না’গঞ্জে দুই স্কুল ছাত্র খুন ২৪ জনকে আসামী করে চার্জশিট দাখিল

সিটিভি নিউজ, এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান : নারায়ণগঞ্জ সিটির বন্দরে দুই স্কুল ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় ২৪জনকে আসামী করে আদালতে চার্জশীট দেওয়া হয়েছে। মূলত দুইদল কিশোর গ্যাংয়ের মাঝে পড়ে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন ওই দুইজন। দুটি গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসলে তাদের নৌকার উপর পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশ গুম করতে ফেলে দেওয়া হয় শীতলক্ষ্যা নদীতে।
গত বছরের ১০ আগস্ট বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট এলাকার বিকেলে কাজিমউদ্দিনের ছেলে জিসান (১৫) ও নাজিমউদ্দিন খানের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম মিহাদ (১৮) নিখোঁজ হয়। রাতেই তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহত জিসানের বাবা বন্দর প্রেস ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারী কাজিমউদ্দিন বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৬ আসামী সহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৮ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে বন্দর থানা তদন্ত শুরু করে। পরে মামলাটি ডিবিতে বদলী করা হয়। ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক ফকির হাসানুজ্জামান তদন্ত করেন। গত ৫ জানুয়ারী তিনি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে ৮ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তারা হলেন মোক্তার হোসেন, আলী আহাম্মদ, কাশেম, কাউসার, আনোয়ার হোসেন, শিপলু, মনির হোসেন, জাকির হোসেন। মামলায় ২৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলো, আলভী, বড় শামীম, ছোট শামীম, শাকিল, সুজন, বাবু ওরফে টিঅ্যান্ডটি বাবু, নাহিদ, দেলোয়ার হোসেন বাবু, রাকিব, রয়েল, জাহান, বাবু, রবিন, সাজ্জাদ, ইমন, জয়, শান্ত, সজীব, রিয়াদ, রনি, রাজন, আবু মুসা, পাপ্পু। তাদের সকলের বাড়ি বন্দর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। আসামীদের মধ্যে আলভী, দেলোয়ার হোসেন বাবু ও আবু মুসা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
চার্জশীটে উল্লেখ করা হয়, ৯ আগস্ট কিছু লোক নৌকার মাঝি সুমনকে মারধর করে। কিন্তু সুমন তাদের চিনতো না। ১০ আগস্ট বন্দরে আকিজ ফ্লাওয়ার মিলের সামনে একটি দোকানে আলভীর সাথে থাকা অন্তর, অনিক, অনাবিল, প্রিন্স ওরফে সানি, শাহাদাত মুন্না, তোহা, আরসিমদের কাছে মাঝি সুমন বিচার দেয়। দুপুর দেড়টায় ইস্পানি বাজার এলাকাতে পুতুল স্টুডিওতে বিচারের সময়ে বড় শামীম, ছোট শামীম, শাকিল, সুজন, হান্নান খান, রনি, রাকিব, নাহিদ টিএন্ডটি বাবু, বাবু, রয়েল, রবিন, জয়, শান্ত, জাহান, পাপ্পু, সজ্জাদ, সজীব, রিয়াদ, আবু মুসা, ইমন, রাজন, দেলোয়ার হোসেন বাবু ছুটে আসে। তখন উভয় গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা ঘটে। এক পর্যায়ে টিঅ্যান্ডটি বাবু নিজেই অকিলকে দুই হাত দিয়ে ঝাপটে ধরে। খবর পেয়ে বড় শামীমের সরদারের ভাগিনা নাহিদা, শাকিল, সুজন, রনি, রকিব, বাবু, রয়েল, পাপ্পু, রবিন, জয়, শান্ত, জাহান, সাজ্জাদ, সজিব, রিয়াদ, আবু মুসা, ইমন, রাজন এসে অকিলকে ধরে ইস্পানী বাজারে নিয়ে যায়। আলী তখন ছাড়ানোর চেষ্টা করলে তাকে কিল ঘুষি মারা হয়। ওই সময়ে অন্তর নিজেই শাকিলের নানা আবদুলকে আরসিমের মোবাইল দিয়ে বিষয়টি জানায়। পরবর্তীতে আবদুল বড় শামীম ও নাহিদের কাছ থেকে অকিলকে ছুটিয়ে নিয়ে আসে। বিকেল ৩টায় অন্তর, অনিক, সানি, নাজমুল, অকিল ও আরসিম আকিজ কোম্পানীর ময়দার গেটের সামনে আসলে শামীম সরদারের ভাগিনা নাহিদ সরদার দলবল নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। ওই সময়ে আলভীর ফোন পেয়ে মিহাদ ঘর থেকে বেরিয়ে আসে।
বিকাল সাড়ে ৪টায় বড় শামীম ও ছোট শামীম গ্রুপের লোকজন লাঠিসোটা, দা, রড নিয়ে আলভীদের ধাওয়া করে। ভয়ে তারা ইস্পানী ঘাটের দিকে দৌড়ে আসে। সেখানে আলভী, মিহাদ, জিসান, তোহা, শাহাদাত হোসেন মুন্নাকে পেটানো হয়। তারা বাঁচার জন্য ইস্পানী ঘাটের সিড়ি থেকে লাফি দেয়। প্রিন্স, তোহা, মুন্না, জিসান, মিহাদ ঘাটে ভেড়ানো একটি নৌকায় উঠে পালানোর চেষ্টা করলে আসামীরা জিসান ও মিহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ গুমের জন্য শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে যায়।

সংবাদ প্রকাশঃ  ১৫২০২১ইং (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like সিটিভি নিউজ@,CTVNEWS24   এখানে ক্লিক করে সিটিভি নিউজের সকল সংবাদ পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিয়ে আমাদের সাথে থাকুনসিটিভি নিউজ।। See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন=   

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ