কৈলাশ পর্বত থেকে মর্ত্যলোকে নেমে আসেন দেবী দুর্গা

সিটিভি নিউজ।।    এডভোকেট তাপস চন্দ্র সরকার  সংবাদদাতা জানান ==
মেঘ-রদ্দুরের লুকোচুরি খেলায় মাঝে করোনার  তোয়াক্কা না করে সবুজ মাঠে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কাশফুল। দিয়েছে দেবীর আগমন বার্তা। বছর এবার এক্কেবারেই আলাদা। সাধারণতঃ মহালয়া ও যষ্ঠীর মধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধান থাকলেও এবার প্রায় ৩৫ দিনের ফারাক থাকছে। এক মাসের মধ্যে দুটো অমাবস্যা পড়ায় এই বিপত্তি। করোনার আবহেই বাপের বাড়ি ফিরবেন উমা। উমা আসলেই দূর হবে সব রকমের দুঃখ, এই আশাতেই বুক বেঁধেছেন মানুষ। শরতের শুভাগমনে বদলে গেছে মেঘের রং। প্রকৃতির রূপ দেখে নয়ন জুড়ায়। শরত ঋতুর এই প্রশান্ত ও ¯িœগ্ধ প্রকৃতির অপরূপ এবং আকর্ষণীয় সম্ভার আমাদের মনে করিয়ে দেয় আনন্দময় শারদীয় উৎসবের কথা। মহাশক্তিরূপিনী মা দুর্গা আসছেন ঘটকে এবং দেবীর বিসর্জন বা বিদায় হবে দোলায়। কৈলাশ পর্বত থেকে পৃথিবীতে নেমে আসছেন, মা তার চার সন্তানসহ আমাদের কাছে পিতৃগৃহে। মর্ত্যলোকে দেবী দুর্গার আগমন ঘটবে শিষ্য ও ভক্তদের আকুল আহবানে ও মন্ত্রোচ্চারণে, যার আবেদন সর্বজনীন। শ্রী রামচন্দ্রই সর্বপ্রথম শরতে অকাল বোধনে পূজা করেন, তাই শরতের এই পুজোকে শারদীয় শরতে অকাল বোধনে পূজা করেন, তাই শরতের এই পুজোকে শারদীয় দুর্গোৎসব বলে। মহালয়ার অমাবস্যার পরে দেবীপক্ষের প্রথম তিথিতেই দেবী দুর্গার শুভ আবাহনীর অনুষ্ঠানে শুরু হয়। দেবীপক্ষের প্রথম দিনটি থেকে শুরু করে নবমী পর্যন্ত এই নয়টি রূপে পূজিত হন দেবী দুর্গা। এই নয়টি রূপ হলোঃ শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘন্টা, কুস্মা-া, কন্দমতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি মহাগোরী ও সিদ্ধিদাত্রী।
সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। দেবীপক্ষের ষষ্ঠী দিন- ষষ্ঠী। ষষ্ঠীর দিন বেলদাছের নিচে “নবপত্রিকা” কে অধিবাস করানো হয় অর্থাৎ দেবী দুর্গার বোধন হয় “নবপত্রিকা” দিয়ে। “নবপত্রিকা” প্রকৃত অর্থে নয়টি উদ্ভিদের শাখা ও পাতা এই নয়টি উদ্ভিদরাজি হলো- অশোক, ডালিম, ধান, বেল, মানকচু, জয়ন্তী, অপরাজিতা, হলুদ ও কলা। আর এই নয়টি উদ্ভিদ নয়টি শক্তির প্রতীক, নয়টি রূপ, যা প্রাকৃতির শক্তির সঙ্গে সমষ্টিগতভাবে মহাশক্তির প্রতিনিধি আদ্যাশক্তি মহামায়া দেবী দুর্গা। এই নবপত্রিকাকে লালপাড় শাড়ি পরিয়ে মন্ডপে গণেশ ঠাকুরের ডানদিকে রেখে মাতৃজ্ঞানে পুজো করা হয়। প্রকৃত অর্থে নবপত্রিকা হলো শাম্যদেবীর পূজা কারণ মা দুর্গা তো এক অর্থে শস্য দেবীও। ষষ্ঠীর পরদিন মহাসপ্তমী। সপ্তমীর দিন সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হয় এবং নবপত্রিকার প্রবেশ, স্থাপন, কল্পারম্ভ ও সপ্তমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকের বাদ্যি, ঘন্টা ধ্বনি, করতাল ও বাজানোর আওয়াজে, শঙ্খ উলুধ্বনিতে, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ-ধূনা, প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে এবং পুষ্পাঞ্জলি, মন্ত্র উচ্চারণে সরগরম হয়ে উঠে পূজোর মন্ডপগুলো। এর পর প্রসাদ বিতরণ। সন্ধ্যায় ভক্তিমূলক গান, কীর্তন, রামায়ণ পালা ও আরতি হয়।
দেবীপক্ষের অষ্টমদিন মহাষ্টমী। সপ্তমীর পরদিন জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুরু হয় মহাষ্টমী। পূজারী ও ভক্তবৃন্দ এই দিনে ভোর থেকেই দেবী মা দুর্গার আরাধনা করেন। পাটভাঙ্গা নতুন বস্ত্র পরিধান করে দেবতাকে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন। বেলপাতা, ফুল, দূর্বা, চন্দন, ধূপ ও প্রসাদের সুগন্ধে মোহিত পরিবেশ। মহাষ্টমীরদিন অনেক পূজোমন্ডপে থাকে- এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ “কুমারী পূজা”। দেবী পুরাণে কুমারী পূজার উল্লেখ আছে; অজাতপুষ্প বালিকা সুলক্ষণা কুমারীকে পূজো করার বিধান রয়েছে। কথিত আছে, মহাভারতের অর্জুন কুমারী পূজা করতেন ও আদ্যাশক্তি মহামায়ার আরাধনা করতেন। কুমারী পূজার মাহাত্ম্য হলোঃ নারী জাতি মাতৃ জাতি ও মাতৃভাবাপন্ন এবং পূত পবিত্র। নারীর প্রতিশ্রদ্ধাশীল ও নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা হয় এই পূজোর মাধ্যমে। হিন্দু ধর্ম মতে “জননী জন্মভূমি স্বর্গাদপি গরীয়সী অর্থাৎ জননী ও জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও মহৎ। কল্যাণময়ী শক্তিময়ী, মাতৃদেবী কুমারী পুজোর মধ্যদিয়ে ভক্তদের পুজো গ্রহণ করেন ও মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত দেবীমূর্তি কল্পনা করে জগজ্জননীর উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই কুমারী পূজার উদ্দেশ্য। নারীর সম্মান, মর্যাদা ও ঈশ্বর স্তুতিই কুমারী পূজার অন্তর্নিহিত শিক্ষা,, কারণ নারী যে জগদ্বাত্রীর অংশ বিশেষ, সারাবিশ্বে তিনি মহামায়া রূপে প্রকাশিত। জানা যায়, ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে যেয়ে স্বামী ব্রহ্মানন্দকে বললেন, “রাজা’ আমি ভাব-চক্ষুতে অবলোকন করেছি এবার এই মঠে আমরা মহামায়ার আরাধনা করছি। এর পর থেকে প্রতিবছর শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন নিয়ন্ত্রিত মঠগুলোতে দুর্গাপূজার অষ্টমী তিথিতে “ কুমারী পূজা” অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন নবমী তিথিতে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় মহানবমী পূজো। পূজা অর্চনা, অর্ঘ্য,অঞ্জলি, প্রণাম ও নানাহ আচার অনুষ্ঠানে মধ্যদিয়ে শুরু হয় পুজো। প্রসাদ বিতরণ ও আরতি প্রণামের মাধ্যমে সমাপ্ত হয় মহানবমী পুজো। তারপর বিসর্জনের ঢাক বাজে। ভক্তদের মন বিষঅদে পূর্ণ, ঢাকের বোলেও বিষাদেরদ মুর্ছনা। পরদিন বিজয়া দশমী। দশভূজা দেবী মা দুর্গার সামনে সিঁদুর খেলা হয়, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, পুষ্পাঞ্জলি, প্রণাম মন্ত্রে মুখরিত মন্দির প্রাঙ্গণ। কিন্তু প্রতিমা নিরঞ্জনে যখন ধান, দূর্বা, আবির, মিষ্টি, জল, ফুল দিয়ে দেবীকে বিধায় দেয়া হয়, তখন ভক্তবৃন্দ কেঁদে আকুল হয়, কারও চোখ অশ্রুসজল। শুভ বিজয়া দশমীর পুণ্য তিথিতৈ দেবী দুর্গাতি নাশিনী মা দুর্গা প্রত্যাবর্তন করেন স্বামী শিব ঠাকুরের গৃহে কৈলাশে। “দুর্গা” শব্দের একটি অর্থ দুর্জ্ঞেয়া, আবার চ-ীতে আছে যে, দুর্গম নামের এক অসুরকে বধ করেন বলেই মায়ের নাম ‘দুর্গা’। আর দুর্গা অসুর সর্বদাই জীবজগৎকে দুর্গতি প্রধান করত, তাই এই দুর্গমকে নিধন করে দেবী মা দুর্গা জীবজগৎকে দুর্গতির হাত থেকে মুক্ত করেন, সেই কারণে মা দুর্গার আরেক নাম দুর্গতিনাশিনী। দেবী মা দুর্গা আনন্দময়ী, কারণ মায়ের আগমনের মধ্যদিয়ে দুঃখ-জ্বালা-যন্ত্রণার বেদনার অবসান ঘটে। মহাশক্তি দুর্গা সকল অশুভ শক্তি, অপশক্তি ও অসুর শক্তির কবল থেকে আমাদের রক্ষা করেন। পৃথিবীতে যখন সামাজিক রাবণেরা দম্ভ প্রকাশ করে; পাপ, অন্যায়, অনাচার, অত্যাচার ও আসুরিক শক্তি প্রকট হয়ে উঠে, তখন দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন করতে আসেন মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা। শারদীয় দুর্গাপূজা সেই শুভ শক্তি ও কল্যাণের পুজো, যে পুজো আনন্দ উৎসবের মধ্যদিয়ে জাতি ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল বাঙালীর মাঝে মৈত্রী ও সৌভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলে।
বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়- বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মহামারীর দিনে দুর্গোৎসবে ২৬ দফা নির্দেশনা মহামারীতে এবার রঙ হারাচ্ছে দুর্গোৎসবও মহামারীর দিনে এবারের দুর্গোৎসবে সেই আড়ম্বর আর থাকছে না, মহালয়া থেকে শুরু করে শারদীয় এই উৎসবের সব ক্ষেত্রেই থাকবে স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি। হিন্দু আচার অনুযায়ী- মহালয়া, বোধন আর সন্ধিপূজা এই তিন পর্ব মিলে দুর্গোৎসব। সাধারণতঃ আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন হয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। আশ্বিন মাসের এই শুক্ল পক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। দেবীপক্ষের শুরু হয় যে অমাবস্যায়, সেদিন হয় মহালয়া; সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সেদিন ‘কন্যারূপে’ ধরায় আসেন দেবী দুর্গা। এবার মহালয়া আজ ১৭ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বিশ^কর্মা পুজোরদিন। কিন্তু পঞ্জিকার হিসাবে এবার আশ্বিন মাস ‘মল মাস’, মানে “অশুভ মাস”। সে কারণে এবার আশ্বিনে দেবীর পূজা হবে না। পূজা হবে কার্তিক মাসে। সেই হিসাবে এবার দেবী দুর্গা ‘মর্ত্যে আসবেন’ মহালয়ার ৩৫ দিন পরে। পঞ্জিকা অনুুযায়ী- ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে হবে বোধন, দেবীর ঘুম ভাঙানোর বন্দনা পূজা। পরদিন সপ্তমী পূজার মাধ্যমে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল আচার অনুষ্ঠান। ২৬ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জনে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। প্রতিমা তৈরি থেকে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভক্ত-পূজারি ও দর্শনার্থীদের জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা, সকলে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা, দর্শনার্থীদের মধ্যে ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, পূজামন্ডপে নারী-পুরুষের যাতায়াতের আলাদতা ব্যবস্থা করা, বেশি সংখ্যক নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখার কথা বলা হয়েছে এ সব নির্দেশনায়। সারাদেশে পূজা কমিটিগুলোকে বলা হয়েছে, ‘সন্দেহভাজন’ দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা রাখতে হবে। আতশবাজি ও পটকা ফাটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। পূজামন্ডপে রাখতে হবে সিসি ক্যামেরা। ভক্তিমূলক সংগীত ছাড়া অন্য কোনো গান যেন বাজানো না হয়, মাইক বা পিএ সেট যেন ব্যবহার করা না হয়, পূজামন্ডপে ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত দীর্ঘ সময়’ কোনো দর্শনার্থী যেন না থাকে এবং সন্ধ্যার বিরতির পর দর্শনার্থীদের প্রবেশে যেন নিরুৎসাহিত করা হয়- সেসব বিষয়ও আছে নির্দেশনায়। এ ছাড়া সব ধরনের আলোকসজ্জা, সাজসজ্জা, মেলা, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিহার করা, সম্ভব হলে বাসা/বাড়িতে থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভক্তদের অঞ্জলি দেওয়া, খোলা জায়গার অস্থায়ী প্যান্ডেলে স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণভাবে মেনে চলা, প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে মন্ডপকেন্দ্রিক ‘শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি’ গঠন, গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা এবং প্রতিমা নিরঞ্জনে শোভাযাত্রা পরিহার করার নির্দেশনা রয়েছে ২৬ দফার মধ্যে। এবার পূজার অনুষ্ঠানমালা শুধু ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করে পূজা-অর্চনার মাধ্যমে মন্দির প্রাঙ্গণেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগ ছোঁয়াচে হওয়ায় সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা, ভিড় এড়ানো এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে এবার বাংলা নববর্ষ এবং ঈদেও উৎসবের আমেজ ছিল না। ঠিক অন্যান্য বছরের মতো এই বছরটা নয়। তাই ঠিক অন্যান্য বারের দুর্গাপুজোর মতোও এ বছর প্রাক দুর্গা পুজোওর রেশ একই মেজাজে নেই! তবুও উমা ফিরবেন ঘরে, তাই বাঙালি এই বিশ্বজোড়া সংকটের মধ্যেও ঘরের মেয়েকে যথাসাধ্য বরণ করে নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে। তবে প্রতিটি পক্ষেপেই রয়েছে মড়ক মহামারীর প্রবল আশঙ্কা। করোনার প্রবল দাপটের মধ্যে এবছর দুর্গাপুজোয় মা দুর্গা কীসে আসছেন, আর কীসে গমন করছেন, তা দেখে নেওয়া যাক শাস্ত্র মতে। সাধারণত মহালয়া ও যষ্ঠীর মধ্যে এক সপ্তাহের ব্যবধান থাকলেও এবার প্রায় ৩৫ দিনের ফারাক থাকছে। এক মাসের মধ্যে দুটো অমাবস্যা পড়ায় এই বিপত্তি। সাধারণত এমন মহালয়া ও দুর্গাপুজোর দিন ক্ষণ দেখা যায় না। তবে এটাই প্রথম বার নয়, এর আগেও ১৯৮২ ও ২০০১ সালে একই কারণে মা দুর্গা এসেছিলেন দেরিতে। এ বছর দুর্গাপুজোর অন্যতম বিশেষত্ব হলো মহালয়ার প্রায় ৩৫ দিন পর মা দুর্গা মর্ত্যে পা রাখছেন। আর সেই মতো, আজ ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া অন্যদিকে বিশ^কর্মা পূজাও। পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের শুরুর এই কাঙ্খিত ভোর সতেরো সেপ্টেম্বর এবং দুর্গাপুজো ২১ অক্টোবর শুরু হবে। এ বছর দুর্গাপুজো আশ্বিন নয়, ৪ঠা কার্তিক (২১ অক্টোবর) বুধবার পঞ্চমী পড়েছে ও ৭ কার্ত্তিক (২৪ অক্টোবর) কুমারী পুজো ও সন্ধিপুজো এবং দশমী পড়ছে ৯ই কার্ত্তিক (২৬ অক্টোবর) সোমবার। ওই দিনই বিকেল থেকে শুরু হবে সিঁদুর খেলা।  লেখক পরিচিতিঃ
সাবেক প্রচার সম্পাদক:
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখা।
মোবাইলঃ ০১৭১৪-৩৭৩৬০৫/০১৮৪৬-৩৯২০৫৫

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৬২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ