না’গঞ্জে স্কুলছাত্রী জিসা মনির ঘটনায় দেওয়া জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : রিমান্ডের ভয়ে ভীত হয়ে জীবিত স্কুলছাত্রী জিসা মনিকে ধর্ষণ ও হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছে উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে গ্রেফতার হওয় তিন আসামি। সোমবার (৩১ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় আদালতে উপস্থিত হয়ে আসামিরা এ আবেদন জানান। সকাল ১১টার দিকে জিসা মনি অপহরণ মামলায় গ্রেফতার তিন আসামিকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলমের আদালতে তোলা হয়। পরে আসামিরা রিমান্ডে ভীত হয়ে ১৬৪ ধারায় ধর্ষণ ও হত্যার জবানবন্দি দিয়েছে উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। আদালত আবেদন গ্রহণ করে তা নথিভুক্ত করার নিদের্শ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন জানান, সোমবার সকালে আসামিদের আদালতে তোলা হয়। তিন আসামি বিজ্ঞ আদালতের কাছে তাদের দেওয়া জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। আসামিদের পক্ষে জবানবন্দি প্রত্যাহারের একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়। পরে আদালত তা গ্রহণ করে তা নথিভুক্ত করার নিদের্শ দেন। পাশাপাশি আদালত জিসা মনির স্বামী ইকবাল পন্ডিতের রিমান্ড শুনানী হয়। শুনানীতে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আরও জানান, রিমান্ডের ভয়ে ভীত হয়ে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দির পরিণতি না বুঝেই জবানবন্দি দিয়েছে আসামিরা। যেহেতু ভিক্টিম উদ্ধার হয়েছে সুতরাং স্বীকারোক্তিতে দেওয়া বিষয়টির সাথে আসল ঘটনার সামঞ্জস্য নেই। কেবল নিজেদের পুলিশি নির্যাতন থেকে রক্ষায় ওই জবানবন্দি দেওয়া হয়েছিল দাবি করে আসামিরা।
এদিকে একই দিন আদালতে আসামি আব্দুল্লাহ ও রকিবের জামিন আবেদন করা হয়। পাশাপাশি পুলিশ জিসা মনির স্বামী ইকবাল পন্ডিতের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত উভয় আবেদন নামঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই স্কুলছাত্রী জিসা মনি (১৫) নিখোঁজ হয়। এক মাস পর ৬ আগস্ট একই থানায় স্কুলছাত্রীর বাবা অপহরণ মামলা করে। মামলায় বন্দর উপজেলার বুরুন্ডি খলিলনগর এলাকার আব্দুল্লাহ ও তার বন্ধু বুরুন্ডি পশ্চিমপাড়া এলাকার রকিবকে আসামি করা হয়। ওইদিনই তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় দুইদিন পর বন্দরের একরামপুর ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা নৌকার মাঝি খলিলকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয় আসামিরা। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনাস্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। অথচ ২৩ আগস্ট দুপুরে বন্দরের নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকায় সুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায় নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে। এ ঘটনায় পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেওয়া জবানবন্দি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।  সংবাদ প্রকাশঃ  ৩১২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

Print Friendly, PDF & Email