মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান হত্যার ১২ দিন পরও গ্রেপ্তার হয়নি কোন আসামী

সিটিভি নিউজ।। সৌরভ মাহমুদ হারুন    ব্রাহ্মণপাড়া  (কুমিল্লা)  প্রতিনিধি ।। ==
কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের কান্দুঘর রাজাবাড়ী এলাকার বীর
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ১২ দিনেও কোন আসামী গ্রেফতার না
হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও স্বজনদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ক্ষোভের বহিঃ প্রকাশ হিসাবে এ
হত্যার সাথে জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়
মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন মুক্তি যােদ্ধা, স্বজন এবং এলাকাবাসীরা। বীর
মুক্তিযােদ্ধা নিহত আব্দুর রহমানের ছেলে  ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর  হোসেন আকাশ এ
প্রতিনিধিকে জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল রহমান হত্যার আজ ১২ দিন হলো। কিন্ত
কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। আমি ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি সাহেবের সাথে কথা
বলেছি। তিনি বলেছেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমি বিশ্বাস
করি, থানার ওসি  ও তদন্ত অফিসার সঠিকভাবে কাজ করলে অল্প সময়ের  মধ্যেই
আসামীদের  গ্রেপ্তার সম্ভব। মামলার এজাহার সূত্রে জানা  গেছে , গত ১৩ জানুয়ারি
সকালে স্থানীয় বখাটে মৃত গণি মাস্টারের ছেলে মো: কামাল পাশা(৪৫), আবু হাছনাত
প্রকাশ বাবু(৩৫), মাে: আনিছুর রহমান প্রকাশ ইকবাল(৫২), আনিছুর রহমান প্রকাশ
ইকবালের ছেলে মো: বিদান(২৫)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন বখাটে জমির আইল বাঁধাকে
কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কামাল পাশাসহ তার
সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে আসে। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বীর
মুক্তিযুদ্ধা আব্দুর রহমান কুরআন শরীফ পড়া থেকে উঠে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানতে
চায়। পরে কামাল পাশাসহ তার ভাইয়েরা মিলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে
তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা  চেপে ধরে কামাল পাশা। পরে তার সাথে থাকা ভাইয়েরা
মুক্তিযোদ্ধার উপরে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে।ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা
আব্দুর রহমান। মৃত্যুর খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ততক্ষণে কামাল পাশা সহ তার
সহযোগীরা ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে
ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় তার ছেলে
মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে ৪ জন নামীয় ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামী
করে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।সংবাদ প্রকাশঃ  ২৪-০১-২০২২ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে/লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ