সিলেটে স্বামীকে হত্যার ৯ দিন পর খালাতো ভাইকে বিয়ে

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
সিটিবি নিউজ।।       সিলেটে অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন (৪২) হত্যা মামলায় ২সন্তানের জননী স্ত্রী শিপা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নগরের তালতলা এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিপা বেগমের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন মামলার তদন্তু কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছিন আলী। অপর এক আবেদনে নিহতের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের অনুমতিও চেয়েছেন তিনি। এ দুটি আবেদনের ওপর আগামী রবি (৬ জুন) বা সোমবার (৭ জুন) শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১ জুন) সিলেট মহানগর হাকিম আদালতে বাদী হয়ে আইনজীবী আনোয়ার হোসেনকে হত্যার অভিযোগ এনে ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই সিলেট সদর উপজেলার শিবেরবাজারের দীঘিরপার গ্রামের মনোয়ার হোসেন।
মামলায় শিপা বেগমের খালাতো ভাই (বর্তমানে স্বামী) শাহজাহান চৌধুরী মাহিকে প্রধান আসামি ও শিপাকে দ্বিতীয় আসামিসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এএসএম আব্দুল গফুর জানান, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সিলেট নগরের তালতলা এলাকায় নিজ বাসায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ছিলেন। কিন্তু তার অগোচরে স্ত্রী শিপা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল শাহজাহান চৌধুরী মাহি নামের একজনের সঙ্গে। এর জেরেই আনোয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়।
গত ৩০ এপ্রিল সেহেরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আনোয়ার হোসেন। পরদিন বিকেল ৩টার দিকে শিপা বেগম সবাইকে জানান, আনোয়ার হোসেন ডায়াবেটিস নিল হয়ে মারা গেছেন। পরে তাকে নিজের গ্রামের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলার শিবেরবাজারের দীঘিরপার গ্রামে দাফন করা হয়।
পরবর্তীতে আনোয়ার হোসেনের পরিবার জানতে পারে, পরকীয়ার জেরে আনোয়ার হোসেনকে হত্যা করেন স্ত্রীসহ কয়েকজন মিলে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১ জুন) সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলার আবেদন করেন আনোয়ার হোসেনের ভাই মনোয়ার হোসেন। পরে আদালতে শুনানি শেষে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)-কে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বিচারক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াছিন আলী জানান, আনোয়ার হোসেন মারা যাওয়ার মাত্র ১০ দিনের মাথায় শিপা বেগম তার খালাতো ভাই কানাইঘাটের বাসিন্দা (বর্তমানে নগরের উপশহর এলাকায় বসবাসকারী) শাহজাহান চৌধুরী মাহিকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে আনোয়ারের পরিবারের সঙ্গেও শিপা যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এ থেকে তাকে সন্দেহ করছে অ্যাডভোকেট আনোয়ারের পরিবার। এই লেখাটা এডভোকেট সোহরাব হোসেনএর টাইমলাইন থেকে নেয়া।
প্রায় প্রতিনিয়ত আইনজীবীরা হত্যার কবলে আর না হয় নিগৃহীত হচ্ছে। এটা কিসের আলামত। সমাজের বিবেক জাগ্রত হবে কবে। আর কতকাল নিস্তব্ধতা পালন করবে আইনজীবী সমাজ। এভাবে চলতে থাকলে একদিন তো বিস্ফোরণ ঘটে যাবে। তখন দায়িত্ব কে নিবে।
বাংলাদেশের সকল আইনজীবী এক হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে একটা কমিটি গঠন করে আইনজীবীদের কল্যানের জন্য ও সুরক্ষা আইন পাশ করার লক্ষ্যে কাজ করার জন্য অনুরোধ রইল। এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত।
কুমিল্লা মহানগর আইনজীবী কল্যান পরিষদ এই হত্যার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। হত্যাকারী যে ই হউক না কেন তাদেরকে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।সংবাদ প্রকাশঃ  ০৪২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email