রংতুলির আঁচড়ে জীবন্ত ছবি আঁকেন তিতাসের  রফিকুল ইসলাম সরকার

সিটিভি নিউজ।।      হালিম সৈকত।।  সংবাদদাতা জানান ====
রফিকুল ইসলাম সরকার  যখন বুঝতে শিখেন তখন থেকেই ছবি আঁকার প্রতি তার দুর্বলতা ছিল। তাই ছোট বেলায় একটু একটু ছবি আঁকতেন।
ঢাকা ইউনিভার্সিটির চারুকলা ফ্যাকাল্টি থেকে ১৯৮১ সালে পাশ করেন। চারুকলায় বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনীতে তখন তিনি প্রথম পুরষ্কার পান।
তাছাড়া পোষ্টার প্রতিযোগিতায় Proshika ngo থেকেও তিনি প্রথম পুরষ্কার পান।
আবারও পোষ্টার প্রতিযোগিতায় Family Planning থেকে যথাক্রমে প্রথম এবং তৃতীয় পুরষ্কার পান।
যেহেতু চারুকলা ফ্যাকাল্টির গ্রাফিকস ডিজাইন থেকে পাশ করেছেন সে জন্য পাশ করার পরপরই এডভারটাইজিং ফার্মে চাকরি পেয়ে যান।
এই বিষয়ে তিনি বলেন,
ঢাকার নামকরা অ্যাডভারটাইজিং ফার্মের একটি হলো “ASIATIC MARKETING COMMUNICATIONS LIMITED”, এটি স্বনামধন্য আসাদুজ্জামান সাহেব আর আলী জাকের সাহেবের গড়া। আমার ভাগ্যটা খুবই ভালো, কারণ এই ফার্মে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। এখান থেকেই আমি চাকরিতে অবসর গ্রহণ করি।
চারুকলা থেকে পাস করেই চাকরিতে ঢুকে পড়ার জন্য ছবি আঁকাআঁকির তেমন একটা সুযোগ হয়নি। কিন্ত মনের ভিতর ছবি আঁকার একটা সুপ্ত বাসনা সব সময়ই ছিল। কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন এক্সজিবিশন দেখতে যেতাম,  তখন ইচ্ছেটা আর-ও বেড়ে যেতো।  তাই রিটায়ার করেই সেই সুপ্ত ইচ্ছেটাকে একটু চাঙ্গা করার চেষ্টায় লেগে পড়লাম। হাতে তুলে নিলাম তুলি আর রঙ।
ভারতের দিল্লী দাকশিতা আর্ট গ্যালারী আয়োজিত “অনলাইন আন্তর্জাতিক এক্সজিবিশন, জুলাই ২০২১” এ আমার আঁকা দুইটি ছবি প্রদর্শিত হওয়ার সুযোগ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, সকলের দোয়ায় সেই ছবির জন্য “গোল্ড এ্যওয়ার্ড ” পেয়েছি।
আবারও দাকশিতায় অংশগ্রহণ করে  ১৫, আগস্ট ২০২১ এ “বেস্ট আর্টিস্ট” বিবেচিত হয়েছি। সেখানে আমি এতো বড় একটা সম্মান পাবো সেটা কখনোই ভাবিনি।
ভারতের “জ্যোতি গ্রুপ অব ফাইন আর্টস” থেকে আয়োজিত “৩য় আন্তর্জাতিক অনলাইন আর্ট এক্সিবিশন ২০২১” এ আমি “বেস্ট অ্যাওয়ার্ড” লাভ করি।
সীরাতুন্নবী (স.) উপলক্ষে বাংলাদেশ চারুশিল্পী পরিষদ আয়োজিত “জাতীয় ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং প্রতিযোগিতা – ২০২১” এ আমি ৩য় পুরস্কার অর্জন করি।
এছাড়া, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ২০২১ এ অংশ নিয়ে আমি ২য় স্থান লাভ করি।
সর্বশেষে তিনি বলেন, সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেনো আরো ভালো ছবি এঁকে দেশে ও দেশের বাহিরে আরও সুনাম অর্জন করে উপহার দিতে পারি।
উল্লেখ্য তিনি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের প্রয়াত নান্নু মেম্বারের ছেলে।সংবাদ প্রকাশঃ  ১০-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ