মনোহরগঞ্জে ট্রাক্টারের দাপটে অতিষ্ঠ জনসাধারণ-কৃষিজমি সড়ক ধ্বংস

সিটিভি নিউজ।।     আবদুর রহিম, মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা)  সংবাদদাতা জানান ==   কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়ন, সরসপুর, বাইশগাঁও, খিলা, নাথেরপেটুয়া, বিপুলাশার ইউনিয়ন সহ উপজেলার প্রায় ইউনিয়নে নিষিদ্ধ অবৈধ ট্রাক্টার দিয়ে কৃষি জমি মাটি খনন করে এবং সড়কের কিনারা কেটে ডাইভার্শন করে প্রতিদিন প্রায় একহাজার ট্রাক্টার রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জনগণ এতে অতিষ্ঠ। প্রভাবশালী মাটির কন্ট্রাক্টাররা হলেন, মোঃ আবদুল্লাহ সরসপুর, মহিনউদ্দিন চেয়ারম্যান’র ভাই ফারুক লক্ষণপুর, আবদুল মান্নান চেয়ারম্যান’র ছেলে জহির সরসপুর, আবদুল হালিম সরসপুর, সজিব বেতিয়াপাড়া, তাজুল ইসলাম গোয়ালিয়ারা, মাইনুল হাসান ভাউপুর, সুমন সপুরা, হারুন নাথেরপেটুয়া, শাহ আলম ভাউপুর, সুমন নাথেরপেটুয়া, এছাড়াও আরও প্রভাবশালী মাটি কাটার কন্ট্রাক্টার রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমি ও সড়কের পাশ কেটে ট্রাক্টারে মাটি কাটার কারণে ধ্বংস হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সড়ক, রাস্তা ও কৃষিজমি। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে কৃষিজমির উপরিভাগ কেটে গর্ত তৈরি করায় ফসল উৎপাদনের অযোগ্য খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। পার্শ্ববর্তী উপজেলা শাহরাস্তি সহ অন্যান্য উপজেলায় ট্রাক্ট্রার নিষিদ্ধ থাকায় এ উপজেলায় সকল উপজেলার নিষিদ্ধ ট্রাক্টার এনে মাটি কাটছেন প্রভাবশালীরা এদের থেকে মাসোয়ারা নিচ্ছেন মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ, ক্যাশিয়ার আবদুল হক। এই অবৈধ ট্রাক্টারের কাগজপত্র এবং ড্রাইভারদের অভিজ্ঞতা ও লাইসেন্স না থাকায় অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী। ট্রাক্টারে ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দিশাবন্দ গ্রামের ইউছুপের ছেলে মামুন (১৩), মৈশাতুয়া ইউনিয়নের গজরা পাড়া গ্রামের মিষ্টি-দধি ব্যবসায়ী উত্তম দাস। গত কয়েকদিন পূর্বে ফেনুয়া গ্রামের আবদুর রবের ছেলে ও মনোহরগঞ্জ বাজারের বেকারি ব্যবসায়ী মাইনুল হক ফখরুল গুরুতর আহত হন। মাটির কন্ট্রাক্টার আবদুল্লাহ বলেন, আমি থানা পুলিশকে টাকা দেই এবং নেতাকে ম্যানেজ করে মাটি কাটি আপনি পত্রিকায় নিউজ করে পারলে কিছু করেন, মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আমি থানার পুলিশ ক্যাশিয়ার আবদুল হককে প্রতি মাসে ২টি ট্রাক্টার থেকে ৬০০০ টাকা দেই। ট্রাক্টার সমিতির সভাপতি পেয়ার আহম্মদ বলেন, আমাদের উপজেলায় ৫০৯টি ট্রাক্টার রয়েছে ক্যাশিয়ারকে প্রতি মাসে আমার ২টি ট্রাক্টার থেকে ১০০০ টাকা দেই প্রতি গাড়ি থেকে মালিকেরা ৫০০ টাকা করে মাসোয়ারা দিতে হয়। ট্রাক্টার চালাতে সরকার নিষিদ্ধ করলে আমরা অন্য ব্যবসা করব। চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, আমার ছেলে শুধু মাটি কাটে না আরও অনেকেই মাটি কাটে কামাল ভাই জানে আপনি কামাল ভাইয়ের সাথে কথা বলেন।

                 এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আমি উপজেলা প্রশাসনের সাথে একসাথে বসে আলোচনা করবো। আমার কথা কেউ বললে তার ছবি তুলে নিয়ে আসবেন আমি তার ব্যবস্থা নিবো।

এ বিষয়ে মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা বলেন, আমি নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে তারপর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিবো।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২২–৩–২০২১ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। সিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=