সিটিভি নিউজ।। কুমিল্লার লাকসামের বিজরা বাজারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোর-ডাকাতরা। প্রায়ই ওই বাজারে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এতে ব্যবসায়ীরা আতংকিত হয়ে পড়েছেন। এসব চুরি-ডাকাতির ঘটনায় থানায় অভিযোগ ও মামলা হলেও পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কোন ভূমিকা পালন করছে না। এছাড়া এখন পর্যন্ত চুরি যাওয়া কোন মালামালও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। একটি বাজারে একাধিক বার চুরি ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর একটি পাার্টি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন বিজরা বাজারের ব্যবসায়ী ঝুটন চন্দ্র ভৌমিক। তিনি ওই বাজারের মা মনি স্বর্ণ শিল্পালয়ের মালিক। ঝুটন জেলার বরুড়া উপজেলার ধলিরপাড় গ্রামের রাম চন্দ্র ভৌমিকের ছেলে।
এদিকে, অভিযোগ উঠেছে ওই বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.সেলিম এসব চুরি-ডাকাতির ঘটনায় সহযোগিতা করছেন। তিনি বাজারে কোন চুরি-ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত হলে ব্যবসায়ীদের পুলিশের কাছে যেতে বাঁধা প্রয়োগ করেন। এছাড়া এসব ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী ঝুটন চন্দ্র ভৌমিক বলেন, বিজরা বাজারে একের পর এক চুরি-ডাকাতির ঘটনায় ব্যবসায়ীরা এখন আতংকিত। এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা এসব ঘটনায় মামলা, মানববন্ধন, প্রতিবাত সভা করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। গত ১৯ আগস্ট রাত থেকে ২০ আগস্ট সকালের মধ্যে আমার মালিকানাধীন মা মনি স্বর্ণ শিল্পালয়ের ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটে। ওইদিন চোরের দল আমার দোকানের লকারের তালাসহ মোট ১৬টি তালা ভেঙে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার, ৪০ ভরি রূপা ও নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নেয়। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করতে চাইলে বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.সেলিম আমাকে বাধা দেন। এরপরও আমি থানায় মামলা দায়ের করি। কিন্তু পুলিশ এই মামলা নিয়ে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। এই পর্যন্ত ১৩টি দোকানে চুরি-ডাকাতি হলেও কোন ব্যবসায়ীর মামলামাল উদ্ধার বা অপরাধীরা ধরা পড়েনি। উল্টো ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদেরই হয়রানি হতে হচ্ছে।
ঝুটন চন্দ্র ভৌমিকের অভিযোগ, এসব চোর-ডাকাতদের সঙ্গে সেক্রেটারি সেলিমের সখ্যতা রয়েছে। যেকোন ঘটনা ঘটলে তিনি ব্যবসায়ীদের পুলিশের কাছে যেতে দেন না। নিজেই এসব ঘটনা ধামাচাপা দেন। তিনি এ ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। বাজারে এসব অপরাদ দমনে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.সেলিম। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কারও দোকানে চুরি-ডাকাতি হলে সে মামলা করবে। এখানে আমি কেন বাধা দিবো।
লাকসাম থানার ওসি মো.নিজাম উদ্দিন বলেন, আমরা ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মালামাল উদ্ধার এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এছাড়া প্রতিটি বাজারেই চুরি-ডাকাতি বন্ধে পুলিশের রাতের টহল জোরদার করা হয়েছে। আর কোথাও অভিযোগ পেলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সংবাদ প্রকাশঃ ০৮–১০–২০২০ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24 এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। সিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=