নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাবের আয়োজনে স্থানীয় কয়েকটি দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন

সিটিভি নিউজ।।  মজিবুর রহমান মোল্লা  নাঙ্গলকোট  সংবাদদাতা জানান ====
চারদিকে নানা খবরের পিছনে দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে ক্লান্ত মনকে একটু প্রশান্তি দিতে নাঙ্গলকোটের পর্যটন সম্ভাবনায় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেন নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব সাংবাদিকরা। শনিবার দুপুরে নাঙ্গলকোট রেল স্টেশন রোড (খাদ্যগুদাম সংলগ)প্রেসক্লাব কার্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করে উপজেলার ঢালুয়া, বক্সগঞ্জ বাজার হয়ে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ডাকাতিয়া নদীর পাড় সংলগ্ন সাতবাড়িয়া সেতুর দু‘পাশে বিশাল জলরাশির সাতবাড়িয়া বিলের মনোরম দৃশ্য দেখা হয়। সাতবাড়িয়া বিলের বুক ছিড়ে বয়ে গেছে বক্সগঞ্চ-গুনবতী সড়ক। সড়কের দ‘ুপাশে বিলের পানি থইথই করছে। তার মাঝে রং বেরংঙ্গের পদ্মফুলের সমাহার। এ দৃশ্য দেখে কার না ভালো লাগে। প্রতিদিনন শত শত লোক মনকে একটু প্রশান্তি দিতে সাতবাড়িয়া বিলের বিশাল জলরাশিতে নৌকা ভ্রমণ করেন।
পরে সেখান থেকে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে আকাঁ বাঁকা পাঁকা সড়ক ধরে চৌকুড়ি বাজার হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবহ ঢাকা চট্টগ্রাম রেল পথের হাসানপুর-গুণবতী রেল স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে ডাকাতিয়া নদীর বুক ছিড়ে দৃষ্টিনন্দন গুণবতী সেতুতে পৌঁছা হয়। যা ঐতিহ্যবাহী গুণবতী সেতু নামে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত কালের অনেক স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে এ সেতুটি। ডাবল রেলপথ হওয়াতে এ সেতুটিকে আরো দৃষ্টিনন্দন করে নির্মাণ করা হয়। এই সেতুটি দেখার জন্য নাঙ্গলকোট-চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে প্রতিদিন শত শত পর্যটন আসে ।
গুণবতী সেতু থেকে রেলপথের পাশের পাঁকা সড়ক ধরে লাকসাম-নাঙ্গলকোটÑচিওড়া বিশ^রোড সংযোগ সড়কের নাঙ্গলকোট উপজেলার ঢালুয়া ইউনিয়নের ডাকাতিয়া নদীর বুক ছিড়ে বয়ে গেছে চিলপাড়া সেতু। চিলপাড়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় সড়কের দু‘পাশে আরেক সম্ভবনাময় পর্যটন এলাকায় মন্তলী এবং পুটিজলার বিশাল জলাভূমি। পর্যটকরা সড়কের দু‘পাশের জলাভূমিতে দলে-দলে নৌকায় ভ্রমণে মেতে উঠেন। নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বিশাল জলরাশিতে নৌকা ভ্রমন করেন। জলরাশিতে নৌকায় চড়ে দেখা যায় রং বেরঙের পদ্ম ফুলের সমাহার। সড়কে পাশে মালাই চায়ের দোকান, কাবাব হাউজ সহ ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ।
নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব সভাপতি মজিবুর রহমান মোল্লা বলেন, নাঙ্গলকোটের ডাকাতিয়া নদী সংলগ্ন সাতবাড়িয়া সেতুর দু‘পাশে এবং চিলপাড়া সেতু এলাকার বিশাল জলাভূমিতে গড় উঠা সম্ভাবনাময় দু‘টি পর্যটন এলাকা রয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পর্যটকরা দু‘টি পর্যটন স্পটে নৌকা ভ্রমনে মেতে উঠে আনন্দ উদযাপন করেন। আমরা দু‘টি পর্যটন এলাকা গুরে দেখেছি। পর্যটন এলাকাগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং বসার ব্যবস্থা নেই। এছাড়া বাথরুমের কোন ব্যবস্থা নেই। তিনি পর্যটন এলাকাগুলোতে সরকারিভাবে পর্যটকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।
সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, সাতবাড়িয়া এবং চিলপাড়া সেতুর বিশাল জলরাশিতে প্রতিদিন শত-শত পর্যটকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। কিন্তু পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ তাদের বসার কোন ব্যবস্থা নেই। এছাড়া সন্ধ্যার পরে কোন লাইটিং এর কোন ব্যবস্থা নেই। সরকারিভাবে পর্যটকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হলে পর্যটকরা নির্বিঘ্নে আনন্দময় ভ্রমন করতে পারতো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব সভাপতি মজিবুর রহমান মোল্লা, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন ভূঁইয়া, নিজাম উদ্দিন শাহীন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জনি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল মাহমুদ বাহার, অর্থ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, সাহিত্য সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া, অফিস সম্পাদক মেহেদী হাসান ভূইয়া আজিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, শরীফ আহমেদ মজুমদার, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ওমর ফারুক, ক্রীড়া সম্পাদক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, সদস্য রেজাউল করিম রাজু, ও জহিরুল ইসলাম।

সংবাদ প্রকাশঃ  ০৫২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে অথবা লিংকে ক্লিক করুন=  

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ