ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নবীনগরের মিষ্টি দেশব্যাপী নতুনআঙ্গীকে সুখ্যাতি বয়ে বেড়াচ্ছে –

সিটিভি নিউজ।। মোঃ তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে, =========
ইতিহাসের মৌখিক পরম্পরায় বলা হতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মিষ্টি আর বাতাসার প্রশংসার কথা, একসময় বাতাসা আর মিষ্টির প্রশংসা ছিল নবীনগরের ঘরে ঘরে। এক সময় জনশ্রুতি ও পুঁথিতে নবীনগরের বাতাসা,মিষ্টি ও সন্দেশের জনপ্রিয়তা ও শ্রেষ্ঠত্বের সুনাম থাকলেও এখন হাট-বাজারে তেমন একটা দেখা মেলে না, নামকরা এ মিষ্টি জাতীয় মুখরোচক রসগোল্লা আর বাতাসা বা সন্দেশের।

বাংলাদেশে আধুনিকবা নতুন নত্বের আবিষ্কার ছেয়ে আছে নবীনগর উপজেলার সর্বত্র। মিষ্টির ইতিহাস ২শ থেকে ৩শ বছরের হলেও মিষ্টি জাতীয় খাদ্য সামগ্রীর ইতিহাস ২ হাজার বছরেরও পুরনো বলে জানা যায় পুরোনো ইতিহাসের পাতায় যা পৌরাণিক কল্পকাহিনী ও ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে লিপিবদ্ধ আছে। বৃটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং এর স্ত্রী লেডিক্যানির বা পরিশুদ্ধ লেডি গিন্নি নামেও এদেশে মিষ্টির নামকরণ করা হয়েছে। যা আদতে লালমোহন ভোগ বা লেডি গিন্নি নামেই জাতীয় মিষ্টি পরিচিত। মিষ্টি জাতীয় খাদ্য বিশেষ করে দই, ক্ষীর, মাখন ও ঘি এগুলো সচারাচর সচ্ছল পরিবার গুলো বেশি ক্রয় করতো বলে ধারনা পাওয়া যায়।

বর্তমানে নবীনগরের মিষ্টির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে দেশব্যাপী। উপজেলার নবীনগর টু কোম্পানিগঞ্জ সড়কের ইব্রাহিমপুর বাঁশবাজার, ভোলাচং, কোনাঘাট, নবীনগর সদর বাজার, নবীনগর টু আড়াইহাজার ফেরিঘাট সড়কের শ্যামগ্রাম ইউপির শ্যামগ্রাম, ছলিমগঞ্জ টু বাঞ্ছারামপুর সড়কের বড়িকান্দি ইউপির ছলিমগঞ্জ, লাউর ফতেহপুর ইউপির বাশারুক, ফতেহপুর, শিবপুর ইউপির শিবপুর বাজার এছাড়াও জীবনগঞ্জ বাজা শাহপুর,রতনপুর,ভিটি বিশাড়া সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের মিষ্টি এনে দিয়েছে সুখ্যাতি। এ যেন মিষ্টির নগরীর নবীনগর উপজেলার মিষ্টি সমৃদ্ধ নাম। তবে মিষ্টি তৈরিতে সবচেয়ে বেশি সুনাম কেড়েছেন সলিমগঞ্জ বাজারের রাধাকৃষ্ণের দোকান ও শ্যামগ্রাম বাজারের লেবার দোকানের মিষ্টি।

স্থানীয় উদ্যােক্তাদের খামার ও চাষীদের পালিত গাভীর দুধ বাড়ি ও বাজার থেকে সংগ্রহ করে এ সব দোকানে তৈরীকৃত প্রতি কেজি রসগোল্লা নরমাল ২৪০ টাকা, সাদা চমচম ২৮০, লাল চমচম ২৮০, মাওয়া স্পেশাল চমচম ৩২০, কালো জাম ২৪০, সাদা নরমাল মিষ্টি ২৫০, জাফরান ভোগ ৫০০, বেবি আঙ্গুরি ৩৫০, কাঁচা ছানা বরফি ৫০০, ছানা আমৃত্তি স্পেশাল ৫০০, ছানামুখি ৫০০, ছানা মিষ্টি ৩২০, রাজভোগ স্পেশাল ৪৫০, কাঁচাগোল্লা ৫৫০, স্পেশাল রসমালাই ৩২০ক্ষীরপেরা সন্দেশ ৬০০, সাদা সন্দেশ ২৫০, গজা ২২০, ক্ষীর দধি ১ গ্লাস ৩০, লালমোহন ২৮০, লালমোহন স্পেশাল ঘি ভাঁড় ৪৫০, নিমকি ২২০, জিলাপি (চিনি) ১৪০, মাষের আমৃত্তি ১৮০, সরমলাই ৫০০ টাকা দরে সুস্বাদু মজার বাহারি নামের মিষ্টি বিক্রি করা হয়ে থাকে। লেবার দোকানে একপিচ মিষ্টি এখনো ৮০/১০০ বিক্রি হচ্ছে যা কল্পনা অতীত।

এছাড়াও দই-মাঠা, লাচ্ছি, সন্দেশ, লুচি, গুড়ের জিলাপি, মাসকলাইয়ের জিলাপি, মন্ডা মিষ্টি, বালিশ মিষ্টি, কাঁচাগোল্লা, পানতোয়া, সাবিত্রী, রসমঞ্জুরি, রসকদম, খন্ডাল, মতিচুর, লাড্ডু, মাখন, ঘি, লেডিকেনি, স্পঞ্জ, প্রাণহরা, লালমোহন, কাঁচা মরিচের মিষ্টি, দুধ পুরি প্যারাসহ নানা মিষ্টি জাতীয় খাবারের সমাহার থাকে উপজেলার মিষ্টি দোকান গুলোতে।

রাধাকৃষ্ণ মিষ্টি দোকানের মালিক জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ মিষ্টি খেতে আসে। কেউ কেউ ১ থেকে ২০ কেজিও সঙ্গে করে নিয়ে যায় পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য।

লেবার মিষ্টির দোকানের মালিক জানান, দৈনিক গড়ে ভালোই মিষ্টি বিক্রি করি। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় বেশি মিষ্টি বিক্রি হয়। এ ব্যাপারে একাধিক দোকানী জানান কারিগর সংকট, চিনিরদাম,ময়দার দাম,দুধের দাম বেশি তাই লাভ করতে হিমসিম খেতে হয়। সংবাদ প্রকাশঃ ২০-০৪-২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like> See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ