না’গঞ্জে মহিলা লীগ সভানেত্রীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল নিয়ে এমপি শামীম ওসমান যা বললেন

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জে প্রভাবশালী সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ওরা কি আমি জানি না। ওরা মনে করে ওরা বুদ্ধিজীবী।
এই বুদ্ধিজীবীদের কাজই হচ্ছে বুদ্ধিদিপ্তি বাংলাদেশকে আটকে দেওয়া। আর এ অগ্রসর ঠেকাতে হলে শেখ হাসিনাকে আটকাতে হবে তার দলকে আটকাতে হবে। আর এটা করতে কি করতে হবে মিথ্যা অপপ্রচার ছড়াতে হবে। যার একটা অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন এখানে মহিলা লীগের সভানেত্রী শিরিন আপা।
তিনি আরও বলেন, উনার নাকি মুক্তিযুদ্ধের সনদ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সনদ কখন বাতিল করা হয়? যখন কেউ সনদ পায়। উনি তো সনদই পায়নি বাতিল হলো কীভাবে?। ধরেন কেউ মেট্রিক পরীক্ষাই দেয়নি তাহলে তার সার্টিফিকেট বাতিল হয় কীভাবে?। উনি কোর্টে গেছেন এটা উনার ব্যাপার, সেটা ভিন্ন সাবজেক্ট। এই যে বড় বড় জাতীয় পত্রিকা এসব নিউজ কেন করছেন, কারণ শিরিন আপার মতো মানুষরা মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাস করেন এবং মুক্ত চিন্তা করে সমাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি তো মানুষ গড়ার হাতিয়ার। যোগ্যতা না থাকলে কি তোলারাম কলেজ, মহিলা কলেজ, হরগঙ্গা কলেজ, গাজীপুর কলেজের প্রিন্সিপাল হতে পারতেন? তাহলে কাকে খাটো করার চেষ্টা করছেন। উনারা আটকাতে চান, উনারা অপপ্রচার করছেন। একই অপপ্রচার দেখেছি ৭৪ সালে।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ক্রিয়েটিভ গ্রাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে মুজিব শতবর্ষের স্মরণে স্মারণিকার মোড়ক উন্মোচন ও অভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সভাপতিত্ব করেন সদ্য মুক্তিযুদ্ধের সনদ বাতিল হওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী প্রফেসর ডা. শিরিন বেগম।
শামীম ওসমান বলেন, ১৯৭৪ সালের একটি ছবি সবাই দেখেছেন। বাসন্তীকে জাল দিয়ে জড়িয়ে বলেছিল খাদ্য নেই। একটা শাড়ির দাম সেসময় ছিল ৫০ টাকা আর জাল হাজার টাকা। জাতির পিতা যখন তার বাড়িতে গেলেন তিনি দেখলেন বাসন্তী একজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। সেই সুযোগ নিয়েই সেদিন তার গায়ে জাল জড়িয়ে বলা হয়েছিল খাওয়ার পয়সা নেই।
তিনি বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জে একটি স্লোগান শুনেছি। “হরে কৃষ্ণ হরে রাম, শেখ হাসিনার বাবার নাম”। আমার মনে হয় আমি জাতির পিতার সৈনিক হতে পারিনি। আমার হাত-পা বাঁধা। নাহলে জনগণের কাছে যদি ভালোভাবে বিচার দেই জনগণ তাদের কাছে কীভাবে পৌছাবে জানা নেই।
আমরা মাফ করে দিয়েছি। আমরাও কিন্তু মানুষ, রোবট না। আমাকে সারাক্ষণ শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে গালি দেয়। আমি এগুলো গায়ে মাখি না। ওরা মিথ্যা বলে তাদের জন্য আমার মায়া লাগে। কিন্তু শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপস করতে পারি না। নারায়ণগঞ্জকে শান্ত থাকতে দিন। এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না, জনগণ কিন্তু ঘরে বসে থাকবে না। জনগণের কাছে বিচার দিলে বাড়ির ইট থাকবে না।
হিন্দু সমাজের কাছে সবচেয়ে শ্রদ্ধার বিষয় হরে কৃষ্ণ হরে রাম। যারা এ স্লোগান দেয় তারা কতবড় সাম্প্রদায়িক শক্তি হতে পারে ভেবে দেখুন। শেখ হাসিনা মুসলমান বঙ্গবন্ধুও মুসলমান। আমি মুসলমান ও সনাতনদের জিজ্ঞেস করতে চাই এরা কারা যারা হিন্দু ধর্মকে আঘাত করে। এরা দুটো ধর্মকে সমানভাবে আঘাত করল। ওরা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে।
সামনে দেশে আঘাত আসবে আশঙ্কা করে তিনি বলেন, দেশটাকে একটা আঘাত করা হবে পেছনের দিকে যাবার জন্য। সামনের দিকে নেয়ার জন্য নয়। বাংলাদেশে আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে, সর্বোচ্চ জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে আঘাত আসবে। তারা আবার বাংলাদেশে লাশের রাজত্ব সৃষ্টি করবে এমনকি তাদের দলের বড় বড় জাতীয় নেতাকে প্রয়োজন হলে তারা হত্যা করবে। এগুলো করে তারা ইস্যু সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে কারণ যেভাবেই হোক তারা নির্বাচন বন্ধ করতে চায়। কারণ তারা পারবে না। শেখ হাসিনার উপর আল্লাহর রহমত আছে আর তাই ২২ বার হত্যার চেষ্টা করেও তারা কিছু করতে পারেনি।
তিনি বলেন, কে কার উকিল বাপ আর কে কার উকিল মা দেখার সময় আর নেই। নারায়ণগঞ্জের মানুষ প্রচ- ক্ষিপ্ত। যারা দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে না, যারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করে, স্বাধীনতার পক্ষের রাজনীতি করে তাদের সংখ্যা অনেক। কয়েকটা মিডিয়া দেখছি তারা সবসময় চেষ্টা করে কীভাবে শেখ হাসিনাকে দমানো যায় স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে দমাতে চাই। ওরা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চায়। শেখ হাসিনার দলকে দমাতে চায়। বিএনপি এমন ভাবে ২৭ দফা দেয় মনে হয় সমুদ্রের পানি চিনি হয়ে যাবে। আপনারাই তো ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে শত শত হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করেছিলেন। ওরা এগুলো করে নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
তিনি বলেন, গতকাল রাতে ইউটিউবে দেখলাম নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মিছিলের সামনে। তারা ক্ষমতায় থাকতে আমাদের ৫২ জন লোককে তারা হত্যা করেছে। আমরা লাশও দাফন করতে পারিনি। এ লিংক রোডের পাশে দুইজন শহীদের কবর আছে। বিএনপির সময় তাদের হত্য করা হয়েছে। আমরা মরলে আমাদের বাচ্চারা কষ্ট পায় না, বউ বিধবা হয় না। আমরা মরার জন্য তৈরি হয়েছি।

সংবাদ প্রকাশঃ ০৬০৩২০২৩ ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like  See More =আরো বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ