ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে সরেজমিনে দেখা যায়, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া নিয়ে শুধু শহর থেকেই নয়, রোগী আসছে প্রত্যান্ত গ্রাম থেকেও। আবার অনেকেই বহিরবিভাগ থেকে সাথে সাথে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন যাচ্ছেন ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে দেখা যায়, উপজেলার হোসেনগাঁও এলাকা থেকে আজাঝারুল ইসলামের স্ত্রী ২০ মাসের মেয়ে নিয়ে ডায়রিয়াজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সুন্দরী মোড়ের শামসুদ্দীনের ১২ মাসের শিশুকে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে ভর্তি করেছেন। তিনি বলেন, ডায়রিয়া সমস্যায় ভুগছে তার শিশুটি। পরিবারের প্রথম সন্তান তাই চরম দুঃশ্চিন্তার মধ্যে আছেন তারা। চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে এসেছেন।
এদিকে হাসপাতালের আরেক বেডে মুরসালিন নামে ১৮ মাসের শিশুকে আমগাঁও এলাকার সোহেল নামের এক বাবা ডাইরিয়া অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে তাদের শিশুটি এখন বেশ সুস্থ্য আছে বলে জানান তার পরিবারের লোকজন।
এদিকে শীতের শুরতেই ঠান্ডাাজনিত সমস্যায় ভুগছে বেশি করে শিশুরা। অনেকেই দূরদুরান্ত থেকে তাদের প্রিয় সন্তাানটিকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন এমন কথায় জানালেন রুগীদের স্বজনরা।
রাণীশংকৈল স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আর,এম,ও ডাক্তার ফিরোজ আলম বলেন, “আমরা রোগীর স্বজনদের পরামর্শ দিচ্ছি শিশুদের প্রতি আরও বেশি যত্নবান হতে। বিশেষ করে গরম কাপড় পরানো, উষ্ণ গরম পানি পান করাতে বলছি।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, কর্মকতার্ আব্দুস সামাদ চৌধুরী জানান, “শীতের কারণে কিছু রোগী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসলেও চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছে । হাসপাতালে শিশুরোগীসহ অন্যান্য রোগীদের ঔষুধ সরবরাহ ঠিকমতো চলছে। তবে আতঙ্কের কারণ নেই, সময়মত বাচ্চাদের যত্ন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেই সুস্থ হবে শিশুরা।”
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছেন ,উত্তরের প্রত্যন্ত এ এলাকায় প্রকৃতিতে ক’দিন আগে থেকেই মিলছে কন্ কন্ েশীতের অনুভূতি। এ অবস্থায় কিছুটা বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা, যাদের অধিকাংশই শিশু। ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট কিংবা নিউমোনিয়ায় অসুস্থ শিশুদের নিয়ে স্বজনেরা হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে সেবা নিচ্ছেন। যদিও এ অবস্থায় রাণীশংকৈলে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা, যাদের অধিকাংশই শিশু। ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট কিংবা নিউমোনিয়ায় অসুস্থ শিশুদের নিয়ে স্বজনেরা ভিড় করছেন হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ডাইরিযার রোগীর সংখ্যা ৫২ জন ও নিওমোনিয়া রোগীর সংখ্যা ৪ জন।সংবাদ প্রকাশঃ ১৯-০১-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=