সিদ্ধিরগঞ্জে ডিপিডিসির ষ্টোর কিপার মামুন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার বিদ্যুৎ চুরির মামলা

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মিটার টেম্পারিং করে নিজের ১০ তলা ভবনের বিদ্যুৎ চুরির প্রমাণ পাওয়ায় আব্দুল্লাহ আল মামুন @ বিদ্যুৎ মামুন নামে ডিপিডিসির এক ষ্টোর কিপার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার বিদ্যুৎ চুরির দায়ে মামলা দায়ের করেছে সিদ্ধিরগঞ্জের ডিপিডিসি।
অভিযানের পর থেকে তার ভবন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেছে ডিপিডিসি। বিদ্যুতের ওই কর্মচারী বর্তমানে ঢাকার পোস্তগোলার ডিপিডিসির ষ্টোর কিপার হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। বিদ্যুৎ কর্মচারী হয়েও অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ওই বিলকে ভুয়া উল্লেখ করে তার স্ত্রীর দ্বারা বিভিন্ন দফতরে আব্দুল্লাহ আল মামুন আবেদন করছেন বলে জাানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ ডিপিডিসির এক কর্মকর্তা। এদিকে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
মামলা ও ডিপিডিসি সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদরে ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলস্থ আল হেরা ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিঃ নামক ভবনে (যার বিদ্যুৎ গ্রাহক নং-১৫১৫২২৭০) অভিযান চালায় ডিপিডিসির স্পেশাল টাস্কফোর্স দল।
অভিযানে আসা দল এসময় আব্দুল্লাহ আল মামুনের ১০ তলা ভবনের বিদ্যুৎ সরবরাহের মিটারের টেম্পারিং করে বিদ্যুৎ চুরির প্রমাণ পায়। মিটার টেম্পারিং করে তিনি ৫ লাখ ৮ হাজার ৫৮৬ ইউনিট বিদ্যুৎ কারচুপি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়।
যার জরিমানার বিলের পরিমাণ ১ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৬’শ ৫৯ টাকা। ৮ নভেম্বরের মধ্যে উক্ত বিল পরিশোধের জন্য ডিপিডিসি সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিট থেকে তাকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হলেও তিনি ঐ বিল জমা দেননি। পরবর্তীতে ১৮ নভেম্বর ডিপিডিসি এনওসি সিদ্ধিরগঞ্জ বাণিজ্যিক কার্য্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আকরাম হোসেন বাদী হয়ে বিদ্যুতের স্পেশাল মেট্টোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (আদালত নং-৪) একটি মামলা দায়ের করেন (যার নং-২০৩/২১)। মামলায় আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী মমতাজ বেগমকেও আসামী করা হয়েছে।
মামলা ও বিদ্যুৎ চুরির ঘটনায় আব্দুল্লাহ আল মামুনের বক্তব্য জানতে তার ভবনে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। ঐ ভবনের একাধিক বাসিন্দা জানায়, ঘটনার পর থেকে তাদের ঐ ভবনে দেখা যাচ্ছে না। তার মোবাইল (০১৯৫৪৪২০২৮৭) ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে ডিপিডিসির সিদ্ধিরগঞ্জ বাণিজ্যিক কার্য্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তফিজুর রহমান জানায়, মিটার টেম্পারিং ও বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা অবহিত হয়ে ডিপিডিসির স্পেশাল টাস্কফোর্স দল অভিযান চালিয়েছিলো। বিদ্রুৎ চুরি ও মিটার টেম্পারিংয়ের প্রেক্ষিতে আমরা ঐ গ্রাহকের কাছ থেকে বিদ্যুত আইন অনুযয়ী জরিমানাসহ ১ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৬’শ ৫৯ টাকা নভেম্বরের ৮ তারিখের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ওই টাকা পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে আমরা মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। একই সময় আমরা ঐ ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছি।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২২-১১-২০২১ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ