সিআইডির হাতে‘কালা বাহিনী’র প্রধান ‘কালা’ পুত্রসহ গ্রেফতার

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।। এম.এইচ মনির   নিজস্ব প্রতিবেদক  জানান ===
কুমিল্লা সদরের কালিরবাজার এলাকার আনন্দপুর গ্রামে চাঁদা না পেয়ে সৌদি প্রবাসী মোক্তার হোসেন ফরাজী হত্যা ও অপর দুইভাইকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার মুলহোতা ‘কালা’ বাহিনীর প্রধান ফিরোজ মিয়া ওরফে কালা ও তার পুত্র মো.ইউসুফ গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে তাদেরকে নগরীর শাসনগাছা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। দীর্ঘ ৫ মাস পর প্রবাসী মোক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কুখ্যাত এ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের খবরে গতকাল বিকালে নগরীর পুলিশ সুপার কার্য্যলয়ের সামনে কালিরবাজার এলাকার বেশ কিছু কৌতুহলী মানুষ ভীড় জমায়। তারা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় খুনিদের ফাঁসির দাবি করেন।
সিআইডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জানুয়ারি সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে ওই প্রবাসী পরিবার বাড়ি নির্মাণ করতে গেলে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসী ‘কালা’বাহিনীর লোকজন। কিন্ত চাঁদা না দেয়ায় সৌদি প্রবাসী মোক্তার হোসেন ফরাজীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় আহত হয় ওই প্রবাসীর দুই ভাই প্রবাসী ভাই ইমাম হোসেন ফরাজী ও খোকন ফরাজী। পরদিন নিহতের স্ত্রী শিউলী আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আর ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির অধিকতর তদন্তে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডি’র কুমিল্লার এসআই মো. জহুরুল ইসলাম জানান, এ মামলায় ১১ জন আসামীর মধ্যে এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩জন আদালতে এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী প্রদান করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী ফিরোজ হোসেন কালা এবং তার ছেলে মো. ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়। অপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলেও তিনি জানান।
প্রকাশ্য দিবালোকে এ নারকীয় তান্ডবে আহত অপর দুই ভাইয়ের মধ্যে খোকন ফরাজী সুস্থ হলেও ইমাম হোসেন ফরাজী এখনো মানসিক ভারসাম্যহীন পঙ্গু অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় মানুষের মাঝে ক্ষোভের ঝড় উঠে। এলাকাবাসী জানান, কালা বাহিনীর অপকর্মে আনন্দপুর,কাচার,দীগলগাাঁও এ তিন গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। মোক্তার হত্যাকান্ডে এ বাহিনী এজাহার নামীয় আসামীর এলাকা ছাড়া হলেও সম্প্রতি তাদের অনুসারীরা আবারো সংগঠিত হতে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
উল্লেখ্য,মামলার আসামীরা হলেন আনন্দপুর গ্রামের মৃত ওয়াজ উদ্দিনের পুত্র ফিরোজ মিয়া ওরফে কালা মিয়া (৪৬), কালা মিয়ার পুত্র মো.ইউসুফ (২২), মৃত আহাজ উদ্দিনের পুত্র সহিদুল ইসলাম ওরফে শকু (৩২), আলী আশ্রাফের পুত্র মো.সুমন (২৮), মোস্তফাপু কাছার গ্রামের আলী হোসেনের পুত্র মো.ইউসুফ আহমেদ (৩৮), দীগল গাঁও গ্রামের জাকির হোসেনের পুত্র মো.শাহনেওয়াজ (২২), আনন্দপুর মৃত সরাফত আলীর পুত্র শফিকুল ইসলাম (৩৫), আলী আশ্রাফের পুত্র জয়নাল আবেদিন (৩০),আবদুল মজিদের পুত্র আরদুর রশিদ (৫০), মো.খোকন মিয়ার পুত্র মো.তিতাস (৩৮), মৃত মো.আহম আলীর পুত্র কামাল হোসেন (৪০)। ঘটনার দিনই খুনের সাথে জড়িত ৪ আসামীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। তারা হলেন আনন্দপুর মৃত সরাফত আলীর পুত্র শফিকুল ইসলাম (৩৫),আলী আশ্রাফের পুত্র জয়নাল আবেদিন (৩০),আবদুল মজিদের পুত্র আরদুর রশিদ (৫০) ও মৃত মো.আহম আলীর পুত্র কামাল হোসেন (৪০)।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০৯২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTV NEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

Print Friendly, PDF & Email