নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ওসি ম্যানেজ! বহাল তবিয়তে সন্ত্রাসী উৎস

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাল ফতুল্লার গাবতলী এলাকায় দিনে দুপুরে রামদা নিয়ে উঠতি বয়সী সন্ত্রাসী গাউছুল উৎসের মহড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেও ৮ দিনেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। এমন কি গ্রেপ্তারে কোন তৎপরতাও দেখায়নি। এতে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ভুক্তভোগি ও এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে।
অভিযোগ রয়েছে, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেনকে ‘ম্যানেজ’ করেই বহাল তবিয়তে রয়েছে ওই সন্ত্রাসী। ধারালো অস্ত্র নিয়ে উৎস যে প্রতিবেশীর উপর হামলা চালিয়েছে ভুক্তভোগি নারী ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও ওসি আসালাম সন্ত্রাসীকে রক্ষায় ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি গণমাধ্যম ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে প্রচার করেন হামলাকারী আর হামলার শিকার উভয়ে আত্মীয়-স্বজন। তাই তাদের মধ্যে মিমাংশা করে দেয়া হয়েছে। অথচ থানায় অভিযোগকারী বলছেন, কোন দিক দিয়ে আত্মীয়?। ওসি প্রমান করুক। স্থানীয়দের অভিযোগ, অস্ত্রধারী উৎসের পরিবারের কাছ থেকে ‘সুবিধা’ নিয়ে ওসি আসলাম ভুল তথ্য প্রচার করছেন।
অভিযোগে নূরজাহান বেগম উল্লেখ করেছিলেন, তার ছেলে নিজামকে গত ৪ আগষ্ট উৎস তার ১০ থেকে ১৫ জন সহযোগি নিয়ে ধাওয়া করে। ওই সময় তাদের কাছে রামদা, চাকু, ক্ষুর সহ দেশীয় অস্ত্র ছিলো। তারা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করেছে বলে অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, সাদা টি শার্ট পড়া উৎস লম্বা একটি রামদা নিয়ে একটি গলি থেকে উত্তেজিত অবস্থায় বের হয়ে প্রতিবেশির বাড়িতে হামলা করে। তার পিছু পিছু আরও কয়েকজনকে দেখা গেছে। একটু পর উৎস ফের রামদা হাতে ওই গলিতে ফিরে আসে। গলিতে ফিরে এসে কাউকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করে কিছু বলছিলো। এক পর্যায়ে দৌড়ে একটি বাড়িতে ঢুকে। এর কিছুক্ষন পর উৎস ফের গলির মুখের সামনের রাস্তায় আরও কয়েকজনকে নিয়ে অবস্থান নেয়। পরে কয়েকজন যুবক ও একজন মুরুব্বি তাকে বুঝিয়ে গলির দিকে ফিরিয়ে আনে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোর বয়স থেকেই উৎস বখে যায়। ইতিপূর্বে কয়েকবার মারামারি, অপরকে জখমের ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করলেও গোলাম গাউস নিজেকে গোপালগঞ্জের লোক পরিচয় দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছে।
গাউস পরিবারকে চেনেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গাউসের বাবা বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা ডকইয়ার্ডে চাকরী করতো। তাদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে। গাউসের মায়ের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। স্থানীয়রা জানান, গাউসের আস্কারাতেই তার ছেলে অল্প বয়স থেকেই বখাটে হয়েছে।
ছেলের হাতে রামদা প্রসঙ্গে গোলাম গাউস বলেন, আমার ছেলে উৎসকে একটি পক্ষ হুমকি ধামকি দিচ্ছিল। একারণে ৪ আগস্ট আমার ছেলে রাগাম্বিত হয়ে রামদা নিয়ে বের হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, গত ৪ আগস্টের ঘটনায় নূর জাহান বেগম নামে এক নারী লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল। যেহেতু ঘটনাটি একই এলাকার এবং পরস্পর পরস্পরের প্রতিবেশি তাই ৬ আগস্ট উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে এনে উভয় পক্ষের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ঘটনা মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ওই ঘটনায় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। আর ভিডিও দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
থানার একটি সূত্র জানায়, মিমাংসা বৈঠকে উৎস বা তার বাবা গোলাম গাউস উপস্থিত ছিল না। গাউসের বিরুদ্ধে বিদ্যুতের মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছে। তাদের পরিবর্তে উৎস’র বড় চাচা গোলাম সারোয়ার থানায় উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ জায়েদুল আলম বলেন, এ ব্যাপারে ওসি ফতুল্লাকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৮ দিনেরও কোন নির্দেশনা কার্যকর হতে দেখা যায়নি। বহাল তবিয়তে রয়েছে সন্ত্রাসী উৎস।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৩২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

Print Friendly, PDF & Email