লোটাস কামালের কনসেপ্ট : লালমাই উপজেলা ৮ টি ইউপি নির্বাচনে সবাই পছন্দের তালিকায়

সিটিভি নিউজ।।    শান্তনু হাসান খান(বিশেষ প্রতিনিধি)  জানান ===
চলতি নতুন বছরে, সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি ইতি মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গ্রহণ করেছেন। জানুয়ারী থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারীর শেষ নাগাদ ধারাবাহিক ভাবে গত বারের মত ৫ ধাপে নির্বাচন শেষ করতে চান স্থানীয় মাঠ প্রশাসন। দেশে বর্তমানে ৪ হাজার ৫৭১ টি ইউনিয়ন পরিষদ বিদ্যমান। ২০১৬ সালে ২২ শে মার্চ শুরু হয়ে ৪ জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে নির্বাচন সমাপ্ত করে সরকার। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুসারে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন পূর্বে পরবর্তী পরিষদের গ্রহণযোগ্যতা থাকে। আর সেই আলোকে কুমিল্লা ১৮ টি উপজেলার ৩১২ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই কুমিল্লার মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন সি.ই.সি। এর মধ্যে নবগঠিত লালমাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ অন্যতম। এখানকার বর্তমান নির্বাচিত চেয়ারম্যানগণ সবাই সরকার দলীয়।
আর সেই আলোকে লালমাইর ৮টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থিরা নিরবে জনসংযোগ করে যাচ্ছেন। তবে এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের জন্য দলের সিনিয়র নেতা ও নীতি নির্ধারকদের কাছে ধর্না দিচ্ছেন। তবে শেষ অব্দি কার ভাগ্যে নৌকার টিকেট জুটবে- সেটা সময়ের ব্যাপার। উল্লেখ্য যে, কুমিল্লার নবগঠিত লালমাইর ৮টি ইউনিয়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন ভুলইন দক্ষিণ। এখানে বর্তমানে নির্বাচিত চেয়ারম্যান একরামুল হক। এর আগের মেয়াদে ছিলেন, ডাঃ তৈয়ব আলী। এ ২জন চেয়ারম্যান ছাড়াও বেশ কয়েকজন দলীয় প্রার্থীতা চাইবেন আগামী নির্বাচনে। তাদের মাঝে অন্যতম ইউনিয়ন আওয়মী লীগের সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন। দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কারণে সাধারন ভোটাররা পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। এ ছাড়াও প্রার্থীতা চাইবেন যুবলীগের আহ্বায়ক হারুন-উর-রশিদ, হাফেজ নুরু ও মজিবুর রহমান।
এদিকে বিশ^স্ত সূত্রে জানা যায়, এরা সবাই আওয়ামী দলীয় নেতা কর্মী। দীর্ঘ দিন যাবৎ এ এলাকার নীতি নির্ধারক সরকারের অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এর সংসদীয় নির্বাচনে নিবেদিত কর্মী ছিলেন। এবং তারা আজও তার হয়ে এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন। নবগঠিত লালমাই উপজেলা গঠনে লোটাস কামালের অবদানের কথা সবাই এক বাক্যে প্রশংসিত করেছেন। তবে কাকে রেখে কাকে দলীয় টিকেট দেবেন- তা নিয়ে ঝল্পনা কল্পনার শেষ নেই। ৮টি ইউনিয়নের সকল প্রার্থীরাই মনে করেন তারা লোটাস কামালের পছন্দের মানুষ। এই পছন্দের প্রার্থীতা বাছাই করতে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের কাউন্সিল অধিবেশন কিংবা বর্ধিত সভার মধ্য দিয়ে দলীয় ভাবে নমিনেটেড করলে কোন বিদ্রোহী প্রার্থীর আগমন ঘটবে না। সবাই তার জন্য এক হয়ে কাজ করবেন। এ বিষয়ে আঃলীগের সাধারন সম্পাদক রুহুল আমি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবার তেমন কোন সুযোগ নাই। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় যে সিদ্ধান্ত দেবেন বা যাকে দল থেকে নমিনেটেড করবেন, আমরা তার জন্যই কাজ করে যাবো আগামী দিন গুলোতে। এবং নৌকার প্রার্থীকে বিজয় করতে নিশ্চিত করবো। পাশাপশি জননেত্রী শেখ হাসিনার এবারের প্রতিপাদ্য- “আমার গ্রাম-আমার শহর” বাস্তবায়িত করতে আমি বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন, ভুলইন দঃ ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্ধের উপর সঠিক নিয়মে সকল উন্নয়নের কর্মকান্ড অব্যহত রয়েছে। তবে বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। এখানে অনেক অনিয়মের খবর আমাদের কানে আসে। আল্লাহ যদি আমাকে কামিয়াব করেন, তাহলে এখানকার পুঞ্জিভূত সমস্যা গুলো নিরসন করা সহ পরিষদের আওতায় দুঃস্থ মাতাদের ভিজিএফ, ভিজেডি কিংবা অন্য কোন ভাতা প্রদানের অনিয়ম হবে না। এছাড়া এলজিএসপি, টিআর, কাবিখার সকল প্রকল্প একজন সরকারী টেগ্ অফিসারকে সমন্বয় করে বাস্তবায়িত করতে সকল প্রকল্প চালিয়ে যাব। আর এখানকার সকল উন্নয়নের কেন্দ্র বিন্দু আমার মাননীয় সাংসদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তাদের দিক নির্দেশনা ও পৃষ্টপোষকতায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
৫৫ বছরের রুহুল আমিন ৮নং ওয়ার্ডের ভোটার। ছোট শরীফপুর স্কুল থেকে পাশ করে কুমিল্লা সরকারী কলেজ থেকে ইন্টার পাস করেন। ছাত্রাবস্থায় বঙ্গবন্ধু আদর্শ লালনের পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। পরবর্তী সময় লোটাস কামালের সান্নিধ্যে এসে আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি বলেন, অতিতের কর্মকান্ড আর যোগ্যতার মাপ কাঠিতে আমাকে মূল্যায়ন করলে এবং দলীয় টিকেট প্রদান করলে যে কোন প্রার্থীকে ডিঙ্গিয়ে আগামীতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ। এদিকে ১৬ হাজার ৭শত ভোটারদের মাঝে ২০% নবীন এবং তরুণ ভোটাররা আগামীতে রুহুল আমিন কে চেয়ারম্যান নির্বাচনে জয়ী করতে তার পেছনে একাট্টা।
রুহুল আমিন বলেন, সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে আসছি। আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আর আমার প্রিয় নেতা মাননীয় মন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল। জীবনে কোনদিন দলের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাজনীতি বাণিজ্য করি নাই। দরবার-শালিস বিচারে কোন পক্ষপাতিত্ব করি নাই। আর কোন গ্রুপিংয়ের রাজনীতি আমি করি না। কাউকে করতে উৎসাহ দেই না। আমার শুধু একটাই গ্রুপ- আর তা হল জননেত্রীর শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৮২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ