না’গঞ্জ যুবলীগ নেতা ও নাসিক কাউন্সিলর মতির ও তার স্ত্রীর সম্পদের পাহাড় দুদকের মামলা ও চার্জশিট দাখিল

সিটিভি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমানের ১১ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়া তথ্য মিলেছে তার স্ত্রী রোকেয়া রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনেরও। সব মিলিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ১৯ কোটি ৫০ লাখ ৫৩ হাজার ২০২ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
দুদক সচিব বলেন, মতিউরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ করা হয়। পরে তিনি ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেন। তার সম্পদ বিবরণীতে ৯ কোটি ৬২ লাখ ৪২ হাজার ২৭ টাকা অর্জনের ঘোষণা দেন। কিন্তু দুদকের তদন্তে তার স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ১৫ কোটি ৩৩ লাখ ৮ হাজার ৮৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। সম্পদ বিবরণীতে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৭৫৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনসহ ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ২৮৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে। দুদকের তদন্তকালে তার বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৭৪ কোটি ৯৬ লাখ ৪০ হাজার ১১৪ টাকা জমা ও উত্তোলনের তথ্য পাওয়া যায়।
দুদক সচিব আরও বলেন, মতিউর রহমানের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার স্ত্রী রোকেয়া রহমানের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তার সম্পদ বিবরণী স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার ৬৩০ টাকা অর্জনের তথ্য ঘোষণা দেন। কিন্তু দুদকের তদন্তে তার নামে ৮ কোটি ৩৫ লাখ ৬ হাজার ৭১৯ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনসহ ৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯১৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া তদন্তকালে বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ১ কোটি ৭৬ লাখ ১৬ হাজার ৯৪ টাকা জমা ও উত্তোলনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের তদন্তে যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর মতিউর রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপনসহ ১৯ কোটি ৫০ লাখ ৫৩ হাজার ২০২ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধরায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় গত বছর পৃথম দুটি মামলা দায়ের করে। পরে তদন্ত শেষে চলতি মাসে কমিশন তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন করে। আর ২২ ডিসেম্বর তদন্ত সম্পন্নের পর চার্জশিট দাখিল করা হয়।

সংবাদ প্রকাশঃ  ২৩১২২০২২ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

Print Friendly, PDF & Email