বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ক্ষয় রোগ দিবস উদযাপিত

সিটিভি নিউজ।।     বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রিউমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ক্ষয় রোগ দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সচেতনতার অংশ হিসাবে প্রচার পত্র, পোস্টার বিলি ছাড়াও আজ ২০ অক্টোবর ২০২০ মঙ্গলববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ব্লকের ১৭তলার মেডিসিন বিভাগ ও রিউমাটোলজি বিভাগের ক্লাশ রুমে একটি শিক্ষামূলক বৈজ্ঞানিক সেশনের আয়োজন করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈজ্ঞানিক সেশনে বিজ্ঞানসম্মত প্রবন্ধ উপস্থাপন করাসহ হাড়ক্ষয় রোগ চিহ্নিতকরণ এবং এর আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিলো অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ক্ষয় রোগে ‘হাড় ভেঙ্গে হুইল চেয়ারের জীবন-ই অস্টিওপোরোসিস’।
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডীন অধ্যাপক ডা. জিলন মিঞা সরকার। সভাপতিত্ব করেন রিউমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম। প্যানেল এক্সপার্টস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ সোহেল মাহমুদ আরাফাত, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মুহম্মদ আবুল হাসানাত, বক্ষব্যধি (রেসপিরেটরি) বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেন, রিউমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ। গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ আবু শাহীন, ডা. আসিফ হাসান খান, ফেইজ-বি এর রেসিডেন্ট ডা. এস এম আহমেদ ও ডা. রাফিয়া আফরোজ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ আরিফুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের আহমেদুল্লাহ।
বৈজ্ঞানিক সেশনে জানানো হয়, অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ক্ষয় রোগ এটি একটি নীরব ঘাতক। বিশে^র মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের প্রত্যেক ৩ জন নারীর মধ্যে ১ জন ও ৫ জন পুরুষের ১ জন এই অস্টিওপোরোসিস রোগে ভুগছেন। এই রোগটি হাড়ভাঙ্গার পূর্ব পর্যন্ত উপসর্গবিহীন থাকে বিধায় রোগীরা এই বিষয়ে সচেতন থাকেন না। তাই এই রোগটির বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি জরুরি। বাংলাদেশে নারীরা গড়ে প্রায় ৭৪ বছর বাঁচেন। পুরুষেরা বাঁচেন প্রায় ৭০ বছর। এই উপাত্ত বলছে, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু দিনে দিনে বাড়ছে। এটি অবশ্যই খুশির খবর, এই আনন্দের খবরের উল্টোপিঠে অনেক কষ্ট আছে এবং উঁকি দিচ্ছে সেটা হলো এই অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ক্ষয়  রোগ। বাংলাদেশের জনগণের গড় আয়ু বাড়ার সাথে সাথে উপরের হিসাবের ধারাবাহিকতায় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ লাখ নারী-পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত। আক্রান্ত রোগীরা অল্প আঘাতে মেরুদন্ডের হাড়, কুচকির হাড়, কব্জির হাড়সহ অন্যান্য হাড়ভাঙ্গাজনিত কারণে হুইল চেয়ার বা লাঠি নির্ভর জীবন যাপন করেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অন্যান্য অনেক রোগ তাদের নিত্যসঙ্গী হয়, যেমন ডায়াবেটিস, হাইপ্রেসার, বয়স জনিত বাত ব্যথার কষ্ট ইত্যাদি। এর সাথে চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যায় বিধায় অনেক বয়স্ক মানুষ অবহেলিত জীবন যাপনেও বাধ্য হন। যা কাম্য নয়। আশার কথা হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রিউমাটোলজি বিভাগে অস্টিওপোরোসিসসহ বাত রোগের উন্নত চিকিৎসা রয়েছে। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় এই বিভাগের উন্নতি ও সমৃদ্ধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৈজ্ঞানিক সেশনে বাত ব্যথা রোগী এবং বয়স্ক মানুষগুলোর সার্বিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের জন্য সরকারী হাসাপাতালগুলোতেও স্বল্প সময়ের মধ্যে রিউমাটোলজি বিভাগ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করা হয়।সংবাদ প্রকাশঃ  ২১১০২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ