মুরাদনগর ইউপি নির্বাচনে : জনপ্রিয়তার তুঙ্গে চাপিতলার একক প্রার্থী কে হবেন?

সিটিভি নিউজ।।       শান্তনু হাসান খান (বিশেষ প্রতিনিধি) ===
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের মধ্যে চাপিতলা একটি সমৃদ্ধশালী জনপদ। ইউনিয়নের বর্তমান নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল কাইয়ুম ভূইয়া চলতি দায়িত্বে ২০১৬ থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন।
আগামী নির্বাচনে তিনি দল থেকে প্রার্থীতা চাইবেন। পাশাপাশি মোঃ চানু মিয়া, ইউসুফ শরীফ, শাহাবুদ্দিন টুটুল, মনিরুল হক দিপু ও কবির সরকার (ওয়ালটন কবির)। এখানকার মাননীয় এমপি আলহাজ্জ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন তাঁর দিক নির্দেশনায় এলাকার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। কাইয়ুম চেয়্যারম্যান ইদানিং বেশ আলোচিত হয়েছেন মিডিয়াতে। এ বিষয়ে মাননীয় সাংসদ ও এলাকার জনগণ বেশ ক্ষুব্দ। অল্প সময়ের মধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার শামীল। এ সব খবর নিয়ে এলাকায় মানুষের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ। তবে এ সব বিষয় চেয়ারম্যান অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আমাকে মাঠ থেকে দূরে সরানোর জন্য একটি বিশেষ মহল ইর্ষান্বিত হয়ে এসব অপকর্ম করছেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দীর্ঘদিন। আর সাধারণ সম্পাদক কাহারুল ইসলাম মুন্সী। তিনিও দল থেকে নমিনেটেড হতে চাইবেন। তবে ভালো অবস্থানে আছেন মোঃ চানু মিয়া। যদিও তাকে এলাকার মানুষ বিএনপি সমর্থিত একজন মনে করেন। তবে চানু মিয়া নিজেই বললেন-আমার শরীরে তেমন কোন রাজনৈতিক গন্ধ নেই। আমি সজ্জন হিসেবে এলাকায় দু:খি মানুষের পাশে অতীতে কাজ করেছি এখনও করছি। তবে বিএনপি’র এমপি মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ মানুষটাকে ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি। তার মানে এই নয় যে, আমি বিএনপি’র লিডার হয়ে গেছি। বিএনপি’র কোন পোর্ট ফলিওতে আমার নাম কখনো ছিল না। এখনো নেই। তবে আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আওয়ামীলীগের মতবাদকে সাধুবাদ জানাই।
এদিকে ইউসুফ শরীফ দীর্ঘদিন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের রাজনীতি করেছেন। উচ্চ শিক্ষিত। কোম্পানীগঞ্জের বদিউল আলম ডিগ্রি কলেজ থেকে ইন্টার শেষ করে ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেছেন। মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা। তিনি আশাবাদী আগামীতে নৌকার টিকেট তিনিই পাবেন।
মোঃ চানু মিয়া চাপিতলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ভোটার। তিনি বলেন, আমার স্থানীয় এমপি আলহাজ্জ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন যদি নৌকা টিকিটের ব্যবস্থা করে দেন তাহলে ইনশাল্লাহ আমি নির্বাচনের মাঠে শেষ অবধি থাকবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জনগণ আমার ক্যারিয়ার ও এলাকার গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি সুনিপুণভাবে বিশ্লেষণ করেন, তাহলে আমাকে জনগণ ম্যান্ডেড দিবেই। আর নির্বাচিত হলে ইনশাল্লাহ চাপিতলাকে অত্যাধুনিক ও ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে জনগণকে উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো। এখানকার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড আমার এমপি’র দিক নির্দেশনায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় চালিয়ে যাবার ইচ্ছা রাখি। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, চানু মিয়া জনপ্রতিনিধি না হয়েও ইতিমধ্যে দীর্ঘ সময় যাবত এলাকার জনগণের জন্য অনেক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। এর মাঝে রাস্তাঘাট উন্নয়নে, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং চারশত অধিক ব্যক্তিগত উদ্যোগে সোলার লাইট স্থাপন করে গ্রামকে আলোকিত করেছেন। এছাড়াও তিনি এলাকার প্রতিটি মসজিদে ৩০/৪০টি সিলিং ফ্যান স্থাপন এবং বিশুদ্ধ পানির জন্য তিনশত নলকূপ স্থাপন করে দেন। ফলে তিনি এলাকায় নন্দিত হয়ে আছেন দীর্ঘদিন। এ সব কারণে আগামীতে চানু মিয়াকে ভোটারগণ পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় এমপি তার বিষয়ে প্রজেটিভ ভাবছেন।
চানু মিয়া লেখাপড়া শিখেছেন ময়মনসিংহের ভালুকাতে। শিক্ষা জীবন শেষে তিনি দীর্ঘ ২৬ বছর প্রবাসী ছিলেন জীবন ও জীবিকার তাগিদে। ফিরে এসে চাপিতলার আনাচে কানাচে তার নিজের উদ্যোগে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করে নন্দিত হয়েছেন। এ জন্য এলাকার মানুষজন তাকে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার এবারের প্রতিপাদ্য- “আমার গ্রাম-আমার শহর” বাস্তবায়িত করতে আমি ব্যক্তিগতভাবে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৭-১১-২০২১ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ