সিটিভি নিউজ।।   আনোয়ারুল ইসলাম  সংবাদদাতা জানান ===
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল গ্রামে মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়া এবং বাবার বাড়ি থেকে মাদক ব্যবসা করতে টাকা না এনে দেওয়ায় তানজিনা আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর মা নাজমা বেগম বাদী হয়ে গৃহবধূর স্বামী জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিঠু (৪৩)কে প্রধান আসামী করে চারজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর গ্রামের মোকাদ্দেছ মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তারের সাথে ১০ বছর আগে ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিঠুর বিয়ে হয়। বিয়েতে নগদ এক লক্ষ টাকা ও আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছে। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে জাহিদুল। স্ত্রী তানজিনা মাদক ব্যবসা না করতে স্বামীকে নিয়মিত বাঁধা দিয়ে আসছে। মাদক ব্যবসা করতে গিয়ে কয়েকবার জেল খেটেছে জাহিদুল। বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে জেল থেকে জামিনে বের করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে মাদক ব্যবসায় আবারও বাঁধা দেয় স্ত্রী। এ সময় তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এতে রাজী না হওয়ায় জাহিদুল ও তার বাড়ির লোকজন তাকে বেঁধে রেখে শারিরীকি নির্যাতন করে ঘরে আটকে রাখে। খবর পেয়ে তানজিনার মা ব্রা‏হ্মণপাড়া থানা পুলিশকে লিখিত ভাবে অবহিত করেন। শুক্রবার সকালে পুলিশ তানজিনাকে উদ্ধার করে ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করেন।
আহত গৃহবধূ তানজিনা আক্তার বলেন, মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়া এবং ওই ব্যবসার জন্য টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে তার স্বামীর ও বাড়ির লোকজন বেঁধে রেখে নির্যাতন করে ঘরে আটকে রাখে। তিনি বলেন, তার স্বামী তাকে মারধর করে গলায় ছুরি ধরে ভিডিও করেছে আমার অন্য ছেলের সাথে পরকীয়া রয়েছে এবং ওই ছেলে বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়ে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতে হবে বলে আহত গৃহবধুর মুখ দিয়ে এসব কথা বলিয়ে রেকর্ড করেছে স্বামী। তিনি বলেন, তার স্বামী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাধ দিয়েছে।
আহত গৃহবধূর মা নাজমা বেগম বলেন, বিয়ের কিছু দিন পর থেকে আমার মেয়ের জামাই মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। আমার মেয়ে মাদক ব্যবসায় বাঁধা দিলেও সে কোন কথা শুনে না। কয়দিন পরপর যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করত। মাদকের মামলায় কয়েকবার জেল থেকে মেয়ের কথা চিন্তা করে অনেক টাকা খরচ করে জামিনে এনেছি। তিনি আরো বলেন, আমার মেয়েকে মারধর করে দুইদিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। পরে এনে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।
ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, অভিযোগ পেলে গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সংবাদ প্রকাশঃ  ০৫-৯-২০২০ইং । (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন। সিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=