পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

সিটিভি নিউজ।।  সৌরভ মাহমুদ হারুন     ব্রাহ্মণপাড়া  (কুমিল্লা)  প্রতিনিধি ===========
চট্টগ্রামের রাউজান এলাকার জাপান প্রবাসী সুকুমার বড়ুয়া সুকু’র স্ত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের কনস্টেবল রিমন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে। তিনি কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অধীনে জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাড়িতে কর্মরত আছেন।  এ ব্যপারে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী জাপান প্রবাসী সুকুমার বড়ুয়া সুকু।
 তিনি বলেন, বিগত ২০০৪ সালের ৮ নভেম্বর মৌসুমি বড়ুয়ার সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হোন। বৈবাহিক জীবন তাদের সুখে-শান্তিতে অতিবাহিত হচ্ছিল। তাদের সংসারে ১৭ বছরের এক মেয়ে ও ১১ বছরে এক ছেলে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জাপানে অবস্থান করার সুবাদে তার স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন পুলিশ কনস্টেবল রিমন বড়ুয়া। সম্পর্ক গড়াতে গড়াতে একপর্যায়ে তারা অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হয়। সুকুমার বড়ুয়া সুকু’র স্ত্রীর মৌসুমি বড়ুয়ার সঙ্গে রিমনের বড়ুয়ার অবৈধ মেলামেশার বিষয়টি তার ছেলে-মেয়েরা দেখে ফেলে। মুঠোফোনে বিষয়টি তারা তার প্রবাসী বাবাকে জানায়। এরপর প্রবাসী সুকুমার দেশে এসে রিমনকে তার দীর্ঘদিনের সংসার না-ভাঙার অনুরোধ করে। একাধিকবার বলার পরও রিমন বিষয়টি আমলে নেয়নি। উল্টো র‍্যাবে চাকরি করার সুবাদে সে প্রবাসী সুকুমার বড়ুয়া সুকু ও তার ছেলেমেয়েকে ক্রসফায়ারে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন।
সুকুমার অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘সর্বশেষ গত ১ মার্চ রিমন আমার স্ত্রীকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়। দুদিন অজ্ঞাত স্থানে রাখার পর ৩ মার্চ রিমন আমার স্ত্রীকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। এরপর ২২ মার্চ পুনরায় নগদ ২০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ আমার স্ত্রীকে রিমন ভাগিয়ে নিয়ে যায়। সেই থেকে আমার স্ত্রীর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’
 ভুক্তভোগী সুকুমারের সতেরো বছর বয়েসী মেয়ে বলেন, ‘পুলিশ সদস্য রিমন বড়ুয়া আমার বাবা ও আমাদের ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমরা জীবন শঙ্কায় আছি। আমরা কয়েকমাস ধরেই মাকে পাচ্ছি না। আমরা আমাদের মাকে ফেরত চাই। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ‘
এ ব্যপারে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রিমন বড়ুয়া বলেন, আমি মৌসুমিকে ভালবাসি  সে ও আমাকে ভালবাসে ভালবাসার টানে আমারা ঘর বাধতে সিদ্ধান্ত নেই, এবং মৌসুমি পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়ে আমাকে বিয়ে করে।
এ ব্যপারে মিরপুর ফার্ড়ির ইনর্চাজ নজরুল ইসলাম বলেন, আমি পুলিশ সদস্য রিমন বড়ুয়া বিষয়টি অবগত আছি, তাদের বিরুদ্ধে পূর্বের স্বামী সুকুমার বড়ুয়া আদালতে মামলা দায়ের করেছে, উক্ত মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।সংবাদ প্রকাশঃ  ০১-১১-২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ