কালিরবাজারে ‘কালা বাহিনী’র প্রধান কালা পুত্রসহ গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি :সিআইডি কর্মকর্তাকে সংবর্ধনা

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।। এম.এইচ মনির   নিজস্ব প্রতিবেদক  জানান ===
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী কালা বাহিনীর প্রধান ‘ফিরোজ মিয়া ওরফে কালা’ পুত্রসহ সিআইডির হাতে গ্রেফতারের খবরে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ উপলক্ষে শনিবার সকালে মিষ্টি বিতরণ, শোকরানা মিলাদ ও কুমিল্লা সিআইডি’র এসআই মো. জহুরুল ইসলাম সংবর্ধনা প্রদান করেছে এলাকাবাসী। গত বৃহস্পতিবার বিকালে পিতা-পুত্রকে নগরীর শাসনগাছা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। আনন্দপুর গ্রামে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসী মোক্তার হোসেন ফরাজী হত্যা মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
‘কালা’ গ্রেফতারে উৎফুল্ল এলাকাবাসী গতকাল শনিবার সকালে স্থানীয় আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শোকরানা মিলাদ ও দোয়া এবং সিআইডি কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি’র এসআই মো. জহুরুল ইসলাম,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জহুর আহমেদ ভূইয়া, সমাজসেবক আবদুল মান্নান মেম্বার,আবু তালেব,অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সিরাজুল ইসলাম,মোজাম্মেল হক,যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন (ঝাড়–)সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ।
স্থানীয়রা জানান, কালা বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল এলাকাবাসী। আনন্দপুর গ্রামের মৃত আবদুল ওহাব ফরাজীর প্রবাসী পুত্ররা বাউন্ডারীসহ নতুন বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে স্থানীয় সন্ত্রাসী ‘কালা’ বাহিনীর লোকজন। চাঁদা না পেয়ে গত ৩০ জানুয়ারি আবদুল ওহাব ফরাজীর পুত্র সৌদি প্রবাসী মোক্তার হোসেন ফরাজীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় আহত হয় অপর দুই ভাই ইমাম হোসেন ফরাজী ও খোকন ফরাজী। প্রকাশ্য দিবালোকে বর্বরোচিত এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিউলী আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির অধিকতর তদন্তে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ ৫ মাস পর প্রবাসী মোক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামী ‘কালা’ গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি’র এসআই মো. জহুরুল ইসলাম জানান, এ মামলায় ১১ জন আসামীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী প্রদান করেছে।
প্রকাশ্য দিবালোকে ‘কালা বাহিনীর’ নারকীয় তান্ডবে আহত অপর দুই ভাইয়ের মধ্যে খোকন ফরাজী সুস্থ হলেও ইমাম হোসেন ফরাজী এখনো মানসিক ভারসাম্যহীন পঙ্গু অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
নিহত মোক্তার হোসেনের স্ত্রী শিউলি আক্তার জানান, পিতা হারা ৩ সন্তানকে নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন তিনি। শিশু সন্তানরা এখনো বাবাকে কুপিয়া হত্যার দৃশ্য মনে করে চিৎকার করে উঠে। তিনি স্বামী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছেন।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১১২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

Print Friendly, PDF & Email