মৌলভীবাজারে বাল্য বিয়েতে ভূয়া জন্ম সনদ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে- ইউএনও শরিফুল ইসলাম 

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন
সিটিভি নিউজ।।    মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী : মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার ১২ নং গিয়াসনগর ইউনিয়নে ভূয়া জন্ম সনদ দিয়ে গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর ৭নং ওয়ার্ডের গোমড়া এলাকায় বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হয়। এতে বর ও কনের পরিবারকে জরিমানা ও মুচলেকা নেয়া হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করতে স্থানীয় কিছু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সহযোগীতায় ভূয়া জন্ম সনদ দিয়ে সহযোগীতায় বাল্য বিয়ে আয়োজন করেন  পরিবার গুলো।
গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার ১২ নং গিয়াসনগর ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডের গোমড়া এলাকায় বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হলে মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের নির্দেশনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মৌলভীবাজার এঁর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সদর উপজেলার ১২ নং গিয়াসনগর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের এর গোমড়া গ্রামে বাল্যবিবাহ নিরোধে জেলা প্রশাসন, মৌলভীবাজার কর্তৃক অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
পাত্রীর বাবা তার মেয়ের বয়স ১৮ বানানোর জন্য ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় মিথ্যা জন্মতারিখ দিয়ে একটি মনগড়া ‘জন্ম সনদ’ তৈরি করে বিয়ের আয়োজন করেছিলেন।
পরবর্তীতে চাপ প্রয়োগে পাত্রীর জে.এস.সি রেজিস্ট্রেশন ও এডমিট কার্ডের মূল কপি বের করানো হয়। সে অনুযায়ী বয়স ১৬ বছর ০৫ মাস ০৭ দিন।
এরই প্রেক্ষিতে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ধারা ৭ (১) অনুযায়ী পাত্রকে ৫,০০০/- এবং একই আইনের ধারা ৮ অনুযায়ী পাত্রীর বাবাকে ৫,০০০/- টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে আদায় করা হয়। পাত্রীর বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তারা বিয়ে করবেন না, বা দিবেন না মর্মে উভয় পক্ষ হতে মুচলেকা নেয়া হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. তানভীর হোসেন এবং জনাব মো: রুহুল আমিন।
জাল জন্ম সনদ তৈরীতে সহযোগীতা ও  প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হয় না?
 ১৯ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার জেলা সাংবাদিক ফোরামের আয়োজনে উপজেলা প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের আত্বঃ সম্পর্ক বিষয়ক কর্মশালায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের নিকট প্রতিবেদক উক্ত বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,  বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং জাল জন্ম সনদ তৈরীতে ১২ নং গিয়াসনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের যারা সহযোগীতা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য মৌলভীবাজার জেলাকে ২০১৬ ইং সালের ৭ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার সরকারী কলেজ অডিটোরিয়ামে শপথ বাক্য পাঠের মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজার জেলাকে বাল্য বিবাহ মুক্ত ঘোষনা করা হয় । শুধু কাগজে কলমে বিদ্যমান কিন্তু বাল্য বিবাহ মুক্ত রয়েছে বলে সচেতন সমাজ মনে করছেন।

বাস্তবে প্রতিনিয়ত মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে এভাবে বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হয় এবং সম্পন্নও করা হচ্ছে। কেবল নজরে আসা বাল্য বিয়ে বন্ধ ও জরিমানা করা হয়। কিন্তু অনুসন্ধানে আরো তথ্য পাওয়া যায় কিছু জনপ্রতিনিধিদের দূর্নীতি ও সহযোগীতার কারনে বাল্য বিবাহ মুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।সংবাদ প্রকাশঃ  ২০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

Print Friendly, PDF & Email