সিটিভি নিউজ।। বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান ===
কয়েক হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে কুমিল্লার বুড়িচংয়ের শাহ আলম(৫৫) নামে
এক ডায়বেটিস রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। শাহ
আলমের মৃত্যুর খবরে স্ট্রোক করে একই রাতে মারা তার বয়োবৃদ্ধ পিতা মোঃ আবদুল বারেক (৮০)। শাহ
আলম বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই এলাকার মুদি ব্যবসায়ী।
শাহ আলমের ছেলে শরীফ জানায়, শনিবার রাত ১১ টায় আব্বার(শাহ আলম) শরীর খারাপ হলে আমরা
তাকে হাসপাতালে নেই। প্রথমে ইষ্টার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাকে শুধু স্যালাইন
দি ে য় এক ঘন্টা ে র ে খ কুমিল্লা ে মডিকেল কে লজ হাসপাতা ে ল নি তে ব ে ল। প ে র কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজে নিলে সেখানে এক্স-রে করানোর কথা বলে এবং করোনা ছাড়া অন্য কোন রোগী
রাখে না বলে জানায়। সেখান থেকে তাদের কথা মত কুমিল্লা ডায়বেটিস হাসপাতালে নেয়া হলে
তারাও আইসিউতে নিতে হবে বলে মুন হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পরও আব্বাকে
বাঁচাতে পারিনি। রাত দুইটা থেকে থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত আমরা এই হাসপাতাল থেকে ওই
হাসপাতালে খালি ছোটাছুটিই করেছি।
শাহ আলমের ভগ্নিপতি একই বাড়ির মোঃ রফিক জানান, গতকাল শনিবার রাতে শাহ আলমের শরীর
হঠাৎ করে অসুস্থ হয়। এসময় তার দুই ছেলে শরীফ-আরিফ তাকে স্থানীয় কাবিলা এলাকার ইষ্টার্ন
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে স্যালাইন দিয়ে কুমিল্লা শহরে পাঠানো হয়।
সেখান থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে সেখানেও রাখা
হয় নি শাহ আলম ভাইকে, পাঠানো হয় কুমিল্লা ডায়বেটিস হাসপাতালে। ওই হাসপাতালেও
তাকে না রাখা হলে পরে তাকে নেয়া হয় নগরীর ঝাউতলা এলাকার মুন হাসপাতালে। মুন হাসপাতালের
চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউ নিতে হবে বলে জানান। এরই মধ্যে মারা যান শাহ আলম।
মোঃ রফিক আরো জানান, শাহ আলমের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এমন কিছু আমরা বুঝতে পারি
নাই। এছাড়া তার জ্বর, সর্দি, কাশি এমন ধরনের কোন লক্ষণ ছিলো না। শাহ আলমের মৃত্যুর পর সেই
শোকে তার বাবা আবদুল বারেকও মারা যান। তবে আমরা কোন হাসপাতালে চিকিৎসা পাইনি।
একই বাড়ির শাহ আলা ে মরই আ ে রক ভগ্নিপতি সুন্দর আলী জানান, শাহ আলম ে ক ক ে য়কটা
হাসপাতালে নেয়া হলো। তাকে সামান্যতম চিকিৎসা দেয়া হলো না। বিনা চিকিৎসায় শাহ
আলম মারা যায়। তাঁর মৃত্যুর খবর আমার শ্বশুর মোঃ আবদুল বারেকও মারা যান।
বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ মীর হোসেন মিঠু জানান, এটা খুবই দুঃখজনক যে
শাহ আলম কোথাও চিকিৎসা পাননি। যেহেতু কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন
আইসোলেশনের ব্যবস্থা আছে, তার যদি করোনাও হত তাহলেও তাকে চিকিৎসা দেয়ার কথা ছিলো।
আর করোনার লক্ষণ উপসর্গ না থাকলে অন্য হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেয়ার কথা ছিলো।
কুমিল্লা ে মডি ে কল ক ে লজ হাসপাতা ে লর পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান জানান, কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এভাবে কেউ ফিরে যাওয়ার কথা নয়। তবে যদি আইসিইউতে
নেয়ার মত রোগী হয়, তাহলে অন্য হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলা হয়ে থাকতে পারে। কারণ,
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সবগুলো আইসিইউ এখন শুধুমাত্র করোনা রোগীদের জন্য
বরাদ্দ।
সংবাদ প্রকাশঃ ৭–৬–২০২০ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTV NEWS24 এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। CTVNEWS24 See More সিটিভি নিউজ।। =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=