বুড়িচংয়ে চিকিৎসার নামে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ
সিটিভি নিউজ।।  সৌরভ মাহমুদ হারুন  বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি ঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার উত্তর গ্রাম মধ্যপাড়ার মোঃ অহিদ মিয়া (৬৮) কে চিকিৎসার জন্য একই বাড়ীর মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে বাবুল করিম ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত ২৯ অক্টোবর কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। বৃহস্পতিবার মামলার বাদী অহিদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামী বাদীকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকী-ধমকি দিয়ে আসছেন। বাদী এখন নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের উত্তর গ্রাম মধ্যপাড়ার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে মোঃ অহিদ মিয়া (৬৮) অসুস্থ হয়ে পড়লে একই বাড়ীর মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ বাবুল করিম (৪২) ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতাল এন্ড রিচার্জ ইন্সটিটিউটে নিয়ে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে অভিনব কায়দায় আড়াই লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণার শিকার মোঃ অহিদ মিয়া জানান, ২০১৯ সালে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ভাতিজা মোঃ বাবুল করিম ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতাল এন্ড রিচার্জ ইন্সটিটিউটে ঔষধপত্র ক্রয় ও চিকিৎসার সময় দেখাশুনা করতেন। ডাক্তারের অজ্ঞাতে বাবুল করিম তার চাচা অহিদ মিয়াকে জানান ডাক্তার বলেছেন তার ‘হার্টে রিং’ পরাতে হবে। এতে রিং পরানোর খরচ বাবদ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লাগবে এ বলে গত ২৪ এপ্রিল ২০১৯ইং সনে অহিত মিয়ার বুড়িচং উপজেলার শংকুচাইল অগ্রণী ব্যাংক শাখার একাউন্ট থেকে বাবুল করিমের ঢাকা-বাড্ডার কৃষি ব্যাংক শাখার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর – ৪১০৬০৩১০০ অনলাইনের মাধ্যমে ট্রান্সফার করে নিয়ে যায়। টাকা নেওয়ার পর থেকে বাবুল করিম অহিদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করতে গিয়েও সে ব্যর্থ হয়। বাবুল করিমের সাথে যোগাযোগে ব্যর্থ হয়ে অহিদ মিয়া ওই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে ডাক্তার তাকে ঔষধপত্র লিখে দিয়ে জানান আপাতত হার্টে রিং বসানোর কোন প্রয়োজন নাই। তিনি বর্তমানে ওই ডাক্তারের পরামর্শ ও চিকিৎসায় ঔষধপত্র সেবন করে আসছেন। বিভিন্নভাবে বাবুল মিয়াকে খুঁজে বের করে তার নিকট থেকে নেওয়া ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে সে প্রথমে সম্পূর্ণ টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এসময় অহিদ মিয়া বলেন আমার নিকট প্রমাণপত্র আছে ব্যাংকের স্ট্যাটমেন্টের মাধ্যমে। তখন প্রতারক বাবুল করিম বলেন, আজ-কাল টাকা দেবো বলে ঘুরাতে থাকে।
অপরদিকে, বাবুল করিম দীর্ঘ প্রায় ১ বছর ধরে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে লুকিয়ে থাকে বাড়িতে আসে না এবং তার মোবাইলে ফোন করলেও সে ফোন রিসিভ করে না। বরংচ বাবুল করিম টাকার বিষয়টি পুনরায় অস্বীকার করে এবং স্থানীয় লোকজন বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলে তিনি কারো কথাই কর্ণপাত করেন না।
এ ঘটনায় অহিদ মিয়া বাদী হয়ে ২৯ অক্টোবর কুমিল্লার আদালতে বাবুল করিমকে নামীয় আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার পর থেকে বাদী অহিদ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমাকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বাবুল করিম টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকী-ধমকি; ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন। এমনকি আসামী তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকীও দিচ্ছেন। তিনি এখন নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০৬১১২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ