সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : র্যাব-১১ সোমবার (১ আগষ্ট) ভোররাতে চাঞ্চল্যকর শিশু হুমাইরা আক্তার (৭) হত্যা মামলার মূল হত্যাকারী সেলিম মিয়া @ উদয় (২২) পিতা-মোঃ শুক্কুর আলী ও অপর সহযোগী শুক্কুর আলী (৫০), পিতা-মৃত হাসন আলী, উভয় গ্রাম-চেংগাকান্দি, থানা-সোনারগাঁকে মুন্সীগঞ্জের সদর থানাধীন দক্ষিণ কেওয়ার এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-১১ এর উপ পরিচালক স্কোয়াড্রন লীডার এ কে এম মুনিরুল আলম জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামী মোছাঃ বৈশাখী আক্তারের স্বামী মোঃ সজীবের সাথে আসামী মোঃ সেলিম মিয়া @ উদয় (আসামী মোছাঃ বৈশাখী আক্তারের ভগ্নিপতি) এর বিরোধ চলছিল। উক্ত বিরোধের জের ধরে সেলিম সজীবের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তার বোন হুমাইরাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। উক্ত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেলিম তার শ্যালিকা বৈশাখীকে শিশু হুমাইরাকে তার হাতে তুলে দিতে বলে। আসামী বৈশাখী তার শ^শুরবাড়ীর লোকজনের সাথে পারিবারিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় উক্ত প্রস্তাবে রাজি হয় এবং ভিকটিমকে বেড়ানোর কথা বলে তাকে সাথে নিয়ে আসামী সেলিমের কাছে তুলে দেয় এবং বাড়ীতে এসে ভিকটিম হারিয়ে যায় বলে জানায়। পরবর্তীতে আসামী সেলিম এজাহারে উল্লেখিত অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় পরস্পর যোগসাজশে শিশু হুমাইরাকে হত্যা করে লাশ গুম করে এবং নিখোঁজের দুইদিন পর তার লাশ সোনারগাঁ থানাধীন বড় নয়াগাঁও এলাকায় বালুর মধ্যে অর্ধেক পুঁতা অবস্থায় পাওয়া যায়। মূলত পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়।
তিনি আরো জানান’ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় উক্ত হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। উক্ত হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। র্যাব-১১ কর্তৃক উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ই জুলাই ২ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন বড় নয়াগাঁও এলাকায় হুমাইরা আক্তার ৭ বছর বয়সী এক শিশুর বালুর মধ্যে অর্ধেক পুঁতে রাখা অবস্থায় একটি লাশ পাওয়া যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা মোছাঃ সেতেরা বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ প্রকাশঃ ০১-০৮-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=