দেবীদ্বারে আপন ভাইকে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে পুতে রাখার ৮দিন পর গলিত লাশ উদ্ধার করল পুলিশ

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।      এবিএম আতিকুর রহমান বাশার :  সংবাদদাতা জানান ===
কুমিল্লার দেবীদ্বারে আপন ভাইকে হত্যা করে নিজ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার ৮দিন পর (সোহেল নামের এক যুবকের গলিত লাশের) সন্ধান পেল পুলিশ।
সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার থানা পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে দেবীদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রাম থেকে ওই যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার ও ছোরতহাল রিপোর্ট তৈরী পূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ।
নিহত সোহেল (৩২) দেবীদ্বার পৌর এলাকার দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকা সন্ধিগ্ধ ঘাতক নিহতের ভাই ইব্রাহীম পলাতক থাকায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘাতক ইব্রাহিমের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত ৩০ আগষ্ট দক্ষিণ ভিংলাবাড়ী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহিম এবং সোহেল মিয়ার মাঝে মারামারি হয়। ইব্রাহিম তার স্ত্রী রুজিনাকে সাথে নিয়ে যুবক সোহেল মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে ঘটনাস্থলেই সোহেল মারা যান। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ইব্রাহিম তার আপন ভাইয়ের লাশ বস্তাবন্দী করে তার নিজ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখেন। পরে বেশ কয়েকদিন যাবত তাকে খুঁজা খোঁজি করে না পেয়ে নিহতের ভাগিনা মাইনুদ্দিন সোহেল কোথায় আছে তা তার মামা ইব্রাহীমের নিকট জানতে চান। এ সময় ঘাতক ইব্রাহিম জানান সোহেলকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে। স্বজনরা কোন নিরাময় কেন্দ্রে তাকে দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ইব্রাহিম তাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নিজেই আত্মগোপন করেন।
আশপাশের লোকজন ইব্রাহিমের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে চাপ দিলে নিজ ঘরেই সোহেলের লাশ পুঁতে রাখা হয়েছে বলে জানান। খবর পেয়ে দেবীদ্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
তবে তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি স্পর্শকাতর, সোহেল একাধিক বিয়ে করলেও বর্তমানে তার কোন স্ত্রী নেই। সোহেলের প্রথম স্ত্রীর সংসারে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে আছে। সোহেলের বড় ভাই ইব্রাহীমের স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে ঘটনার দিন (৩০ আগষ্ট) রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইব্রাহীম কোদালের বাট দিয়ে সোহেলের মাথায় আঘাত করলে সে লুটিয়ে পড়ে। পরে ইব্রাহীম ও তার স্ত্রী মিলে নিজ ঘরের মেঝেতে মাটি খুঁড়ে সোহেলের লাশ গুম করে রেখেছিল।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন জানান, নিহতের ভাই ঘাতক ইব্রাহিমের স্ত্রীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজ সোহেল মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন ভাই ইব্রাহিম পলাতক থাকলেও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন, তদন্ত চলছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০ ৮২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

Print Friendly, PDF & Email