নির্যাতনে গর্ভবর্তীর মৃত সন্তান প্রসবের অভিযোগ : মামলা তদন্তে পিবিআই

সিটিভি নিউজ।।    ফয়জুল ইসলাম ফয়সাল, মুরাদনগর  সংবাদদাতা জানান ===
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে নিরীহ প্রতিবেশীর উপর হামলা চালিয়ে ৩ জনকে মারাত্বক ভাবে জখম ও এক গর্ভবর্তী মহিলাকে লাথি মারলে সে মৃত সন্তান প্রসব করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের উৎরাইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে আদালতে মামলা হলে বিচারক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুন ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ওই গ্রামের মৃত আকরাম আলীর ছেলে জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে গত ১০ আগষ্ট মুরাদনগর থানায় একটি মামলা হয় (যার নং ৫/১৫৬)। ওই মামলার আসামীসহ তার লোকজনেরা বাদীকে হুমকি-ধমকি দেয় যে, মামলা প্রত্যাহার না করলে বড় ধরণের ক্ষতি হবে।
গত ১৬ অক্টোবর দুপুর আনুমানিক ১২টায় স্থানীয় স্কুল মাঠে খেলাকে কেন্দ্র করে বাদীর ছেলে সাইদুলের সাথে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী জামাল হোসেনের ছেলে সাহেদের তর্ক-বিতর্ক হয়। ওইদিন বিকাল আনুমানিক ৩টায় মনু মিয়া সরকারের ছেলে অহিদ সরকার ও তার স্ত্রী সুলতানা আক্তার পারিবারিক প্রয়োজনে স্কুল মাঠে যায়। তখন জামাল হোসেনের ছেলে মনির হোসেন ধারালো দা দিয়ে অহিদ সরকারকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। একই সময়ে জামাল হোসেনের আরেক ছেলে রাশেদুল ইসলাম গর্ভবতী সুলতানা আক্তারের তল পেটে লাথি মারলে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
ঘটনার পরপরই রফিকুল ইসলামের বসত ঘরের দরজা-জানালা ভেঙ্গে ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি ও ঘরে ঢুকে আগুন লাগিয়ে ২০ হাজার টাকার মালামাল পুড়িয়ে দেয়। তখন বাধাঁ দিলে মনু মিয়া সরকারের ছেলে সফিক মিয়া ও জালাল মিয়ার স্ত্রী শিল্পী আক্তারকে প্রতিপক্ষরা ব্যাপক মারধর করে। এ সময় তাদের শোর-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে গুরুতর আহত অহিদ সরকার, সুলতানা আক্তার, সফিক মিয়া ও শিল্পী আক্তারকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ অক্টোবর রবিবার ভোরে সুলতানা আক্তার একটি মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে।
এ দিকে মনু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জালাল ঘটনার বিচার চেয়ে অভিযুক্ত মনির হোসেনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ২০ অক্টোবর কুমিল্লার ৮নং অমলী আদালতে মামলা করলে (সি-আর-৩২৯/২০) বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শামসুর রহমান তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআই কুমিল্লাকে নির্দেশ দেন। অপর দিকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলাসহ সকল মামলা তুলে নিতে আসামীরা বাদী ও স্বাক্ষীদের প্রায়ই হুমকি-ধমকি অব্যাহত রেখেছে।
বিষয়টির ব্যাপারে অভিযুক্ত মনির হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। শুনে কুমিল্লা থেকে বাড়িতে আসি। ঘটনাটি সাজানো নাটক। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদেরকে অহেতুক হয়রানি করছে। (ফাইল ফটো)

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৩১০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ