মুরাদনগরে ছেলের হাতে বাবা খুন, লাশ বস্তায় করে ঘুম করার চেষ্টা

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ।।    মো ঃ মোশাররফ হোসেন মনির, মুরাদনগর (কুমিল্লা) সংবাদদাতা ঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সম্পত্তির লোভে বাবা মাহফুজ মিয়াকে (৬১) কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্ধি করে লাশ ঘুম করার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক ছেলেকে আটক করেছে। মা বাদি হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আটককৃতকে কুমিল্লা জেলা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে বুধবার দুপুরে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন আন্দিকুট ইউনিয়নের দেওড়া গ্রাম থেকে লাশ উদ্ধার করে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ।
আটককৃত ঘাতক ছেলে সোলেমান মিয়া (২৯) উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দেওড়া গ্রামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেওড়া গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে মাহফুজ মিয়ার সাথে সম্পত্তি নিয়ে তার ছেলে সোলেমান মিয়ার প্রায়ই সময় বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে গত মঙ্গলবার রাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ছেলে সোলেমান মিয়া তার বাবা মাহফুজ মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত শেষে বস্তাবন্ধি করে রাখে। সুযোগ বুঝে বুধবার সকালে কয়েকটি তুষের বস্তার সাথে বাবার বস্তাবন্ধি লাশটিও একটি অটো রিক্সাতে তুলে নেয়। তুষগুলো একটি দোকানে বিক্রি করে বাবার বস্তাবন্দি লাশটি ঘুম করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি অটো চালকের সন্দেহ হলে বাবাকে হত্যা করার ঘটনাটি স্বীকার করে ঘাতক ছেলে সোলেমান মিয়া। এ সময় অটো চালক লাশ নিয়ে গ্রামে ফিরে গিয়ে মেম্বারসহ এলাকাবাসীকে ঘটনাটি জানায়। পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘাতক ছেলে সেলেমান মিয়া (২৯) ও অটো চালক বুদ্দিন মিয়াকে (২৫) আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে বাঙ্গরা বাজার থানিার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত ছেলে সোলেমানকে বৃস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৬-০-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

Print Friendly, PDF & Email