না’গঞ্জে স্কুল ছাত্রী জিসা মনি কান্ডে এস আই শামীম সাসপেন্ড

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার স্কুল ছাত্রী জিসা মনি অপহরণ মামলার নাটকীয় গল্প সাজিয়ে তিন ব্যক্তিকে ফাঁসানোর ঘটনায় সদ্য প্রত্যাহার হওয়া নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শামীম আল মামুনকে সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করা হয়েছে। তিনি এই্ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। এরআগে ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে আসামীদের স্বজনদের আনিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনন্সে সংযুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সোমবার (৩১ আগষ্ট) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জিসা মনি অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম আল মামুনের বিরুদ্ধে আসামির পরিবারের লোকজন অবৈধ উপায়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়। তদন্তের পর তার অপেশাদারিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ, গত ৪ জুলাই শহরের দেওভোগ এলাকার পোশাক শ্রমিক জাহাঙ্গীরের মেয়ে স্কুল ছাত্রী জিসা মনি (১৫) নিখোঁজ হয়। ১৭ জুলাই তার পরিবার থানায় জিডি করেন। পরে এক মাস পর ৬ আগস্ট একই থানায় স্কুলছাত্রীর বাবা অপহরণ মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ বন্দর উপজেলার বুরুন্ডি খলিলনগর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২) ও তার বন্ধু বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে রকিবকে (১৯) ও ৭ আগস্ট বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা নৌকার মাঝি খলিলকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে।
গত ৯ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শামীম আল মামুন গণমাধ্যমকে জানায়, স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয় আসামিরা। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। অথচ ২৩ আগস্ট দুপুরে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী। ফেরার পর ইকবাল পন্ডিত নামে এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে সংসার করছিল বলে জানায় জিসা মনি। পুলিশ অপহরন মামলায় ইকবালকেও গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় চারদিকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেওয়া তিন আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
তিন আসামীর স্বজনরা প্রকাশ্যে গণমাধ্যমে অভিযোগ করে পৃথকভাবে তাদের কাছ থেকে ৪৭ হাজার টাকা নিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শামীম আল মামুন। রিমান্ডে মারা হবে না এবং মামলায় ফাঁসানো হবে না এই শর্তে টাকা নেন তিনি। এ ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে বিষয়টি প্রমানিত হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এস আই শামীমকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
এদিকে জিসা মনি ঘটনায় মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর নথিপত্র নিয়ে হাইকোর্টে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর মামলা সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০১২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

Print Friendly, PDF & Email