মুরাদনগরে নবম শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আত্মহত্যা

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।      মোঃ মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতাঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় নবম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তারের (১৬) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি চাচাতো ভাই জাকির বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সুরাইয়াকে ধর্ষণ করে। এতে সুরাইয়া অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিয়ের করতে অস্বীকার করায় সুরাইয়া রাগের বশে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রীর চাচাত ভাই জাকির হোসেন ও জাকিরের বোন ডলি আক্তার পলাতক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ সুরাইয়ার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কুমেকে) মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাচা হারিছ মিয়ার ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় রশি লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সুরাইয়া আক্তার উপজেলা রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকার কাঠালিয়াকান্দা মধ্যপাড়ার হাকিম মিয়ার মেয়ে। সে রামচন্দ্রপুর আকাব্বর নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
অভিযুক্ত জাকির হোসেন (৩৫) রামচন্দ্রপুর এলাকার কাঠালিয়াকান্দা গ্রামের মৃত কালা গাজীর ছেলে। তার সংসারে এক স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।
সুরাইয়ার মা রাবিয়া আক্তার জানান, তিন সন্তানের জনক জাকির হোসেন বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সুরাইয়াকে ধর্ষণ করে আসছে। এতে সুরাইয়া অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। সুরাইয়া জাকিরকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে জাকির ও তার বোন ডলি আক্তার তাকে মারধর করে। এতে সুরাইয়া রাগের বশে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সুরাইয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল রির্পোটের ওপর ভিত্তি করে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৫-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email