রুশ বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা!

সিটিভি নিউজ।।     রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের রোস্তভের মিলেরোভোতে একটি বিমান ঘাঁটিতে হামলার দাবি করেছে ইউক্রেনের বাহিনী। যা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনীর ওপর কিয়েভের বড় ধরনের আঘাত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।   রুশ বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা!

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাশিয়ার সামরিক বিমানঘাঁটিতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে আঘাত হানছে। এতে আশপাশের কয়েকটি ভবন আগুনে গ্রাস করে ফেলে। এছাড়া মস্কোর অন্তত একটি সু-৩০এসএম যুদ্ধবিমানের বিস্ফোরণ ঘটেছে।-খবর মেইল অনলাইনের

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রাশিয়ার ছয়টি হেলিকপ্টার ও ও সাতটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। এছাড়াও ৩০টি রুশ ট্যাংক ধ্বংস ও রাশিয়ার আট শতাধিক সেনাকে হত্যা ও গ্রেফতার করেছে বলেও জানায় ইউক্রেন।

রাশিয়ার কর্তৃপক্ষও একই দাবি করেছে। তারা বলছে, মস্কো ১৬০ ইউক্রেনীয় সেনাকে আটক করেছে। ইউক্রেনের ৭৪টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস, পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিতসহ অন্যান্য সমরাস্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে।

এদিকে কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পতন ঘটতে পারে বলে হুঁশিয়ারি করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবর বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক ধারণা হচ্ছে—বর্তমানে যেভাবে হামলা এগোচ্ছে, তাতে এক থেকে চারদিনের মধ্যে রুশ নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে কিয়েভ।বৃহস্পতিবার রাতে এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যে কিয়েভের ২০ মাইলের মধ্যে ঢুকে পড়েছে রুশ বাহিনী। তাদের বিশ্বাস—রুশ বাহিনীকে প্রত্যাশার চেয়েও কঠিন প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। তবে কিয়েভের পতন ঘটবে কি না, জানতে চাইলে ক্যাপিটল হিলের কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এর আগে এক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়া কিয়েভের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।

পশ্চিমাদের গোয়েন্দাদের সন্দেহ—কিয়েভ সরকারের পতন ঘটিয়ে সেখানে রুশ-বান্ধব ছায়া সরকার স্থলাভিষিক্ত করবে রাশিয়া। কিন্তু পরবর্তীতে ইউক্রেনের ভূখণ্ড রাশিয়া নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইবে কি না—তা কেউ পরিষ্কার করে বলতে পারেনি।

যে কোনো দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। শুক্রবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, কিয়েভের উত্তরের অবোলোন জেলায় প্রবেশ করেছে রুশ বাহিনী। পেট্রোল বোমা দিয়ে প্রতিরোধ গড়তে নাগরিকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।

কংগ্রেসের আর্মড সার্ভিসেস কমিটির রুবেন গ্যালিগো বলেন, রাশিয়া যদি কিয়েভ দখল করতে যায়, তবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রসহায়তা দেওয়া উচতি।

তিনি বলেন, আমাদের তৎপরতায় যদি কোনো প্রভাব না-পড়ে, তবে বুঝতে হবে—ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী আপস করেছে। তারপর প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দিকে নজর দিতে হবে, যারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে চাইবে।   সংবাদ প্রকাশঃ  ২৫-০২-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ