তিতাসে শত বছরের কবরস্থানের জায়গায় ভবন নির্মাণের অভিযোগ

সিটিভি নিউজ।।          তিতাস (কুমিল্লা) সংবাদদাতা: কুমিল্লার তিতাসে শত বছরের পুরাতন একটি কবরস্থানের জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর মৌজার দৌলদ গাজী কবরস্থানের ওয়াকফকৃত ভূমিতে মাছিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত ছায়েদ আলীর ছেলে লিলু মিয়া(৬০) নামে এক ব্যক্তি এ ভবন নির্মাণ কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন একই গ্রামের বাসিন্দা খোকন মিয়া।
দৌলদ গাজী কবরস্থানের সম্পত্তি হিসেবে মালিকানা দাবি করে মাছিমপুর গ্রামের মৃত আনু মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া অভিযোগ তুলে সাংবাদিদের জানান, এইটা ১০০বছরের পুরানো একটি কবরস্থান। মাছিমপুর মৌজার বিএস ৮৯ ও বিএস ২২৫২ নং খতিয়ান ভুক্ত ৩১৫৭দাগে ১৪শতক ভূমি কবরস্থানের নামে ওয়াকফকৃত সম্পত্তি যাহার আরএস ৩৪৮নং খতিয়ান এবং সিএস ২৪৬নং খতিয়ানে কবরস্থান হিসেবে উল্লেখ করা আছে। কিন্তু এই ভূমিতে লিলু মিয়া তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন এর নামে নাল ভূমি হিসেবে দলিল সৃজন করে মালিকানা দাবি করে জোরপূর্বক পাকা ভবন নির্মাণ করছে। যা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধে বড় ধরনের আঘাত করে। তদন্ত সাপেক্ষ এসব হীন কাজ বন্ধ করে শতবছরের এ কবরস্থানের ঐতিহ্য এবং পবিত্রতা রক্ষায় প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা সহ সুবিচার কামনা করছি আমরা।
অভিযোগ সম্পর্কে লিলু মিয়া বলেন, আমি এ জায়গা প্রিয়েমশন করে ০.৭৫ পয়েন্ট এনেছি। আমি আমার জায়গার মধ্যেই বিল্ডিং নির্মাণ করছি। আমি এ বিল্ডিং এর  মধ্যে ছাদ দিমু রাত্রে তারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কারা আগুন লাগিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খোকন, মজিবুর, জসিম, কনু, হানিফ, হক্কা তারা লাগিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার এ জায়গার মধ্যে ৭৫ পয়েন্ট বাদেও আরও পৌনে দুই শতক জায়গা আমার স্ত্রীর নামে রয়েছে। আমি কারও জায়গায় ভবন নির্মাণ করছি না।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা রয়েছে। সকলেই বলছেন আমাদের সকলকে মরতে হবে। কবরস্থান মানুষের শেষ ঠিকানা। এখানে ভবন নির্মাণ অনভিপ্রেত।সংবাদ প্রকাশঃ ১৬০৪২০২৪ ইং সিটিভি নিউজ এর  (সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন) (If you think the news is important, please share it on Facebook or the like>  See More =আরো বিস্তারিত জানতে লিংকে ছবিতে ক্লিক করুন

(সংবাদটি গুরুত্বপূর্ণ মনে হলে দয়া করে ফেসবুকে লাইক বা শেয়ার করুন)
(If you think the news is important, please like or share it on Facebook)
আরো পড়ুনঃ