিল নামে আরেক ছেলের উপার্জনে তাদের ৭ জনের সংসার চলে। এই পরিবারের ছোট মেয়ে লাকীকে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার জীবন (১৬) ও লাদেন (১৭) নানা ভাবে উত্যক্ত করে আসছে। প্রায় সময় কুপ্রস্তাব দিতো তারা। এনিয়ে এলাকাবাসী জানতে পারলেও ভয়ে কিশোর অপরাধীদের কিছু বলতে পারতেন না। কারন তাদের প্রত্যেকের হাতে দেশি বিদেশী অস্ত্র থাকে। তারা অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেয়।
আহত লাবুনী জানান, রোববার রাত সাড়ে ৯টার সময় জীবন ও লাদেন সহ প্রায় ১০/১৫ জন কিশোর বয়সের ছেলে আমাদের বাসায় আসে। তাদের কারো বাবার নাম জানিনা। তবে আমাদের এলাকায় তারা কিশোর অপরাধী হিসেবে পরিচিত। তারা যখন আমাদের বাসায় আসে তখন আমি গার্মেন্ট থেকে বাসায় এসেছি। কিশোররা এসেই আমাদের ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে জীবন আমার বোন লাকিকে জরিয়ে ধরে খাটে ফেলে দেয়। তখন আমি চিৎকার করে জীবনকে ধাক্কা দিয়ে লাকিকে জরিয়ে ধরি। এসময় তারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর লাকিকে টেনে হেচড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন আবারো আমি তাদের সামনে গিয়ে দাড়ালে জীবন আমার পেটে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে দলবল নিয়ে চলে যায়। এসময় আমার মা বোন ও ছোট ভাইসহ আশপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। এরপর ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক আক্রান্ত স্থানে ১৮টি সেলায় করে একদিন ভর্তি রাখেন।
তিনি আরো জানান, এঘটনায় কিশোরদের ভয়ে থানায় গিয়ে তথ্য গোপন করে অভিযোগ না করে একটি জিডি করেছি। জিডির বিষয়টিও জীবন ও তার লোকজন জানতে পেরে সোমবার রাতে কয়েক দফা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে টিনের ঘর ও দরজা জানালা কুপিয়ে জিডি উঠানের হুমকি দিয়ে চলে যায়। জিডি না উঠালে পরিবারের সকলকে কুপিয়ে হত্যা করার হুমকি দেয়।
লাবুনীর মা সেলিনা বেগম বলেন, আমরা গরিব আর ওই সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক নেতাদের শেল্টারে চলে। আমরা তাদের সঙ্গে কিছুতেই পারবোনা। এলাকাবাসী শুনেও ভয়ে কোন প্রতিবাদ করেনি। যদি প্রশাসন বিচার করে তাহলে সন্ত্রাসীদের ফাঁসি চাই। সন্ত্রাসীরা কতটুকু ভয়ংকর তা আমার পরিবারের সকলে ও এলাকাবাসী জানে। আর যদি বিচার না পাই তাহলে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলায় চলে যাবো।
এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশের দুটি টিম পাঠানো হয়েছে। আশা করি অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৪১০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email