২ জুলাই – সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম জালাল আহমেদ’র জন্মদিন

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।      শিব্বীর আহমেদ: সংবাদদাতা জানান ===    ২ জুলাই। আজ লাকসামের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ জালাল আহমেদ এর জন্মদিন। বাংলাদেশ সরকারের সরকারি নথী অনুযায়ী ১৯২১ সালের ২ জুলাই তিনি তৎকালীন কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার অর্ন্তগত পাঁচপুকুরিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবার নাম ওয়ালী মিয়া পন্ডিত এবং মা জোবায়দা বেগম। ছোটবেলায় তিনি স্থানীয় প্রাইমারি স্কুল মাদ্রাসায় পড়শুনা করেন। পরে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেন। ১৯৪০ সালে তিনি সীতাকুন্ড মাদ্রাসা থেকে ২য় বিভাগে দাখিল পাশ করেন এবং ঐ বছরই হাতিমারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। জালাল আহমেদ বাংলা, ইংরেজি, উর্দূ, হিন্দি ও আরবী ভাষায় অনর্গল বলতে ও লিখতে পারতেন। প্রায় পাঁচ বছর শিক্ষকতা করার পর ১৯৪৬ সালে তিনি কলকাতা যান এবং খাদ্য পরিদর্শক হিসাবে খাদ্য বিভাগে যোগদান করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান নায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। ১৯৪৪ সালে থেকে শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমান নাম মৌলানা আজাদ কলেজ) অধ্যয়ন করেন। লাকসামের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম জালাল আহমেদ ১৯৪৬ সালে কলকাতায় থাকাকালীন সময়ে তৎকালীন সময়ের তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে পরিচয় ঘটে এবং তাঁর ক্যারিসম্যাটিক নেতৃত্বে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলার স্বাধীকার ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪৬ সালের ১৬ই আগস্ট প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস পালনের সময় কলকাতায় ভয়ানক হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। ছাত্রনেতা মুজিবের নেতৃত্বে মরহুম জালাল আহমেদ মুসলিমদের রক্ষা এবং দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক তৎপরতায় শরিক হন। এছাড়াও তিনি ভারত ও পাকিস্তান কর্তৃত্বের বাইরে অবিভক্ত স্বাধীন বাংলা গঠনের যে “যুক্তবঙ্গ আন্দোলন” সংগঠিত হয় তাতেও তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে যুক্ত হন।

পরবর্তীকালে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি নিশ্চিত হলে আসাম প্রদেশের বাঙালি মুসলমান অধ্যুষিত সিলেট জেলার ভাগ্য নির্ধারণে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। শেখ মুজিব সিলেট গণভোটে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সংগঠক ও প্রচারক হিসেবে কাজ করেন। তিনি এসময় প্রায় ৫০০ কর্মী নিয়ে কলকাতা থেকে সিলেট গিয়েছিলেন যার মধ্যে মরহুম জালাল আহমেদ ও ছিলেন।

১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন বিকালে ঢাকার কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে গঠিত হয় নতুন একটি রাজনৈতিক দল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। পরবর্তীতে সেই দলের নাম পরিবর্তন হয়ে হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দল গঠনের শুরু থেকেই মরহুম জালাল আহমেদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন এবং আওয়ামী লীগের ঘোষিত বিভিন্ন কর্মকান্ডে মাঠে সোচ্চার হন। ১৯৫০ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের দুর্ভিক্ষবিরোধী মিছিল, বাংলা ভাষার আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট গঠন, প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসনের লক্ষ্যে ৪২ দফা কর্মসূচি পালন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়, ১৯৫৫ সালে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দাবির ২১ দফা আন্দোলন, পাকিস্তান সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার, ছেষট্টির ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণ আন্দোলন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

১৯৬০ সালে মরহুম জালাল আহমেদ খিলা ইউনিয়নে মেম্বার নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। এরপর তিনি পর পর দুইবার খিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ ছাড়া তিনি লাকসাম ও বরুড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এসোশিয়েশনর সভাপতি নির্বাচিত হন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের ফলে ’সাহেব’ নামে পরিচিত হতে থাকেন তিনি। মানুষের মাঝে থেকে মানুষের ভালোবাসা পেয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম জালাল আহমেদ’র লাকসাম ও পাঁচপুকুরিয়ার বাড়ি ধীরে ধীরে ’সাহেব বাড়ি’ হিসাবেই জনগনের কাছে পরিচিতি লাভ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আলহাজ¦ জালাল আহমদ ১৯৭০ সালে লাকসাম থেকে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে নির্বাচিত হন।

৭ই মার্চ রমনার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষনের পূর্বে জালাল আহমেদ পবিত্র কোরানের বাণী পাঠ করেন। এই সময় তারঁ সাথে লাকসামের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আবদুল আউয়াল সহ বৃহত্তর কুমিল্লার অন্যান্য রাজনীতিবীদরা উপস্থিত ছিলেন। লাকসামের প্রবীন সাংবাদিক ও ভাষা সৈনিক মরহুম আবদুল জলিল ৭ই মার্চ রমনা রেইসকোর্সের স্মৃতিচারন করে বলেন, মরহুম জালাল আহমেদ’র সফরসঙ্গী হয়ে আমরা ট্রেনযোগে ঢাকা রেইসকোর্স ময়দানে যাই। রেইসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু জালাল আহমেদকে দেখেই বলে উঠেন, ’ এইতো আমার জালাল এসে গেছে। সে কোরান তেলাওয়াত করবে।’ এরপর জালাল আহমেদ পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত শেষে বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুরু করেন।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্ভবত: মরহুম জালাল আহমেদই একমাত্র সংসদ সদস্য ছিলেন যিনি পরিবার পরিজন ছেড়ে ভারতে গিয়ে গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে ২ নং সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষন ও নেতৃত্বদানের মাধ্যমে লাকসাম অঞ্চলের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন মরহুম জালাল আহমেদ।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম জালাল আহমেদকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনি তাঁর নিজ গ্রাম পাঁচপুকুরিয়ায় হামলা চালায় এবং তাঁর বাড়িঘর লুটপাট শেষে বোমা গ্রেনেড দিয়ে পুরো বাড়ি ধ্বংস করে দেয়।

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হবার পর কাঁধে বন্দুক খাকী হাফপ্যান্ট সার্ট মাথায় ক্যাপ পায়ে আর্মীবুট পরে বীরের বেশে মরহুম জালাল আহমেদ তাঁর নিজ গ্রাম পাঁচপুকুরিয়ায় ফিরে আসেন। এই সময় হাজার হাজার জনতা তাঁকে কাঁধে নিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেন।

স্বাধীনতার পর স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে যে সংবিধান প্রস্তাবনা পাশ করা হয় তাতে তিনি স্বাক্ষর করেন। সংসদে বঙ্গবন্ধু মরহুম জালাল আহমেদকে ’জালাল কইরে’, ’আমার জালাল কই’ ইত্যাদি নামে সম্বোধন করতেন।

১৯৭২ সালের ২৬ জানুয়ারি লাকসামের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আবদুল আউয়াল এবং সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল আহমেদ লাকসামকে জেলা করার দাবী জানিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। সম্ভবত: এটিই স্বাধীন বাংলাদেশর প্রথম দাবী। কিন্তু এই দাবী আজো পুরন হয়নি।

১৯৭৩ সালে তিনি লাকসাম থেকে আবারো সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মরহুম আলহাজ্ব জালাল আহমেদ বাংলাদেশ থেকে প্রথম হজ্জ যাত্রীদের ডেলিগেট প্রধান হিসাবে নেতৃত্ব দেন এবং হজ্জব্রত পালন করেন।

মরহুম আলহাজ জালাল আহমেদ ১৯৭২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত লাকসাম থানার আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, সভাপতি এবং ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বায়তুল মোকাররম মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম জালাল আহমেদ খিলা আজিজ উল্যা উচ্চ বিদ্যালয়, ইকবাল নগর পোষ্ট অফিস, খিলা প্রাইমারী হাইস্কুল, হাতিয়ামুড়ি প্রাইমারি হাইস্কুল, নাড়িদিয়া প্রাইমারি হাইস্কুল, সাতেস্বর প্রাইমারি হাইস্কুল, মেল্লা প্রাইমারি হাইস্কুল, মনোহরগঞ্জ হাইস্কুল এন্ড কলেজ, মীর্জপুর সাতপুকুরিয়া হাইস্কুল, কাশিপুর মাদ্রাসা, মইনুল ইসলাম হাফেজিয়া মাদ্রাসা, খিলা ষ্টেশন প্রতিষ্ঠা সহ এলাকায় এলাকায় বহু স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, রেলওয়ে ষ্টেশন প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন।

১৯৪৮ সালে স্থাপিত লাকসাম পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় লাকসামের বিশিষ্টব্যক্তিত্ব গণপরিষদ সদস্য আবদুল আউয়াল, জালাল আহমেদ সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে সাবেক সংসদ সদস্য জালাল আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে এই পাবলিক লাইব্রেরি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। লাকসাম পাবলিক লাইব্রেরি পরিদর্শন বই দেখে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৫৭ সালের ৪ মার্চ লাকসাম পাবলিক লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নুরুল আমিনসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও অসংখ্য পদস্থ কর্মকর্তা লাকসাম সফরে এসে এ লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন। ওই সময় তারা লাইব্রেরির পরিদর্শন বইয়েও স্বাক্ষর করেছিলেন। স্বাধীনতার পর এ লাইব্রেরির কদর আরো বেড়ে যায়। লাকসাম শহরের প্রাণকেন্দ্র পৌরভবনের সামনে অবস্থিত পাকা ভবনে ছিল লাইব্রেরির কার্যালয়।

এই লাইব্রেরি থেকে জ্ঞানচর্চার সুযোগ পেত এলাকার জ্ঞানপিপাসু শিক্ষার্থী ও সাধারন নাগরিকেরা। ৭৪ বছর পুরনো এ লাইব্রেরিতে প্রবন্ধ, গল্প, উপন্যাস, কবিতা, ইতিহাস, রাজনীতি, আইন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়কসহ প্রায় ১০ হাজারের বেশি বই ছিল। এ ছাড়াও দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক পত্রিকা ও নানা ধরনের ম্যাগাজিন লাইব্রেরির টেবিলে শোভা পেত।

মরহুম জালাল আহমেদ’র এর পদাংক অনুসরন করেই তার পুরো পরিবার পুরো গ্রাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যেই বেড়ে উঠে। সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম জালাল আহমেদ’র বড় সন্তান সামসুল আলম বাবার আদর্শেই বড় হন। বাবার হাত ধরে ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৮১/৮২ সালে নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্রলীগের মনোনীত ’সামসু-দীদার’ পরিষদে ভিপি প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। লাকসামের রাজনৈতিক অঙ্গনের এক সময়ের এই তুখোড় নেতা বর্তমানে অসুস্থ্য হয়ে নিজ বাসভবনে পরিবারের সাথে অবস্থান করছেন।

সাবেক এই সংসদ সদস্যের আরেক সন্তান আইটি বিশেষজ্ঞ শিব্বীর আহমেদ লেখক, গীতিকবি, সাংবাদিক এবং রাজনীতিবীদ হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলা একাডেমির সদস্য শিব্বীর আহমেদ’র ২৮টি বই বাংলা একাডেমি বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কথায় ছড়ায় মুজিবগাঁথা, ক্ষণিক দাঁড়াও পথিক, অগ্নীঝরা শ্লোগান জয়বাংলা, বাবার হাতের প্রথম ছোঁয়া, একাত্তরের যোদ্ধা প্রমুখ। বাবা ও ভাইয়ের পথ অনুসরন করে শিব্বীর আহমেদ বাল্যজীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন ১৯৮৬/৮৭ তে ছাত্রলীগের মনোনীত মতিন-মিশু পরিষদের পূর্ণ প্যানেল বিজয়ে বিশেষ অবদান রাখেন। ২০১২ সাল থেকে শিব্বীর আহমেদ মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও শিব্বীর আহমেদ ’আর কোন দাবী নাই, লাকসামকে জেলা চাই’ শ্লোগানে লাকসাম জেলা বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক হিসাবে লাকসামকে জেলা করার কর্মকান্ডে নিযুক্ত আছেন। উল্লেখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দাবী হিসাবে ১৯৭২ সালের ২৬ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট লাকসামকে জেলা ঘোষনা করার দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম জালাল আহমেদ’র পরিবারের প্রতিটি সদস্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এক বলিষ্ঠ সৈনিক।

১/১১ এর পর ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিজয় লাভ করার পর ১৪ জানুয়ারি ২০০৯ সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম জালাল আহমেদ মহান রাব্বুল আলামীনের ডাকে সাড়া দিয়ে চীরদিনের জন্য এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন। ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আলহাজ জালাল আহমেদ এর নামে উত্থাপিত শোক-প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

শিব্বীর আহমেদ, কথাসাহিত্যিক/ সাংবাদিক।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০১-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

 

Print Friendly, PDF & Email