প্রাণঘাতী করোনায় নওগাঁ পুলিশ সুপার বনাম-মানবিক পুলিশ অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে

সিটিভি নিউজ।।    মো.আককাস আলী, নওগাঁ সংবাদদাতা জানান =: করোনাকালীন সময়েও নওগাঁবাসীর পাশে আছেন নওগাঁর সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মোঃ আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম। সারাবিশ্ব ছড়িয়ে কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাস যখন বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ার আগাম অশনি সংকেত দেখা দেয়, ঠিক তেমনি মহূর্তে সেই শুরু থেকেই সরকারের দেওয়া দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নওগাঁ বাসীর জন্য দিনরাত ক্লান্তিহীন সেবা-মূলক একের পর এক কাজ করেই চলেছেন নওগাঁর সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার। ইতি মধ্যেই তিনি নওগাঁর সর্বসাধারনের কাছে জেলার পুলিশকে মানবিক পুলিশ হিসাবে ব্যাপক পরিচিত করে তুলেছেন। মানবিক পুলিশ সুপারের এই কার্যক্রম জেলার কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা যেমন প্রচার করেছে,তেমনি জেলা পুলিশ সুপারের সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরায় প্রতিদিন নওগাঁবাসি স্বাগত জানিয়েছেন। নওগাঁবাসি মনে করছেন, কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাসকালীন সরকারের দেওয়া দায়িত্ব, সামাজিক দায়বদ্ধতায় নিজের নিরাপত্তা বজার রেখে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ক্লান্তিহীনভাবে রাতদিন মাঠে স্ব-শরীরে সহ যেভাবে দিকনির্দেশনা দিয়ে কাজ করেছেন এবং এখন পর্যন্ত করেই চলেছেন তা প্রসংশনীয়। ইতি মধ্যেই তিনি ব্যক্তিত্ব ও কাজের মাধ্যমে নিজেকে সহ জেলা, থানা ও ফাঁড়ি পর্যায়ের পুলিশকে গড়ে তুলেছেন মানবিক পুলিশ হিসাবে। তিনি মাঠ থেকে কৃষকদের ধান ঘড়ে তুলে আনার জন্য বিভিন্ন জেলায় ধান কাটিয়া শ্রমিকদের সাথে যোগাযোগ করেন। পুলিশ সুপার এর সহযোগিতায় জেলার মোট ১১ টি থানা পুলিশের মাধ্যমে দিনাজপুর, পাবনা, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্দা সহ বিভিন্ন জেলা থেকে নওগাঁয় আসা ধান কাটিয়া শরীরের তাপমাত্রা পরিক্ষা করার মাধ্যমে সহ শ্রমিকদের মাস্ক, সাবান ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দিয়ে সহযোগিতাও করেন জেলা পুলিশ। ফলে কৃষি বিভাগে লক্ষ্যমাত্রা ৭ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিকটন চাল থাকলেও লক্ষমাত্রার বেশি ১৮ লাখ মেট্রিকটন চাল অর্থাৎ সাড়ে লাখ মেট্রিকটন চাল সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও চলতি আম মৌসুমে সারাদেশের মধ্যে নওগাঁ আম উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে। আমের রাজধানী হিসাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিচিত হলেও সেখানে মাত্র আড়াই লাখ মেট্রিকটন আম উৎপাদন হয়েছে। নওগাঁয় প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে ৪ লাখ ২০ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদন হয়েছে।নওগাঁয় চলতি আমের মৌসুমে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার আমের বাণিজ্য হওয়ার আশা করেন আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা। করোনা পরিস্থিতির কারণে সারাদেশে থেকে আম ব্যবসায়ীরা নওগাঁয় আসতে না পারায় নওগাঁর পোরশা-সাপাহার-নিয়ামতপুরের আম চাষিরা নিরাশ হয়ে পারেন।
এমতাবস্তায় পোরশা-সাপাহার-নিয়ামতপুরের আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার একাধিকবার আম চাষিদের আম সারাদেশে বিক্রির করতে প্রশাসনকে বিভিন্ন দিক নির্দেশণা দেন। পুলিশের উদ্যোগে নওগাঁকে “আমের রাজধানী” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া জন্যে সাপাহারে আম ব্যবসায়ী, চাষী ও আড়ৎদারদের সাথে মত বিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের সুবিধার্থে সাপাহারে আম বাজারে একটি পুলিশ কন্ট্রোলরুম স্থাপন, নিরাপত্তা প্রদান সহ রাস্তার নিরাপত্তা, আম বহনকারী ট্রাক রাত্রিবেলায় নওগাঁ সীমান্তে নিরাপদে গমনের ব্যবস্থা, রাস্তায় ডাকাতি ছিনতাই রোধকল্পে সাপাহার থানায় অতিরিক্ত দুটি গাড়ি প্রদান করেন। এ ছাড়া আম বাজার থেকে বা ট্রাক থেকে কোন প্রকার চাঁদাবাজি হবে না মর্মে হুশিয়ারি ও আশ্বাস প্রদান করেন জেলা পুলিশ সুপার। নওগাঁ জেলা পুলিশের অফিসার ফোর্সগণ প্রতিদিন নিয়ম করে পিটি ও ব্যায়ামে অংশগ্রহণ করেন। পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি থানা ও পুলিশ ইউনিট সমূহে পর্যাপ্ত মাক্স, হ্যান্ড সেনিটাইজার, পিপিই, ফেইস শিল্ড, গ্লোবস, ইনফ্রারেড থার্মোমিটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার ইত্যাদি সরবরাহ করা হয়।পুলিশ করোনা যুদ্ধের অন্যতম সম্মুখযোদ্ধা নওগাঁ জেলা পুলিশের যেসব সদস্যের, শ্বাসকষ্ট, এ্যাজমা, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের নিয়ে বিশেষ সাস্থ্য সচেতনতামূলক মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজনও করেন জেলা পুলিশ সুপার।
ডিউটিকালীন সময়ে নওগাঁ জেলা পুলিশের সদস্যরা যেন শারীরিক ও মানসিকভাবে নিরাপদ বোধ করে এবং নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেন সে লক্ষ্যেই এই মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।একই সাথে করোনা দূর্যোগ চলাকালে-নিহত স্বজন বঞ্চিত মৃতদেহগুলো পাচ্ছেনা শেষ সমাদর। করোনা উপসর্গ নিয়ে বা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরনকারীদের মৃতদেহ’র দাফন বা সৎকার কাজ সম্পন্নকরার জন্য কোন বাঁধাই পিছু হটাতে পারেনি নওগাঁর অদম্য পুলিশ সদস্যদেরকে।
নওগাঁর বদলগাছী থানার মেয়ে নাসিমা বেগম। পোশাক কারখানার শ্রমিকের কাজ করেন জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নাসিমা বেগমের মৃত্যু হয়। নিহতের মরদেহ গ্রামে নিয়ে আসা হলে গ্রামবাসী বাঁধা দেন। লাশ দাফন নিয়ে শুরু হয় নানা বিপত্তি। জেলার সুযোগ্য ও মানবিক জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম মহোদয় সাহেব এর দিকনির্দেশনায় মানবিক পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে সেই গ্রাম বাসীর বাঁধা প্রদানের সময় থেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত, মানবিক পুলিশ গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে এমনকি নিহত নাসিমার মামার জায়গাঁতে দাফন করতে চাইলেও জায়গাঁ দিতে অস্বীকৃতি জানান নাসিমার মামা এসময় মানবিক পুলিশ নাসিমার মৃতদেহ দাঁফনের জন্য নায্যমূল্যে জমি কিনে দাফন করতে চাইলেও জমি দেওয়া হয়নি দাফনের জন্য। কোন সম্পর্কই যখন এগিয়ে এলো না তখন বদলগাছী থানার এসআই আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মানবিক পুলিশ টিম-ই নদীর ধারে সরকারী জায়গাঁয় কবর খুঁড়ে নাসিমার মৃতদেহ দাফন সম্পূর্ন করেন।করোনা মহামারীর এই ক্রান্তিকালেই এরিমাঝে পাহাড়পুর থেকে জামালগঞ্জ যাওয়ার রাস্তার মাঝখানে রাত ৮টার দিকে হঠাৎ করেই পথচলতি মানুষের কানে আসে পাকুড় গাছের দিক হতে মানব শিশুর কান্নার শব্দ। এরপর স্থানীয়রা ব্যাগের ভেতরে রাখা একটি জলজ্যান্ত জ্জ দিন বয়সের ফুটফুটে নিষ্পাপ মেয়ে শিশুকে দেখতে পান।ঘটনাস্থলে কে বা কাহারা শিশুকে ফেলে রেখে যান। স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে যায় পাহাড়পুর ফাঁড়ি ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম। তৎক্ষণাৎ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা প্রদান করেন ও সার্বিক খোঁজ-খবর রাখেন জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয় সাহেব।করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিলগ্নে নওগাঁ পুলিশের ৪২ জন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে নানামুখী পদক্ষেপ। যার ফলে ইতিমধ্যেই ৩৭ জন সদস্য সুস্থতা লাভ করে তাদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদান করছেন। নওগাঁ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ হাততালি দিয়ে করোনা বিজয়ী যোদ্ধাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে সরকারি নির্দেশনা পুলিশ সুপার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালিত হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি তদারকি ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
বাংলাদেশের মধ্যে ধান-চাউল ও সবজি উৎপাদনের জন্যও নওগাঁ জেলার অবস্থান শীর্ষে। ধান-চাউল ও সবজি সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে ক্রয় করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের জন্য একমাত্র পরিবহণ ট্রাক। এ ক্ষেত্রে ট্রাক মালামাল নামিয়ে দিয়ে (খালাস) করে খালি ট্রাক চলাচলের পথে কোন বাঁধাপ্রাপ্ত যেন না হয় সেই লক্ষ্যে জেলা পুলিশ সংশ্লিষ্ট জেলার সাথে আলোচনা করে সমাধান করেছেন। নওগাঁর এক নিভৃতচারী পরোপকারী পুলিশ কনস্টেবল সারোওয়ার।নওগাঁর মহাদেবপুর থানাধীন নওহাটামোড় পুলিশ ফঁড়িতে কর্মরত এ পরোপকারী পুলিশ কনস্টেবল সারোওয়ার করোনা দূর্যোগে পূর্বে মহূর্তে নওহাটামোড় বাজারে একটি গাছের নিচে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় নাম পরিচয়হীন ও কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধাকে দেখতে পেয়ে নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় সাহেব ও মহাদেবপুর থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম জুয়েল সাহেব এর দিকনির্দেশনায় পুলিশ কনেস্টবল সরোওয়ার ঝড়-বৃষ্টিতে গাছের নিচে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় নাম পরিচয়হীন ও মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধাটিকে উদ্ধার করে নিজ উদ্যোগে চিকিৎসা করানোর মাধ্যমে অনেকটায় সুস্থ করে তোলেন। সুস্থ হবার পরে তাকে তার নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে দেবার জন্য তার নাম, ঠিকানা জানার চেষ্টা করলেও বৃদ্ধাটি সঠিকভাবে তা বলতে পারেন না। ফলে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় সাহেব এর দিকনির্দেশনায় কনেস্টবল সরোওয়ার থাকার ব্যবস্থা সহ খাবারেরও ব্যবস্থা করেন। কনেস্টবল সারোওয়ার ও তার সহধর্মিনী নিজেই দুইবেলা রান্না করে বৃদ্ধার জন্য খাবার পাঠাতে শুরু করেন।এভাবেই গত প্রায় ৫ মাস থেকে সকলের অগোচরে অজানা-অচেনা বৃদ্ধা মায়ের সেবা-শুশ্রুষাসহ সকল দায়িত্ব পালন করে চলেছেন মানবিক পুলিশ কনস্টেবল সারোওয়ার হোসেন। এখানেই শেষ না-করোনা দূর্যোগের মধ্যেই গত ঈদুর ফিতরে মহাদেবপুর থানাধীন সরস্বতীপুরহাট (বাজারে) অবস্থিত এতিম খানাতে থাকা ১৩ জন এতিম শিশু কন্যা এতিম খানাতে ঈদ উদযার্পন করবেন এমন একটি ঘটনাও জানতে পারেন মানবিক পুলিশ কনেস্টবল সরোওয়ার হোসেন। ঘটনাটি থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম সাহেবকে আবগত করেন কনেস্টবল সরোওয়ার। এরপরই জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মহোদয় সাহেব এর দিকনির্দেশনায় ও স্থানিয় সুনামধন্য ব্যাক্তির সহযোগীতায় মানবিক পুলিশ ঈদের দিন এতিম শিশুরা যেন উন্নত মানের খাবার ৩ বেলা ভালোভাবে খেতে পারেন সে জন্য গোস্ত, মুরগী, লাচ্ছা, সেমাই, চিনি, কিচমিচ, দুধ ও পোলাও চিকন চাল সহ পর্যাপ্ত পরিমান খাবার সামগ্রীও পৌছে দেন এতিম খানাতে। এছাড়াও পূর্বেই জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় সাহেব এর দিকনির্দেশনায় ঐ এতিম খানাতে এতিম শিশুদের খাবারের জন্য মহাদেবপুর থানার ওসি মোঃ নজরুল ইসলাম জুয়েল স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের পক্ষ থেকে এক বস্তা (৫০) কেজি চাল, ১০ কেজি ডাল ও তেল সহ খাদ্য-সামগ্রী পৌছে দেন। শুধু এখানেই শেষ না করোনা দূর্যোগের সেই শুরু থেকেই এমনকি গভীররাতেও জেলার সুযোগ্য মানবিক পুলিশ সুপার মহোদয় সাহেব নিজেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোপনে পৌছে দিয়েছেন খাদ্য-সামগ্রী।তেমনি একটি ঘটনা-গত ঈদুল ফিতরের একদিন পূর্বে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার গ্রামে বসবাসকারী একটি মাঝারী পরিবারের মোট ৮ জন সদস্য করোনা কে কেন্দ্র করে খাদ্য সংকটে পড়েন কিন্তু লজ্জায় কাউকে বলতে না পেরে যখন মহা-খাদ্য সংকটে পড়েন এসময় ঐ পরিবারের এক কলেজ পড়–য়া মেয়ে দিশেহারা হয়ে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন এর লাইক পেইজ (নওগাঁ নিউজ) এর ম্যাসেনজারে লিখে ঐ কলেজ ছাত্রী তার পরিবারের করুন কাহিনী জানালে সে সময় ঈদ উদযাপনে বাড়িতে থাকা সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন ঘটনাটি জেলার সুযোগ্য মানবিক পুলিশ সুপার মহোদয় সাহেবকে অবগত করার সাথে সাথে সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় সাহেব পরিবারটির সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন এবং পুলিশ সুপার মহোদয় এর দিকনির্দেশনায় নওগাঁ সদর মডেল থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সরোওয়ার্দী দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে ঐ পরিবারের জন্য খাদ্য-সামগ্রী সহ ঈদ সামগ্রী দেন।

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশ সামনে থেকে লড়াই করে চলেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, চেকপোস্ট ও টহল ডিউটির পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য অসহায় ও দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।নিজেদের বেতন ভাতার টাকা থেকে এমনকি রেশনের চাল, ডাল, তেল দিয়ে সাহায্য করে চলেছে নি¤œায়ের মানুষদের। জেলায় প্রায় ১৫শ’ হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পুলিশ সুপার, সিনিয়র অফিসার অথবা অফিসার ইনচার্জদের কাছে সহায়তা চাইলে গোপনে তাদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন এবং তা চলমান আছে। নওগাঁ পুলিশ সুপার উদ্যোগে জেলার প্রায় ৯শ’ জন গ্রাম পুলিশদের মাঝে ঈদের সুভেচ্ছা সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।করোনযুদ্ধে সহযোদ্ধা হিসাবে নওগাঁর সংবাদকর্মীদের জন্য পুলিশের শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ৭৬ জন সংবাদকর্মীকে শুভেচ্ছা উপহার সামগ্রী প্রদান করেন মানবিক পুলিশ। নিয়ামতপুর থানার দরিদ্র আধিবাসি জনগোষ্ঠীর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে ১০০টি পরিবারের মাঝে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার। নওগাঁ জেলা পুলিশের আহবানে নওগাঁ জেলার ৫৮ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গত ৮মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নিকট আত্মসমর্পণ করে অন্ধকার থেকে আলোর পথের অভিযাত্রী হয়েছিলেন। পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়ার নির্দেশনায় তাদেরকে সর্বদা মনিটরিং এ রাখা হতো এবং তাদের নিয়মিত খোঁজখবর নেওয়া হতো। তারই ধারাবাহিকতায় ২৪ এপ্রিল পুলিশ সুপার নিজে সদর থানাধীন আত্মসমর্পণকারীদের বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন রকমের খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী উপহার হিসেবে দিয়ে আসেন জা নজীর
বিহীন। নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম জানান, আইজিপির মহোদয় সাহেব এর দিক নির্দেশনায় নওগাঁ জেলায় ৯৯ টি ইউনিয়ন ও ৩ টি পৌরসভায় বিট পুলিশের কার্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আইজিপি মহোদয় আশাবাদ ব্যক্ত করেন এখন থেকে মানুষ থানায় পুলিশী সেবা নিতে আসবে না, পুলিশ-ই মানুষের দোরগোড়ায় সেবা প্রদান করবে। আগামী এক মাসের মধ্যেই জেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে ১১৫ টি’রও অধিক বিট পুলিশের কার্যালয় স্থাপন করে জনগণের মাঝে পুলিশি সেবা প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগামিতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকারি দায়িত্বের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতায় তিনি কাজ করে যাবেন। এ জন্যে সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।#

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৫২০২০ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ