শকুন সচেতনতা দিবস আজ

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
সিটিভি নিউজ।।     মামুন সরকার।। সংবাদদাতা ==
আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস আজ। প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে পরিচিত প্রাণীটিকে বাঁচাতে সচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের প্রথম শনিবার দিবসটি পালন করা হয়।
শকুন মৃত প্রাণীর মাংস খেয়ে বেঁচে থাকা এক প্রকার পাখি। সাধারণত এরা অসুস্থ ও মৃতপ্রায় প্রাণীর চারদিকে শিকারি পাখির মতো তীক্ষ� দৃষ্টি নিয়ে উড়তে থাকে এবং প্রাণীটি মরার জন্য অপেক্ষা করে। প্রাণীটি মারা গেলেই তাকে খাওয়ার জন্য শকুনরা হামলে পড়ে।
কয়েক যুগ আগেও গ্রামে-গঞ্জে যেখানে-সেখানে দেখা যেত শকুন। মাঠে গরু মরে পড়ে থাকলে ঝাঁক বেঁধে নামত শকুন। দিনে দিনে প্রকৃতির এ ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ বিলুপ্তির পথে। ১৯৯০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৯৯ শতাংশ শকুন বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএন। তবে গত ১০ বছরে শকুন রক্ষায় সরকারের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত এবং আইইউসিএনের নানা উদ্যোগে সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে।
পরিবেশবিদেরা বলছেন, প্রাকৃতিকভাবে পৃথিবীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করা বর্জ্যভুক প্রাণী শকুন। এটি শুধু প্রকৃতিকে পরিস্কারই রাখে না, জীবাণুমুক্তও রাখে। মৃত প্রাণীর মাংস খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে শকুন। বিভিন্ন রোগের জীবাণু যেমন অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্ণা রোগের সংক্রমণসহ অন্তত ৪০টি রোগের ঝুঁকি থেকে মানুষ ও পশু-পাখিকে রক্ষা করে। শকুন আকাশে উড়ে বেড়ানোর সময় নিচের সবকিছু স্পষ্ট দেখতে পায় বলে প্রাণীর মৃতদেহ দেখে নেমে আসে। একদল শকুন মাত্র ২০ মিনিটে একটি গরুর মরদেহ খেয়ে শেষ করে দিতে পারে।
বন বিভাগ ও আইইউসিএনের জরিপে দেখা গেছে, ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে পরিযায়ীসহ মোট শকুনের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ। ২০১২ সালে তা মাত্র ৫৫০টিতে নেমে আসে। ২০১৬ সালে দেশে শকুন দেখা যায় ২৪০টি। ২০১৮ সালের বন বিভাগ ও আইইউসিএনের সর্বশেষ জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে শকুন দেখা গেছে ২৬০টি।
ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানায় গেলে শকুন দেখার সুযোগ রয়েছে। ১৯৭৯ সালে মিরপুর চিড়িয়াখানায় প্রথম শকুন সংরক্ষণ শুরু হয়। তিনটি শকুনের মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছিল কর্তৃপক্ষ।
সারা বিশ্বে প্রায় ১৮ প্রজাতির শকুন দেখা যায়। বাংলাদেশে প্রায় ছয় প্রজাতির শকুন রয়েছে। চার প্রজাতি স্থায়ী আর দুই প্রজাতি পরিযায়ী। এগুলো হলো—রাজ শকুন, গ্রিফন শকুন বা ইউরেশীয় শকুন, হিমালয়ী শকুন, সরুঠোঁট শকুন, কালা শকুন ও ধলা শকুন। সব প্রজাতির শকুনই সারা বিশ্বে বিপন্ন। স্থায়ী প্রজাতির মধ্যে রাজ শকুন অতি বিপন্ন।
এবার দিবসটি উপলক্ষে বন বিভাগ এবং আইইউসিএনের উদ্যোগে ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। আইইউসিএন ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে দিবসটি পালন করে আসছে।সংবাদ প্রকাশঃ  ০৪২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে অথবা লিংকে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email